ইংল্যান্ড ক্রিকেটারদের আরও বিনয়ী ও দেশের ক্রিকেট অনুরাগীদের প্রতি মনোযোগী হওয়ার জন্য সকলকে আহ্বান জানালেন ব্রেন্ডন ম্যাকালাম। ভারতের বিরুদ্ধে হোম সিরিজ শুরু হবে ২০ জুন। তার আগে বৃহস্পতিবার থেকে একটা টেস্ট ম্যাচ খেলবে জিম্বাবোয়ের সঙ্গে। ব্রিটিশ মিডিয়ার সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে তিনি জানিয়ে দেন, দলের মধ্যে তিনি আর পরস্পর বিরোধী বিবৃতি বা খারাপ আচরণ বরদাস্ত করবেন না।
পাকিস্তানে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে গিয়ে খুবই খারাপ পারফরম্যান্স তুলে ধরে ইংরেজরা। একটা ম্যাচও জিততে পারেনি। ভারতে সীমিত ওভারের সিরিজ খেলতে এসে দেখা গিয়েছিল ক্রিকেটাররা গল্ফ খেলায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। অথচ সেই সময় দল চূড়ান্ত ব্যর্থতার ছবিটাই বারবার তুলে ধরেছে। তাই নিয়ে কম সমালোচনা হয়নি। “দেখুন ক্রিকেট মাঠে কী করলেন তা বড় কথা নয়। বড় কথা হল, নিজেকে যথাযথ তুলে ধরতে সক্ষম হচ্ছেন কিনা। তাছাড়া জনগণের কাছে একজন আদর্শ হতে পেরেছেন কিনা বা কী বার্তা দিলেন তাই হল বড় কথা।” তবে ম্যাকালাম চান চাপের মধ্যে থেকেও নিজেদের ঠিকমতো মেলে ধরা। “চাপের মধ্যে একজন ক্রিকেটারকে খেলতে হবে। তার উপর যাবতীয় সন্ধানী চোখ থাকবে। তবু এসবের মধ্যে নম্র হওয়া জরুরী। নম্রতা না দেখাতে পারলে আপিনি কখনও নিজেকে উন্নত করতে পারবেন না।” বলেন বাজবলের উদ্ভাবক।
ইংল্যান্ড ক্রিকেট পরিচালক কমিটি চাইছে, ক্রিকেটারদের যখন তখন বাজে মন্তব্য করা যাবে না। ফাস্ট বোলার মার্ক উড স্বীকার করছেন, তঁারা মাঝে মাঝে বোকা হয়ে যান। “আমাদের প্রত্যেকের উচিত মন্তব্য করার ক্ষেত্রে বুদ্ধিমান হওয়া উচিত। ড্রেসিং রুমে আমরা অনেক সময় যা বলি নিশ্চয় জনগণের সামনে দঁাড়িয়ে সেইসব কথা বলব না।” বলেন ম্যাককালাম। সেই সঙ্গে ইংল্যান্ড কোচের ধারণা, সমর্থকরা যদি পাশে না থাকেন তাহলে দলের পক্ষে অনেক সময় কাজ করা কঠিন হয়ে দঁাড়ায়। তাই তিনি চান, সবসময় যেন সমর্থকরা পাশে থাকেন। জিম্বাবোয়ের পর ভারতের সঙ্গে টেস্ট সিরিজ রয়েছে। তারপর ইংল্যান্ড যাবে অস্ট্রেলিয়ায়। তাই ম্যাককালাম চাইছেন,“আমি সবসময় চাইবো আমাদের সমর্থকরা যেন পাশে থাকেন। সামনে কয়েকটা সিরিজ আসছে। যা নিয়ে ক্রিকেট প্রেমীরা দারুন উত্্সাহী হয়ে উঠবেন। তঁারা যেন এই দলকে নিয়ে গর্ব অনুভব করতে পারেন। তঁারা যেন বলতে পারেন, এই দলের সঙ্গে থাকা ছিল আমাদের কাছে সৌভাগ্যের ব্যাপার।”
২০২২ সালে ইংল্যান্ড দলের দায়িত্ব নেওয়ার পর ম্যাককালাম খেলার স্টাইল বদলে দিয়েছেন। এখন তঁার খেলার স্টাইলকে বলা হয়, ‘বাজবল’। তবে সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের নিরিখে ইংল্যান্ড দলের খেলাকে মেনে নেওয়া বেশ কষ্টকর। এখন শুধুমাত্র আক্রমণাত্মক খেলাকে ধরে আর এগোতে চাইছেন না ম্যাককালাম। তঁার মতে, আক্রমণের পাশাপাশি রক্ষণের দিকেও সমানভাবে নজর দিতে হবে।“দেখুন যদি আমরা পিছন ফিরে তাকানোর চেষ্টা করি তাহলে দেখবেন আমাদের খেলা দেখে সকলে বেশ আনন্দ পাচ্ছিলেন। প্রতিটি সমর্থক আমাদের খেলাকে খোলা মনে উপভোগ করছিল। এখন দেখতে হবে আমরা যা অর্জন করেছি তা যেন হারিয়ে না বসি। তাই সামনের খেলাগুলোর দিকে তাকিয়ে ভাল কিছু করা ছাড়া উপায় নেই।” বলেন ম্যাককালাম।

সিনার শীর্ষে, দ্বিতীয় স্থানে আলকারাজ
গতবার জকোভিচকে ফাইনালে হারিয়ে ট্রফি তুলে ধরেছেন উইম্বলডন বিজয়ী আলকারাজ।