আবার কিয়ান নাসিরি মোহনবাগানে ফেরার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন। ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক করে একসময় তিনি ভারতীয় ফুটবলে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন। তারপর যত দিন গিয়েছে ততই তিনি নিজের জায়গা ধরে রাখতে পারেননি। একসময় হতাশ হয়ে মোহনবাগান ছেড়েছিলেন। যোগ দেন চেন্নাইয়িন এফসিতে। কিন্তু সেখানেও সুবিধে করতে পারেননি। তাই ঘরের ছেলে চাইছেন ঘরে ফিরে আসতে। যেহেতু মোহনবাগানেই তঁার উত্থান। ছোট বেলা থেকে মোহনবাগানে তিনি খেলা শিখেছেন। সেই কারণে নাসিরির প্রস্তাব হয়তো ভেবে দেখতে পারে সবুজ-মেরুন শিবির।
প্রাক্তন ফুটবলার জামশিদ নাসিরির ছেলে কিয়ান নিঃসন্দেহে উঠতি তারকাদের মধ্যে একজন। খুব ভালো খেলছিলেন। কিন্তু সময় যত গড়িয়েছে ততই নিজেকে সেইভাবে ধরে রাখতে পারেননি। ফলে জামশিদ নাসিরির ছেলে হারিয়ে যান ময়দানে। কিছুটা হতোদ্যম হয়ে তিনি পাড়ি দিয়েছিলেন দক্ষিণ ভারতের দলে। হয়তো ভেবেছিলেন, সেখানে গিয়ে তিনি প্রথম একাদশে খেলবেন। গুরুত্ব পাবেন। দেখা গেল ঠিক উল্টো। সেভাবে ম্যাচ খেলার সুযোগ সেখানে পাননি। যে ক-টা ম্যাচ খেলেছেন তাতে দেখা গিয়েছে বেশিরভাগ সময় পরবর্তীকালে মাঠে নামতে। প্রথম একাদশে খেলার সুযোগ পাননি বললেই চলে। তাই কিয়ান মোহনবাগানের কাছে প্রস্তাব দিয়েছেন, তঁাকে যেন ফিরিয়ে নেওয়া হয়। কলকাতায় এসে তাহলে থাকতে পারবেন। আপাতত মোহনবাগান তঁার প্রস্তাবে নিরুত্তর আছে। টিম ম্যানেজমেন্ট এই নিয়ে আলোচনায় বসেনি। বৃহস্পতিবার কোচ জোস মলিনার সঙ্গে ক্লাবের ভিডিও কনফারেন্স হওয়ার কথা আছে। যদি হয় তাহলে কিয়ানকে নেওয়ার জন্য কথা হতে পারে। মলিনা সবুজ-সঙ্কেত না দেওয়া অব্দি দলগঠনের কাজে হাত দেবে না মোহনবাগান।
প্রীতম কোটাল চাইছেন নিজগৃহে ফিরতে।
শুধু কিয়ান নন, প্রীতম কোটালও চান নিজের শহরে ফিরে আসতে। নিঃসন্দেহে প্রীতম হলেন মোহনবাগানের ঘরের ছেলে। একসময় দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাছাড়া সবুজ-মেরুন জার্সি পরে খেলতে তিনি সাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। তাই প্রীতম চাইছেন কলকাতায় ফিরে আসতে। সেখানেও বাধা হয়ে দঁাড়িয়েছেন কোচ। যদি মলিনা জানিয়ে দেন, প্রীতমকে দিয়ে তঁার চলবে তাহলে দলে নিতে কুন্ঠাবোধ করবে না সবুজ-মেরুন শিবির। এদিকে বাস্তব রায়ের সঙ্গে আরও এক বছরের মেয়াদ বাড়াল মোহনবাগান। ৩১ মে তঁার চুক্তি শেষ হয়ে গিয়েছিল। বাস্তবকে রাখার জন্য মলিনা নাকি আপত্তি জানাননি। বরং বুঝিয়ে দিয়েছেন, তঁার সঙ্গে নাকি বোঝাপড়া বেশ ভালো। তাই বাস্তবকে রেখে দিচ্ছে মোহনবাগান।