সিনিয়র জাতীয় ক্যাম্পে প্রথম ডাক পেয়ে আপ্লুত সুহেল আহমেদ ভাট, নিখিল প্রভু ও ঋত্বিক তেওয়ারি। তিনজন এবার কলকাতায় অনুষ্ঠিত জাতীয় ক্যাম্পে সবচেয়ে কনিষ্ঠ ফুটবলার। তঁাদের তিনজনের যে স্বপ্ন পূরণ হয়েছে তা মেনে নিতে কেউ কুন্ঠাবোধ করছেন না। সুহেলের এখন ২০ বছর বয়স। মোহনবাগান দলের হয়ে এবার যথেষ্ট নজর কেড়ে নিয়েছেন। সেই সুহেল যখন মাত্র দু মাসের তখন সুনীল ভারতের হয়ে প্রথম গোল করে ফেলেছেন। সুনীল ছেত্রীর সঙ্গে তাই প্র্যাকটিশ করতে পেরে উচ্ছ্বসিত সুহেল। বেঙ্গালুরুর হয়ে খেলা সুনীলকে কাছে পেয়ে দারুন উচ্ছ্বসিত মোহনবাগান স্ট্রাইকার। “ছেত্রী ভাইয়ের সাথে প্র্যাকটিশ করব বহুদিন এমন স্বপ্ন দেখতাম। সবসময় ভাবতাম, সুনীল ভাইয়ের সঙ্গে থাকার অনুভূতি কেমন হবে। আজ সবকিছু কাছ থেকে অনুভব করছি। এরচেয়ে বড় পাওনা আমার কাছে আর কিছু হতে পারে না।” বলেন সুহেল ভাট। জুনিয়র জাতীয় দলের হয়ে আগে খেলেছেন। অনূর্ধ্ব-১৬, ১৯, ২৩ দলে নিয়মিত খেলে গিয়েছেন সুহেল। সিনিয়র দলে এই প্রথম ডাক পেলেন। “জুনিয়র দলে বহুবার ছিলাম। তবে সিনিয়র দলে এই প্রথম ডাক পেয়ে দারুন খুশি। এই জায়গায় আসা সহজ কথা নয়। জানি এখানে কঠোর পরিশ্রম না করলে টিকে থাকতে পারব না। সেরা ফুটবলাররা এখানে রয়েছে। তাই জাতীয় ক্যাম্পে থাকা আর দেশের সেরা সিনিয়রদের সাথে প্র্যাকটিশ করা সহজ কথা নয়। সেইসব স্বপ্ন আজ আমার পূর্ণ হয়েছে।” জুনিয়র আর সিনিয়র দলের মধ্যে স্পষ্ট পার্থক্য চোখে পড়ছে সুহেলের। কোথায় পার্থক্য তা বলতে গিয়ে সুহেল বলেন,“এখানে প্রতিযোগিতার মান ভয়ংকর কঠিন। ব্যবধানও অনেক বেশি। তবে আমি শুধু নিজের অভিষেক ঘটাকে বড় করে দেখছি না। বড় করে দেখছি সমগ্র কাশ্মীরের জন্য। আমার পরিবারের জন্য।”
ডিফেন্সিফ মিডফিল্ডার নিখিল প্রভুও মনে করছেন তঁার এতদিনের স্বপ্ন পূরণ হল। তবে শুরুর স্বপ্নটাকে জিইয়ে রাখার জন্য তিনি মরিয়া হয়ে ঝঁাপাতে চান। নিখিল প্রভূ তাই বলেছেন, “শুধু আমার নয়, বাবা-মাও চাইতেন আমি একদিন জাতীয় দলের খেলি। সেই স্বপ্ন আমাদের সকলের পূরণ হয়েছে। তবে যাত্রা সবে শুরু হল।” পাঞ্জাব এফসির হয়ে এবার দুরন্ত ফুটবল উপহার দিয়েছেন নিখিল। কোচ মানোলো মার্কেজ তঁার লড়াই দেখে মুগ্ধ হয়েছেন। “ক্লাব ফুটবলে বিদেশিদের সাথে লড়াই করতে হয়। একটা নির্দিষ্ট স্টাইলে খেলার কথা বলেন কোচ। কিন্তু জাতীয় দলে এসে এমন কয়েকজনকে সামনে থেকে দেখছি যাদের দেখে বড় হয়েছি। তাদের খেলা দেখার জন্য মুখিয়ে থাকতাম। তাই এখানকার অনুভূতি আলাদা।” বলেন নিখিল প্রভু।
গোলকিপার ঋত্বিক তেওয়ারি আবার ক্যাম্পে এসে অনেক কিছু শিখতে পারছেন। তাই তিনি দারুন উপভোগ করছেন এই শিবির। “ক্যাম্পে এসে বুঝতে পারছি একটা অসাধারণ পরিবেশ। খুবই পেশাদার। অথচ সকলের মধ্যে একটা বন্ধুত্ব ভাব রয়েছে। একজন গোলকিপারের কাছে এই প্রশিক্ষণ নিঃসন্দেহে অনেক কিছু শেখার আছে। দেশের সেরা সব গোলকিপার অমরিন্দর সিং, বিশাল কেইথ, গুরমিত সিংদের কাছ থেকে দেখে অনেক কিছু শিখছি।” মানোলো মার্কেজ মনে করেন, ঋত্বিক তেওয়ারি একদিন দেশের এক নম্বর গোলকিপার হবেন। আর ঋত্বিকের চোখে এখন একটাই স্বপ্ন, ভারতের জার্সি গায়ে চাপিয়ে খেলতে নামা।

সিনার শীর্ষে, দ্বিতীয় স্থানে আলকারাজ
গতবার জকোভিচকে ফাইনালে হারিয়ে ট্রফি তুলে ধরেছেন উইম্বলডন বিজয়ী আলকারাজ।