মঙ্গলবার শুধু একটা ম্যাচ নয়, একটা মানসিক যুদ্ধও। কলকাতা নাইট রাইডার্স নামবে পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে। শুধু কি তাই? ম্যাচটা কেকেআর বনাম শ্রেয়স আইয়ার নয়? আর সে কারণেই এই ম্যাচ অন্য মাত্রা পাচ্ছে। গতবার কেকেআরকে আইপিএল চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁকে ছেড়ে দেয় কলকাতা নাইট রাইডার্স।অন্যদিকে শ্রেয়সকে অধিনায়ক করে নিয়ে যায় পঞ্জাব কিংস। একটা অভিমান তো থাকাই স্বাভাবিক। এই ম্যাচের জন্য শ্রেয়স নিজেও হয়ত তৈরি হচ্ছেন।
পুরনো সতীর্থদের বিরুদ্ধে নামার আগে অবশ্য দল নিয়ে বেশ চাপে পঞ্জাব অধিনায়ক। আগের ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ২৪৫ রান করেও জেতা যায়নি। শ্রেয়স নিজেও করেছিলেন ৩৬ বলে দুরন্ত ৮২ রান। তবু সানরাইজার্সের অভিষেক শর্মার ব্যাটিং তাণ্ডবের সামনে স্রেফ উড়ে যায় পঞ্জাবের বোলিং। তাই বোলিং নিয়েই যত মাথাব্যথা শ্রেয়সদের।
শ্রেয়সরা বুঝতেই পারছেন না তাঁদের বোলারদের কাছে ঠিক কত রান নিরাপদ।
তার ওপর কেকেআর দলে রয়েছেন সুনীল নারিন, রিঙ্কু সিং, বেঙ্কটেশ আইয়ারদের মত ব্যাটসম্যানরা।ভাবতে হচ্ছে, অঙ্ক কষতে হচ্ছে পঞ্জাব থিঙ্কট্যাঙ্ককে।
শুধু কি তাই! বোলিংয়ের যখন এই হাল, তখন কেকেআরকে থামাতে ঠিক কোন ধরণের পিচ কাজে লাগতে পারে, সেটা নিয়ে বেশ দ্বিধা দ্বন্দ্বে রয়েছে পঞ্জাব কিংস। অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার বা কোচ রিকি পন্টিং যদি কিউরেটরের কাছে স্লো টার্নার উইকেট চান, যেখানে থাকবে অসমান বাউন্স, তাহলে সেটা ব্যুমেরাং হয়ে যেতে পারে, কারণ কেকেআর দলে আছেন দেশের মধ্যে সবচেয়ে উন্নতি করা স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী এবং সুনীল নারিন। নারিন যদিও নিজের সেরাটা পিছনে ফেলে এসেছেন, তবু এই ধরণের উইকেটে এখনও ভয়ঙ্কর।আবার ফ্ল্যাট উইকেট হলে নাইটদের হার্ড হিটারদের বিরুদ্ধে তাঁদের বোলারদের ওপর ভরসা রাখা কঠিন, যেখানে পঞ্জাবের এমন কোনও বোলার নেই যাঁর ইকনমি রেট ৯-এর নিচে। উল্টাদিকে দুই ধরণের উইকেটেই, দুই রকমের পরিস্থিতির মোকাবিলা করার দক্ষতা সম্পন্ন ক্রিকেটার রয়েছে কেকেআর দলে। সেই কারণেই এত দ্বিধা দ্বন্দ্বে ভুগছেন শ্রেয়স-পন্টিংরা।
এ তো গেল দুটো টিমের লডৃ়াইয়ের কথা। আর শ্রেয়স? তাঁর নিজের লড়াইটায় কিন্তু বেশ এগিয়ে আছেন প্রীতি জিন্টাদের অধিনায়ক।চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দুর্দান্ত খেলার পর আইপিএলের শুরু থেকই রয়েছেন দারুন ছন্দে। সামনে কেকেআর।মঙ্গলবারের সন্ধ্যায় এই রোমাঞ্চকর লড়াইটাও জিততে যে মরিয়া হয়ে উঠবেনই মুম্বইকর। চাপ যেমন আছে, মোটিভেশনও আছে।পঞ্জাব বনাম কলকাতার সঙ্গে শ্রেয়স বনাম কেকেআর লড়াইটাও কি কম উপভোগ্য হবে? বরং হয়ত একটু বেশিই রোমাঞ্চকর।
