আইপিএল ফাইনালের আগেরদিন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে সামনে পেলে ক্রিকেট থাকবে না, তা হয় নাকি! সোমবার বিকেলে সিএবি এসেছিলেন অ্যাপেক্স কমিটির মিটিংয়ে যোগ দিতে। তার সঙ্গে মিশে গেল ঘরোয়া ক্রিকেটের লিগ ফাইনালে ইস্টবেঙ্গল ও ভবানীপুরের ম্যাচ নিয়ে গোলমাল। সেটা প্রথমে সামলালেন। তারপর অ্যাপেক্স কমিটির মিটিং শেষ করলেন। মিটিংয়ে বেঙ্গল প্রো লিগ নিয়ে নানা কথা হল। ১১ জুন থেকে শুরু হচ্ছে বেঙ্গল প্রো লিগ। হাতের সামনে এসে যাওয়ায় নিজেদের মধ্যে আলোচনা সেরে নিলেন। এসব করে বাড়ি ফিরতে যাওয়ার জন্য গাড়িতে ওঠার আগে চলে এল আইপিএল ফাইনাল। আগে ট
ঠিক ছিল ৩ জুন ইডেনে আইপিএল ফাইনাল হবে। সেটা যদি হত তা হলে সোমবার বিকেল থেকে সাজ সাজ রব দেখা যেত নন্দন কাননে। কিন্তু বৃষ্টিকে সামনে এনে বোর্ড অনেক আগে তা নিয়ে গিয়েছে আমেদাবাদের মাঠে। তাই ইডেন শান্ত। নেই হুডে়াহুড়ি। কেন ম্যাচ সরল তা নিয়ে এখন আর কথা বলে লাভ নেই। সবাই জানেন কেন ম্যাচ সরিয়ে নেওয়া হল। কিন্তু আমেদাবাদে ফাইনাল সরে গেলেও ইডেনে তার আলোচনা হবে না সেট কি করে হয়। সৌরভের সামনে প্রশ্ন তুলে ধরা হলে তিনি বলেন, কে জিতবে তা বলা মুশকিল। কাউকে এগিয়ে বা পিছিয়ে রাখাও সম্ভব নয়। দুটো দলই ভাল খেলে ফাইনালে এসেছে। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে পাঞ্জাব অসাধারন ক্রিকেট খেলল। শ্রেয়সের ব্যাপারে কোনও প্রশংস যথেষ্ট নয়। একার হাতে ম্যাচকে টেনে নিয়ে গেল। আর আরসিবি কদিন আগে পাঞ্জাবকে সহজে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে। তাই দুদলের এই খেতাবি লড়াই অনেক জমজমাট হবে। যে ভাল খেলবে সে জিতবে, এর বাইরে তো কোনও কথা বলার জায়গা নেই।
পাঞ্জাব ১১ বছর পর আবার ফাইনাল খেলছে। তারা এর আগে ট্রফি জেতেনি। আর আরসিবি! বিরট কোহলি টানা ১৮ বছর এই দলের হয়ে খেলে চলেছেন। অনেক ট্রফি জিতেছেন। কিন্তু আইপিএল জয় হয়নি। এবার আরসিবি ফ্যানদের চাহিদা ট্রফি চাই। এই প্রত্যাশার চাপ বিরাটকে নিজের খেলা থেকে সরিয়ে দেবে না তো! সৌরভ শুনে বললেন, এমন অনেক চাপ নিয়ে বিরাট আগেও খেলেছে। বিরাটের মতো ক্রিকেটারের উপর চাপ তো থাকবেই। নিজের পারফরম্যান্সের কারনে ফ্যানরা ওর উপর চাপ বাড়িয়ে দিয়েছে। এই জায়গায় দাঁড়িয়ে নিজের সেরাটা কি করে বের করে আনতে হয় তা বিরাট জানে। আর জানে বলে ওর কাছ থেকে অনেক ভাল ইনিংস আমরা দেখতে পেয়েছি। আশা করি ফাইনালে আমাদের একটা ভাল ইনিংস বিরাট উপহার দেবে।
আইপিএল থেকে অনেক ভাল ক্রিকেটার আলোচনায় চলে আসে। জাতীয় দলে নিজেদের জায়গা পাকা করে নেয়। এবার কাকে তাঁর চোখে পড়ল। একথা শুনে সৌরভ কিছুটা সময় নিলেন। তারপর বললেন, অনেকে চোখে পড়েছে। এই যেমন শ্রেয়স। এই মরশুমে দারুন খেলছে। ওর সঙ্গে আরও অনেকের নাম করতে হয়। সকলের নাম এই মুহুর্তে মনে পড়ছে না। তবে পাঞ্জাবের নেহাল, আরসিবির জিতেশ শর্মা, সিএসকের ব্রেভিস। অনেকে আছে। যারা এবারের আইপিএল থেকে নিজেকে আলোচনায় নিয়ে এসেছে।
বৈভবের কথা বললেন নাা! সৌরভ বললেন, বাঁহাতি ব্যাটসম্যানদের খেলা এমনিই সকলের ভাল লাগে। বৈভবের মধ্যে ট্যালেন্ট আছে। মানসিক জোরও চোখে পড়ার মতো। তবে সামনের দিনে নিজেকে কোন জায়গায় নিয়ে যায়, সেটা দেখতে হবে। তারপর ওকে নিয়ে কথা বলার সময় আসবে।