আগামি ৪ জুন ফিফা ফ্রেন্ডলিতে থাইল্যান্ডের বিরুদ্ধে নামছে ভারতীয় ফুটবল দল। র্যাঙ্কিংয়ে অনেকটাই এগিয়ে আছে থাইল্যান্ড, তবে সেটা নিয়ে ভাবতে নারাজ মানালো মার্কুয়েজের ভারত। বরং শেষ দুটি সাক্ষাতে জিতেছিল টিম ইন্ডিয়া, তারমধ্যে ২০১৯-এ আবু ধাবিতে এএফসি এশিয়ান কাপে থাইল্যান্ডকে ৪-১ গোলে হারিয়ে ছিল ভারত। সেই দুরন্ত জয়টাই এই ম্যাচের আগে প্রেরণা সুনীলদের।
সেই ১৯৬২ জাকার্তা এশিয়াডে প্রথমবার মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। সেবারও ভারত জেতে ৪-১ গোলে। তারপর অবশ্য সময় বদলেছে। থাইল্যান্ড আমাদের থেকে এগিয়ে গেছে। এখনও পর্যন্ত মোট ২৬ বার মুখোমুখি হয়েছে দুই দল। থাইল্যান্ড জিতেছে ১২ বার, ভারত জিতেছে ৭ বার এবং ড্র হয়েছে ৭ বার।
২০১৯-এ যে ম্যাচে ভারত ৪-১ গোলে জিতেছিল সেই ম্যাচে সুনীল ছেত্রী দুটি গোল করেছিলেন। সুনীল জানান, “ম্যাচটা বেশ কয়েক বছর আগে হয়েছিল। যতটা মনে করতে পারছি গোটা দল খুব ভাল খেলেছিল। অনিরুদ্ধ থাপা ছিল অসাধারণ। উদান্তা খুব ভাল খেলেছিল। আসিক আমার পাশে ছিল। ভাল খেলেছিল। সেই সময়ও কাগজে কলমে থাইল্যান্ড আমাদের চেয়ে অনেকটা এগিয়ে ছিল। তবু আমরা শুধু ৪-১ গোলে জিতিনি, যেভাবে দাপট দেখিয়ে ছিলাম, সত্যিই দুর্দান্ত ব্যাপার ছিল।“ সে কারণেই সেই ম্যাচ থেকে প্রেরণা পাচ্ছেন সুনীল।
ভারত যেখানে এই মুহূর্তে ১২৭ নম্বরে আছে, থাইল্যান্ড সেখানে আছে ৯৯ নম্বরে। এমন একটা ম্যাচের আগে নিজের মত জানিয়েছেন ছাংতেও। তিনি জানান, “আমরা অনেকবার থাইল্যান্ডর সঙ্গে খেলেছি। খুব ভাল দল। জেতার জন্য ভীষণ ক্ষুধার্ত। ওরা সে রকমই একটা দল, যারা বল নিয়ে খেলতে ভালবাসে, তবে আমরা নিজেদের নিয়েই ভাবছি। আমরা অনুশীলনে যা করেছি ম্যাচে সেটা করতে পারলে থাইল্যান্ড ও হংকং দুটি ম্যচই জিতব। এএফসি এশিয়ান কাপে হংকংয়ের বিরুদ্ধে অত্যন্ত গুরুত্বপূরর্ণ ম্যাচে নামার আগে এই থাইল্যান্ড ম্যাচই সুনীলদের স্টেজ রিহার্সাল।