লড়েও ভারতীয় জুটি পারল না শেষ হাসি হাসতে। সিঙ্গাপুর ওপেন ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতায় শেষমেশ ভারতীয় জুটিকে সেমিফাইনালে হেরে বিদায় নিতে হল। মালয়েশিয়ার জুটিকে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠেছিলেন ভারতীয়রা। অথচ সেমিফাইনালে মালয়েশিয়ার আর এক জুটি অ্যারন শিয়া-সোহ উই ইক-এর কাছে হার মানতে হল সাত্ত্বিকসাইরাজ রানকিরেড্ডি-চিরাগ শেট্টিকে। খেলার ফল ২১-১৯, ১০-২১ ও ১৮-২১।
অনেকে বলেন সকাল নাকি সারা দিনের আভাস দেয়। কথাটার মধ্যে মনে হয়না বিশেষ সারবত্তা আছে। নাহলে ভারতীয় জুটি শনিবার হারার কথা নয়। প্রথম গেমে দারুন লড়ে জিতে নিলেও পরের দুটো গেমে নিজেদের সেইভাবে মেলে ধরতে ব্যর্থ হলেন। শুরু থেকে কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জায়গা দেয়নি। প্রথম গেমের প্রথম হাফে ভারতীয় জুটি ১১-৮ এগিয়ে থাকলেও সর্বক্ষণ লড়াই হয়েছে সেয়ানে সেয়ানে। ২-২, ৫-৫, ৮-৮ এইভাবে খেলা এগোতে থাকে। এরপর িচরাগরা পরপর দুটো সার্ভিস জিতে নেয়। হয়ে যায় ১০-৮। বিরতির পরও দেখা যায় লড়াই তুঙ্গে। পয়েন্টের ব্যবধান রেখে ভারতীয় জুটি এগিয়ে গেলেও খুব একটা স্বস্তিদায়ক কিছু ছিল না। একটা সময় ১৮-১৮ হয়ে যায়। পরে দুটো পয়েন্ট নিয়ে সাত্ত্বিকসাইরাজ-চিরাগ জুটি পৌছে যায় ২০-১৮ পয়েন্টে। প্রচন্ড চাপে পড়ে যান মালয়েশিয়ার জুটি। তবু ২০-১৯ পয়েন্ট হয়ে যাওয়ার পর মনে হয়েছিল, ভারতীয় জুটি বোধহয় প্রথম গেম ধরে রাখতে পারবে না। কিন্তু শেষমেশ ২১-১৯ পয়েন্টে জিতে যায়।
দ্বিতীয় গেমে স্বমূর্তি ধারণ করে বসে মালয়েশিয়ার অ্যারন শিয়া-সোহ উই ইক। শুরু থেকেই চাপে ফেলে দেয় ভারতীয় শাটলারদের। ৫-০ ব্যবধান করে ফেলে। বিরতির সময় অ্যারন-সোহ জুটি এগিয়ে ছিল ১১-৫। তখনই বোঝা যাচ্ছিল ভারতীয়রা মোটেই সুবিধে করতে পারছেন না। ১৭-১০ থেকে ১৯-১০ হওয়ার পর সকলেই তখন বুঝে গিয়েছিলেন দ্বিতীয় গেম পকেটে পুরে ফেলেছেন অ্যারনরা। শেষ অবধি ২১-১০ জিতে নেয় মালয়েশিয়ার জুটি।
আশা করা গিয়েছিল তৃতীয় গেমে নিশ্চয় ভারত ঘুরে দঁাড়াবে। একটা সময় ৬-৬ ছিল। তারপর থেকে মালয়েশিয়া প্রচন্ড চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। বিরতির সময় ছিল ৭-১১। তারপর ঘুরে দঁাড়ানোর জন্য যে লড়াই করা দরকার ছিল সেটাই করে উঠতে পারছিল না ভারত। একটা সময় ১৫-১০ দঁাড়িয়ে থাকে ভারতীয় জুটি। ২০-১১ হয়ে যাওয়ার পর ভারতীয়রা এবার দঁাতে দঁাত চেপে লড়তে থাকে। কিন্তু ব্যবধানটা এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে সামান্য পদস্খলন ঘটলেই সব শেষ। হলও ঠিক তাই। শেষ অবধি ভারত ১৮-২০ অব্দি পয়েন্টের ব্যবধানে এসে দঁাড়িয়ে গিয়েছিল। যখন ভারতীয়রা আশায় বুক বঁাধছেন তখন অ্যারনরা ২১-১৮ পয়েন্টে জিতে যায় মালয়েশিয়া জুটি।

সিনার শীর্ষে, দ্বিতীয় স্থানে আলকারাজ
গতবার জকোভিচকে ফাইনালে হারিয়ে ট্রফি তুলে ধরেছেন উইম্বলডন বিজয়ী আলকারাজ।