২০২৩ এর ১৯ নভেম্বর। আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম।
২০২৫ এর ৩ জুন। আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম।
দুবছরের মধ্যে মোতেরার মাঠে প্রায় একই ঘটনা চোখে পড়ল। দুটির মধ্যে মিল যেমন আছে, তেমন অমিলও আছে।
প্রথমটি ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারের পর শুধু ভারতীয় ক্রিকেট দল নয়, কেঁদেছিল গোটা দেশ।
আর দ্বিতীয়টি এখনও টাটকা। আইপিএল ফাইনালে বিরাট কোহলিরা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর বিরাট কাঁদলেন। কাঁদল বিরাটের ফ্যানরাও। মোতেরা ব্যর্থতায় জলে চোখ ভরিয়ে দেয় না, আনন্দেও চোখে জল এনে দেয়। তাঁদের অপেক্ষার অবসান হল দীর্ঘ ১৮ বছরের মাথায়। একটু দেরিতে হলেও ট্রফি এল তো। সেটই মনে করিয়ে দিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। বুধবার মিডিয়ার সামনে কথা বলতে গিয়ে তিনি জানালেন, হ্যাঁ, সেরার শিরোপা জিততে অনেকটা দেরি হয়ে গেল। তবে সাফল্য এল তো! সেটাই কম কিসের। আইপিএল একটা নতুন চ্যাম্পিয়নকে পেল। এটা মানতেই হবে, এবারের টুর্নামেন্টে ওরা শুরু থেকে ভাল ক্রিকেট খেলে এসেছে। ফাইনালেও একই ধারা ধরে রেখেছে। তাই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
সৌরভের কাছে আইপিএল পর্ব এখানেই শেষ। কিন্তু ক্রিকেট শেষ হল না। সামনে ইংল্যান্ড সিরিজ। ভারতীয় দলে খেলতে দেখা যাবে না বিরাট ও রোহিতকে। তাঁদের অবর্তমানে ভারতীয় দল কতটা ভাল পারফরম্যান্স মেলে ধরতে পারে তা দেখার ব্যাপার। তাদের সামনে এটা একটা চ্যালেঞ্জ। প্রসঙ্গ উঠতে সৌরভ বলছিলেন, ভারতীয় দল আশা করি ভাল ক্রিকেট খেলবে। এবারের দলটিকে কেন নতুন বলে মনে হচ্ছে। ২০২১ সালে অস্ট্রেলিয়ার মাঠে ভারতের যে দলটি খেলছিল, সেখানেও তো অনেক করুন ক্রিকেটার ছিল। তা-ও ভারতীয় দল সিরিজ জিতেছিল। সেদিনের কথা কেউ একবারও বলছেন না। তাই এবার কিছু একটা হতে পারে বলে আমার বিশ্বাস। অপেক্ষায় আছি বুমরা কতটা ফিট হয়ে খেলতে পারবে। বুমরা যদি পাঁচটি টেস্ট খেলতে পারে, তা হলে ভারত কিছু একটা রে দেখাতে পারে। ইংল্যান্ডের কথা উঠলে আমার ১৯৯৬ সালের কথা মনে পড়ে। আমার সঙ্গে রাহুলেরও সেই সিরিজে অভিষেক হয়েছিল। আমরাও ভাল ক্রিকেট খেলেছিলাম। এবার কেউ হয়তো সেভাবে আলোচনায় চলে আসতে পারে।
করুন নায়ারকে নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। ভারতীয় এ দলের হয়ে ডবল সেঞ্চুরি করলেন নায়ার। টেস্ট সিরিজে বিরাটের জায়গায় তাঁকে কি খেলানোর কথা ভাবা যেতে পারে! সৌরভ এই সিদ্ধান্তটি গিলর উপর ছেড়ে দিলেন। বললেন, আইপিএলে গিল গুরাটকে ভাল নেতৃত্ব দিল। আশা করি জাতীয় দল নিয়েও এমনভাব চলতে পারবে। নায়ার খেলবে কি খেলবে না, সেটা পুরোপুরি গিলের উপর নির্ভর করবে। গিল চাইলে খেলবে, নইলে নয়। আরও অনেকে তো দলে আছে। তাদের মধ্যে থেকে কেউ একজন চার নম্বরে চলে আসবে। এখনও সময় আছে। তাই আলাদা করে ভাবনা চিন্তার সময়ও আছে। এখনই আলোচনা করার দরকার নেই।