আগেই শোনা গিয়েছিল, পাকিস্তান সুপার লিগে খেলতে আসা বিদেশি ক্রিকেটাররা দেশে ফিরে যেতে চান। ভারত-পাকিস্তানের লড়াইয়ের শেষ পর্যন্ত কি হবে, তা নিয়ে সবাই সন্দিহান। এই অবস্থায় পাকিস্তানের মাটিতে খেলা কটিন। তাই তাঁরা দেশে ফিরে যেতে চাইছেন। বিদেশি ক্রিকেটাররা দেশে ফিরে গেলে টুর্নামেন্ট বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া অন্য পথ খোলা থাকবে না। এ নিয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজিদের সঙ্গে কথা বলা শুরু করে দেন। খেলা বন্ধ করা হবে, নাকি এই অবস্থায় পিএসএল চালিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার রাওয়ালপিন্ডিতে খেলা ছিল পেশোয়ার জালমি ও করাচি কিংসের। কিন্তু খেলা শুরুর আগে হঠাৎ এক ড্রোনের আক্রমনে রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামের অনেক কিছুই বিধ্বস্ত হয়। স্টেডিয়ামের উল্টোদিকে থাকা এর রেস্তোরাও বড় ক্ষতি হয়েছে। এই ঘটনার পর তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত নিয়ে খেলা বন্ধ করা হয়। এদিকে ব্রিটিশ মিডিয়া পিএসএল খেলতে আসা বিদেশি ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলে এক রিপোর্টে জানিয়ে দেয় যে অনেকেই এদেশে খেলতে চাইছে না। তারা সবাই নিরাপত্তহীনতায় ভুগছে। পারলে এখনই দেশে ফিরতে চাইছেন। কিন্তু বিমানবন্দর বন্ধ থাকায় বিমানের ব্যবস্থাও করা যাচ্ছে না। বিদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে ডেভিড ওয়ার্ণার জানিয়েছেন, যত তাড়তাড়ি সম্ভব দেশে ফিরতে চাই। এই অবস্থায় এখানে থাকার কোনও মানে নেই।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চিফ মহসীন নকভি জানিয়েছেন, ক্রিকেটারদের মনসিক পরিস্থিতি আমরা বুঝি। বিদেশি বলেই নয়, দেশের ক্রিকেটারদের ব্যাপারটি আমরা ভেবে দেখেছি। পিএসএলের এখন আটটি ম্যাচ বাকি। এর মধ্যে কোয়ালিফায়ার ও ফাইনাল আছে। প্রায় শেষ হয়ে আসা টুর্নামেন্ট আমরাও বন্ধ করতে চাই না। কথাবার্তা চলছে। আমরা এই টুর্নামেন্ট সংযুক্ত আমিরশাহীতে করার কথা ভেবে রেখেছি। সেখানে কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নেই। বিদেশি ক্রিকেটাররা নিশ্চিন্ত খেলতে পারবেন। তাই বাকি ম্যাচ সেখানেই হবে।