ছিল চারজন। এবার তা হয়ে দঁাড়িয়েছে পঁাচজন। সামনের বছর সেই সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে হবে ৬জন। তবু আইএফএ-র সামনে বিক্ষোভে সামিল হলেন বাংলার কতিপয় ফুটবল প্রেমী। কারণ একটাই, ঘরোয়া লিগে ভূমিপুত্রের সংখ্যা বাড়িয়ে ৯জন করতে হবে। নাহলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকি দিয়ে রাখল বাংলা পক্ষ।
কলকাতা ফুটবল লিগে ভূমিপুত্রদের খেলানো নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই ক্ষোভ রয়েছে চরমে। ঘরোয়া লিগে যে দলগুলো কম বাজেটের পথে হঁাটে তারা সবসময় চায় যাতে ভূমিপুত্রের সংখ্যা বাড়ে। তাহলে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারবে। আইএফএ গতবছর ঘরোয়া লিগে প্রথম একাদশে চারজনকে খেলানোর অনুমতি দিয়েছিল। তারমানে চারজন প্রথম একাদশে বাংলার ফুটবলার থাকা বাধ্যতামূলক। বাকি সাতজন বর্হিরাজ্যের হলে ক্ষতি নেই। এবার সেই সংখ্যা কিছুদিন আগে আইএফএ অফিসে সভা করে ঠিক হয়েছে, ৫জন প্রথম একাদশে বাংলার ছেলেকে খেলাতেই হবে। রাজ্য ফুটবল সংস্থার তরফ থেকে সেই সংখ্যা বাড়ানোর ইচ্ছে ছিল। কিন্তু প্রতিবাদ জানায় বড় ক্লাবগুলো। বিশেষ করে ইস্টবেঙ্গল ও মহামেডান স্পোর্টিং। মোহনবাগানের পক্ষ থেকে সেই সভায় কেউ যোগ দেয়নি। দুই প্রধানের বক্তব্য ছিল পরিষ্কার, যেহেতু এবার ঘরোয়া লিগ খেলার জন্য দলগঠনের কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। তাই এখন বললে আর ভূমিপুত্রের সংখ্যা বাড়ানো অসম্ভব। আইএফএ তাই বাধ্য হয়ে ঠিক করে এবার সেই সংখ্যা ৫জনে নিয়ে আসা হচ্ছে। তবে আগামী বছর ৫-এর জায়গায় ৬ করতে হবে। যেহেতু আগে থেকে জানিয়ে দেওয়া হল তাই বড় ক্লাবগুলো কোনও অজুহাত দেখাতে পারবে না। তাই এবার ঠিক হয়েছে ঘরোয়া লিগের প্রিমিয়ার ডিভিসনে প্রথম একাদশে পঁাচজন ভূমিপুত্রকে রাখতেই হবে।
শুক্রবার আইএফএ অফিসের সামনে বাংলা পক্ষ নামক একটা সংস্থার পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয়েছে, ৯জন ভূমিপুত্র খেলানো বাধ্যতামূলক করা হোক। পঁাচজন করলে হবে না। বর্হিরাজ্যের দুজন বড় জোর প্রথম একাদশে থাকতে পারে। শুধু তাই নয়, বাংলা পক্ষ দাবি জানিয়েছে, যদি কোনও বর্হিরাজ্যের ফুটবলার বাংলার ভূমিপুত্র হিসেবে নিজেকে তুলে ধরার জন্য আধার কার্ড জালিয়াতি করে তাহলে সেই ফুটবলারকে গ্রেফতার করতে হবে। এমন কী যে ক্লাবের হয়ে খেলার জন্য আবেদন করবে সেই দলকেও সাসপেন্ড করা চাই। যদিও এই দাবি নিয়ে আইএফএ বিশেষ কোনও মন্তব্য করতে নারাজ। যেহেতু নিয়ম এবার হয়ে গিয়েছে। তবে বাংলা পক্ষ-র দাবি যে তঁারা খতিয়ে দেখবেন তা জানানো হয়েছে। বাংলা পক্ষর পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দেন অধ্যাপক গর্গ চট্টোপাধ্যায়।

সিনার শীর্ষে, দ্বিতীয় স্থানে আলকারাজ
গতবার জকোভিচকে ফাইনালে হারিয়ে ট্রফি তুলে ধরেছেন উইম্বলডন বিজয়ী আলকারাজ।