মুম্বই ইন্ডয়ান্স: ৫ উইকেটে ২২৮ (২০ ওভার)
গুজরাট টাইটান্স: ৬ উইকেটে ২০৮ (২০ ওভার)
ভারত অধিনায়ক শুভমান গিলদের হারিয়ে আইপিএলের সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। ফাইনালের টিকিট হাতে পেতে তাদের এবার খেলতে হবে পাঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে।
ভারত অধিনায়কের মুকুট কি চাপ ফেলে দিয়েছে শুভমান গিলকে। না হলে প্লে অফে পৌঁছনোর পর কেন তারা তিনটি ম্যাচ হারবেন। হরের হ্যাটট্রিক করে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেলেন গিলরা।
ঘরের মাঠে এমন পারফরম্যান্সের পর ইংল্যান্ডে গিয়ে কি করবেন গিল! এমন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আসলে চাপের কাছে নত স্বীকার করে গুজরাট হারিয়ে গেল। তাদের টেনে তোলার ক্ষমতা এই অধিনায়কের কাছ থেকে দেখতে পাওয়া গেল না।
মুম্বই ২০ রানে জিতে শ্রেয়স আইয়ারদের সামনে। শুক্রবার কার উপর ভর করে মুম্বই ম্যাচ বের করে নিল। না, আলাদা করে কারোর নাম করলে ভুল হবে। রান পাচ্ছিলেন না রোহিত শর্মা। বড় রানর ইনিংস কোথায় যেন হারিয়ে গিয়েছিল। তিলক ভার্মার ব্যাটেও রান দেখা যায়নি। হার্দিকের ব্যাট থেকেও রান কোথায় হারিয়ে গিয়েছিল। একমাত্র সূর্যকুমার যাদবের ব্যাট চওড়া হতে মুম্বই জিতছিল। কিন্তু গুজরাটের বিরুদ্ধে গোটা দল ছন্দ ফিরে পেল। রিঙ্কলটনের জায়গায় নিয়ে আসা হয়েছিল বেয়ারস্টোকে। রোহিতের সঙ্গে ওপেন করতে নেমে পাওয়ার প্লে তে যে ঝড় তুললেন, তাতে হারিয়ে গেল গুজরাট। প্রথম ছয় ওভারে মুম্বই তুলল ৭৯ রান। এবারের আসরে আগের ম্যাচগুলিতে শুরুতে মুম্বইকে এই মেজাজে দেখতে পাওয়া যায়নি। ২২ বলে ৪৭ রান করে বেয়ারস্টো আউট হওয়ার পর রোহিত ও সূর্যকুমার ম্যাচ ধরে নিলেন। এভাবেই মুম্বই পৌঁছে গেল বিরাট রানের ঘরে। একসময় মনে হয়েচিল রোহিত বুঝি সেঞ্চুরি পেয়ে যাবেন। কিন্তু ৫০ বলে ৮১ রান করে তিনি আউট হলেন। শেষ ওভারে হার্দিক দুটি ওভার বাউন্ডারি মেরে ২২৮ রানে দলকে নিয়ে গেলেন। ফলে ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স নয়, টিম মুম্বইয়ের দাপটে ওভার প্রতি প্রায় ১২ রানের কাছে দলের রানকে নিয়ে যেতে পেরেছিল। তাই গুজরাটের ইনিংস শুরু হওয়ার আগে মনে হয়েছিল, গুজরাট এই জায়গা থেকে ম্যাচ বের করে আনতে পারবে না।
তার উপর বোল্টের প্রথম ওভারে গিল আউট হয়ে যাওয়ার পর চাপ যেন বেড়ে গেল। মুম্বই দলে দীপক চাহার না থাকায় সমস্যা হয়েছিল। চাহার শুরুতে প্রতি ম্যাচে প্রতিপক্ষকে ধাক্কা দেন। হ্যামস্ট্রিংয়ে চোটের কারনে তিনি খেলতে পারলেন না। তাঁর জায়গায় এলেন ল্যাঙ্কাশায়ারের ৩৮ বছরের গ্লিসন। তাই বুমরাকে শুরুতে আনতে হল। এমন বোলিংয়ের সামনে দাঁড়িয়ে সাই সুদর্শন (৪৯ বল ৮০) দারুন একটা ইনিংস খেললেন। পাশে পেয়ে যান ওয়াশিংট সুন্দরকে (৪৮)। কিন্তু এই দুই ব্যাটসম্যান আউ হওয়ার পর গুজরাটকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। ওঁরা যতক্ষণ ছিলেন, ততক্ষণ ম্যাচে গুজরাট ছিল। তারর সব শেষ। এবার পাঞ্জাব ম্যাচে দেখতে হবে মুম্বইকে কোন মেজাজে দেখতে পাওয়া যায়। বিরাটদের সামনে ফাইনালে কারা আসবে- পাঞ্জাব নাকি মুম্বই।