এ এক দারুন সিদ্ধান্ত নিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। এবার আইপিএল ফাইনালে সমাপ্তি অনুষ্টানকে অন্য মাত্রা দিতে চলেছেন ক্রিকেট কর্তারা। যা তাঁদের ভাবনাকে আলাদা মর্যাদা দেওয়া উচিত। শোনা গিয়েছে, ফাইনালের আগে ৪৫ মিনিটের অনুষ্টানে ভারতীয় সেনাদের কীর্তিকে সন্মান জানাতে এক অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এবার অনুষ্ঠানে লারে লাপ্পা গান বা নাচ হবে না। সেনাদের কীর্তিকে তুলে ধরা হবে উপস্থিত দর্শকদের সামনে। কয়েকজন সেনা কর্তাকে আমন্ত্রন জানানো হয়েছে। তাঁদের সামনে সেনাদের উদ্দেশ্যে গানও শোনা যাবে। এখানেই শেষ নয়, আরও কিছু পরিকল্পনা আছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের।
আগামি ৩ জুন আইপিএল ফাইনাল। আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে সেই ফাইনালের আগে অনেকেই আমন্ত্রিত। হেভিওয়েট রাজনৈতিক কর্তারাও থাকবেন। তাঁদের সঙ্গে বিশেষ আসনে থাকবেন সেনা কর্তারা। সকলের সামনে এই অনুষ্ঠানের ভাবনা। অপারেশন সিঁন্দুরের কথা সকলের মনে আছে। সেই অপারেশনে ভারতীয় সেনাদের উল্লেখষোগ্য কার্মকান্ডে পিছু হঠতে বাধ্য হয়েছিল প্রতিপক্ষ। তাঁদের কীর্তিকে সকলের সামনে আবার নিয়ে আসার পরিকল্পনা। জায়ান্ট স্ত্রিনে তাঁদের কর্মকান্ডের ছবি দেখানো হওয়ার কথা। ভারতীয় সেনাদের এই জয় কোনও কিছুর সঙ্গে তুলনা করা যায় না। বর্ডারের সেনাদের কথাও আলাদা করে বলতে হচ্ছে। সেখানে দাঁড়িয়ে দেশবাসীকে একটা কথাই শোনান, ভারত ঘুমিয়ে পড়। আমর আছি। তোমাদের দুশ্চিন্তার কারন নেই। দিনের পর দিন, বছরের পর বছর সেনারা বর্ডারে দাঁড়িয়ে ভারতবাসীকে সাহস জুগিয়ে এসেছেন। ভবিষ্যতেও আসবেন। তাই তাঁদের কীর্তি কোনও কিছুর সঙ্গে তুলনায় আসে না। আইপিএল ফাইনাল দেখতে ক্রিকেট বিশ্ব টিভির পর্দায় চোখ রাখবে। তাঁদের সকলের সামনে বোর্ড এমন কিছু করার ভাবনা ভেবে রেখেছে।
আরও আছে। নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে একটি স্ট্যান্ড সেনাদের নামে করার ভাবনা রয়েছে বোর্ডের। ইতিমধ্যে সেই স্ট্যান্ডের বাস্তব রুপ দিতে কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। তাই আইপিএল ফাইনালের আগে এমন অনুষ্ঠান দেশবাসীর কাছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের ভাবনাকে আলাদা মর্যাদা দেবে।