লালকার্ড দেখে রেফারির বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করলেন নেমার। জানিয়ে দিলেন, এই ধরনের রেফারি থাকলে আর যাইহোক ভাল কিছু আশা করা ঠিক হবে না।
১৭ এপ্রিল চোট পাওয়ার পর মাঠ থেকে ছিটকে যান ব্রাজিলিয়ান তারকা। প্রায় দেড় মাস পরে সোমবার ফিরেছিলেন মাঠে। কিন্তু সেই ফেরা মোটেই সুখকর হল না। হাত দিয়ে গোল করার অপরাধে রেফারি তঁাকে লালকার্ড দেখালেন। তিনি বেরিয়ে যাওয়ার দশ মিনিট পর গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়ল স্যান্টোস। সেই গোলই ম্যাচের ফল নির্ধারিত করে দেয়। সোমবার স্যান্টোসের খেলা ছিল বোতাফোগোর সঙ্গে। প্রথমার্ধে বোতাফোগোর এক ফুটবলারকে ফাউল করায় রেফারি নেমারেক হলুদ কার্ড দেখান। দ্বিতীয়বার হলুদ কার্ড দেখলেন আবার ৭৬ মিনিটে। স্যান্টোস আক্রমণে উঠে যে শট নিয়েছিল তা বোতাফোগোর গোলকিপার কোনওমতে সামাল দেন। কিন্তু সেই বল আদৌ তঁার নিয়ন্ত্রনে ছিল না। গোলকিপারের বঁাচানো বল নিজের নিয়ন্ত্রণে নিতে ছুটে আসেন নেমার। সেই সময় বোতাফোগোর এক ডিফেন্ডার পা উঁচিয়ে বল ক্লিয়ার করতে মরিয়া মনোভাব দেখান। ছুটে যান নেমারও। কিন্তু বোতাফোগোর ডিফেন্ডার বল ক্লিয়ার করার আগেই নেমার হাত দিয়ে বল জালে ঢুকিয়ে দেন। ব্যস, শুরু হয়ে যায় হইচই। বোতাফোগোর ফুটবলাররা ছুটে আসেন। রেফারিকে তঁারা ক্রমাগত প্রতিবাদ জানাতে থাকেন। এই ঘটনার জন্য নেমারকে দ্বিতীয়বার হলুদ কার্ড সহ লালকার্ড দেখান রেফারি। নেমার মাঠ ছাড়ার কিছুক্ষণ পরেই গোল করে চলে যায় বোতাফোগো। ফলে নেমার যেমন একদিকে দীর্ঘদিন পর খেলতে নেমে স্যান্টোস সমর্থকদের চক্ষুশূল হলেন। অন্যদিকে দলকে হারানোর জন্য তিনি হয়ে গেলেন এক নম্বর ভিলেন।
ম্যাচ শেষে দেখা যায়, সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা পোস্ট করেছেন নেমার। সেই পোস্টে মূলত দোষী সাব্যস্ত করেছেন রেফারিকে। তঁার দাবি প্রথম কার্ড দেখানোটাই ছিল আসলে ভুল। “দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখানো নিয়ে আমার কোনও বক্তব্য নেই। বলব ঠিকই আছে। কিন্তু রেফারি প্রথম কার্ড কেন যে দেখালেন সেটাই বুঝলাম না। আমার মনে হয় পুরোটাই তিনি তামাশা করলেন। সামান্য আঘাত করেছিলাম। দেখলাম রেফারি সঙ্গে সঙ্গে পকেট থেকে কার্ড বের করে দেখিয়ে বসলেন। রেফারিং এতটাই খারাপ যে বলার কিছু নেই। তবে যা জানাচ্ছি তা আমার ব্যক্তিগত মত। দয়া করে আমাকে যেন বাড়তি শাস্তি দেওয়া না হয়।” সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন নেমার। তবে ফুটবল মহলের খবর স্যান্টোসে হয়তো শেষ ম্যাচ খেলে ফেললেন ব্রাজিলিয়ান তারকা। জুনে তঁার সঙ্গে চুক্তি শেষ হচ্ছে স্যান্টোসের। লিগের একটা ম্যাচ বাকি। তারপর মরশুম শেষ হয়ে যাবে। লালকার্ড দেখায় সেই ম্যাচ তিনি খেলতে পারবেন না। মনে হয়না স্যান্টোস চুক্তি নবীকরণের দিকে এগোবে। তাই বলে দেওয়া যায়, নেমারের হয়তো শেষ ম্যাচ খেলা হয়ে গেল। হারের ফলে অবনমনে থাকা স্যান্টোসের অবস্থা মোটেই ভাল জায়গায় থাকলো না। ২০ দলের মধ্যে লিগ টেবিলে স্যান্টোসের অবস্থান এখন ১৮ নম্বরে।
(ছবি-নেমারকে লালকার্ড দেখাচ্ছেন রেফারি।)

সিনার শীর্ষে, দ্বিতীয় স্থানে আলকারাজ
গতবার জকোভিচকে ফাইনালে হারিয়ে ট্রফি তুলে ধরেছেন উইম্বলডন বিজয়ী আলকারাজ।