পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের সেনাবাহিনির কৃতিত্বকে সর্বসমক্ষে প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন বিরাট কোহলি ও যশপ্রীত বুমরা। দুই ভারতীয় ক্রিকেটের আইকন জানিয়ে দিলেন, ভারতীয় সেনারা যেভাবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছে তারজন্য আমাদের গর্ব করা উচিত। বৃহস্পতিবার জম্মু-কাশ্মীর ও পাঞ্জাবে কাপুরুষোচিত আক্রমণের জন্য পাকিস্তানকে ভত্্সনা করেছেন দুজনেই। যদিও সেনাবাহিনির তত্্পরতায় সেই আক্রমণ কাজে লাগেনি। ৭ মে অভিযান সিঁদুর আক্রমণের জবাব দিতে উঠে পড়ে লেগেছে পাকিস্তান। বিশেষ করে পাক অধ্ু্যষিত কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদীদের শিবির ধ্বংস করাকে মন থেকে মেনে নিতে পারছে না পাকিস্তানিরা। তাই যে ভাবে হোক প্রতিশোধ নিতে তারা মরিয়া। যদিও ভারত বারবার করে পাকিস্তানকে সাবধান করে দিয়েছে। জানিয়েছে, প্রতিশোধ নিলে পরিণতি হবে ভয়ংকর। ভারত বরাবর বলে এসেছে, পাকিস্তানের বেসামরিক নাগরিক বা সামরিক ছাউনি তাদের কাছে লক্ষ্যবস্তু নয়। লক্ষ্য একটাই, সন্ত্রাসবাদীদের নির্মুল করা। অথচ পাকিস্তান সরকার ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়া দূরে থাক, একের পর এক ভারতকে লক্ষ্য করে আক্রমণ শানিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।
বিরাট কোহলি ও যশপ্রীত বুমরা মনে করছেন, এই কঠিন সময়ে যেভাবে ভারতীয় সেনারা কঠিন লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন তারজন্য সকলের পাশে দঁাড়ানো উচিত। কোহলির মতে, ভারতীয় সেনাবাহিনির আত্মত্যাগ আর লড়াইকে সকলের উচিত কৃতজ্ঞ জানানো। “এই কঠিন সময়ে দেশকে রক্ষা করে চলেছে আমাদের সশস্ত্র বাহিনি। তাই আমাদের সকলের উচিত তাদের সাথে থেকে একাত্মতা প্রকাশ করা। তাদের অটল সাহসিকতাকে আমরা জানাই স্যালুট। মহান জাতির জন্য তারা এবং তাদের পরিবারের সকলের ত্যাগের জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। এইসব বীরদের কাছে আমরা চিরকাল ঋণী থাকব।” এক্স হ্যান্ডেলে নিজস্ব অভিমত জানিয়েছেন বিরাট কোহলি। একইরকমভাবে নিজস্ব বক্তব্য তুলে ধরেছেন যশপ্রীত বুমরাও। ভারতীয় ক্রিকেট দলের ফাস্ট বোলার মনে করছেন, সেনা বাহিনির সাহস, ত্যাগের সকলের কৃতজ্ঞ থাকা উচিত। যশপ্রীত বুমরা নিজস্ব বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে বলেছেন, “সশস্ত্র বাহিনি যেভাবে সাহস ও সাহসিকতা দেখিয়ে যাচ্ছে তারজন্য সকলের কৃতজ্ঞ থাকা দরকার। নিরাপদে আমাদেরকে রাখার জন্য তাদের স্যালুট জানাচ্ছি। তারা যা কিছু করে যাচ্ছে তারজন্য আমরা চিরকাল তাদের কাছে ঋণী থাকব।”
এদিকে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড বা বিসিসিআই এবারের মতো আইপিএল বন্ধ করার কথা জানিয়ে দিয়েছে। ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের আবহে ক্রমাগত উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই ভারতীয় বোর্ড কোনও ঝঁুকি নিতে চায়নি। যদিও আইপিএল বন্ধ করার আগে নানান চিন্তা-ভাবনা করা হয়েছিল। বিশেষ করে ভেনু্য পরিবর্তন করে আইপিএল চালানো যায় কিনা। আপাতত ঠিক হয়েছে, পরিস্থিতি যদি বদলায় তাহলে আইপিএলের বাকি অংশ ইংল্যান্ড সিরিজের পর চালু করা হতে পারে। তবে এই ব্যাপারটা এখন বিশ বঁাও জলে।