শেষের শুরুর অধ্যায় কি শুরু হয়ে গেল পিভি সিন্ধুর? নাহলে এভাবে একের পর এক টুর্নামেন্টে এভাবে হারবেন কেন? পরপর প্রতিযোগিতায় নামছেন হয় প্রথম রাউন্ড, নয়তো দ্বিতীয় রাউন্ডে ব্যর্থতার নামাবলী গায়ে দিয়ে কোর্ট ছাড়ছেন। ইন্দোনেশিয়া ওপেন সুপার ১০০০ টুর্নামেন্টে তারই পুনরাবৃত্তি ঘটল।
ইন্দোনেশিয়ায় প্রথম রাউন্ডে অসাধারণ খেলে জিতেছিলেন জাপানের নোজোমি ওকুহারার বিরুদ্ধে। দুরন্ত লড়াই করার প্রতিচ্ছবি সকলে দেখে আশা করছিলেন, নিশ্চয় এবার পুরোন ফর্মে দেখা যাবে হায়দরাবাদি শাটলারকে। দ্বিতীয় রাউন্ডে এসে যাবতীয় স্বপ্ন ধূলিস্নাত্্। সিন্ধু হার মানলেন থাইল্যান্ডের পর্ণপাউই চোচুওংয়ের কাছে। প্রথম গেম জিতেও পরপর দুটো গেমে হেরে বিদায় নিতে বাধ্য হলেন সিন্ধু। খেলা শেষ হয়ে গেল মাত্র ৭৮ মিনিটে। খেলার ফল ছিল ২২-২০, ১০-২১ ও ১৮-২১। ম্যাচের পর হতাশার সুরে সিন্ধুকে বলতে শোনা যায়, ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ রেখেও তিনি হারতে বাধ্য হলেন। “ম্যাচটা জেতা উচিত ছিল। তৃতীয় গেমে ১৬-১৩-তে এগিয়ে ছিলাম। কিন্তু তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে নিজের বিপদ নিজেই ডেকে আনি। নিয়ন্ত্রণ রেখে খেলা চালিয়ে যেতে পারলে ম্যাচটা জিতে যেতে অসুবিধে হত না। পর্ণপাউ তারপর এগিয়ে গেল। ১৮-১৮ করে ফেললাম। তারপর ম্যাচটা যে কেউ জিততে পারতো।” যদিও নিজের পারফরম্যান্সে খুশি সিন্ধু। “যদি পারফরম্যান্স নিয়ে আমার বিচার করেন তাহলে বলব, আমি খুশি। যদি ম্যাচটা জিতে যেতাম তাহলে কারও কিছু বলার থাকতো না। মানছি, এই ম্যাচ থেকে অনেক কিছু শিখলাম। যা ভবিষ্যতে কাজে লাগাতে পারব।” বলেন সিন্ধু। প্রথম গেমে ১০-১৬ পিছিয়ে থেকেও ম্যাচ বের করে নিয়ে চলে যেতে পেরেছিলেন তিনি। কিন্তু তৃতীয় গেমে ঘটলো ঠিক উল্টো। এগিয়ে গিয়েও গেমটা ধরে রাখতে পারলেন না।
লড়াই চালিয়ে জিতলেন চিরাগ-সাত্ত্বিক জুটি।
সিন্ধু হারলেও ভারতীয় পুরুষদের ডাবলস জুটি সাত্ত্বিকসাইরাজ রঙ্কিরেড্ডি ও চিরাগ শেট্টি জুটে জিতে গিয়েছেন। তঁারা হারালেন ডেনমার্কের রাসমাস কায়ের ও ফ্রেডেরিক সোগার্ডকে। এক ঘন্টা আট মিনিটের পর সাত্ত্বিক-চিরাগরা জিতে যান ১৬-২১, ২১-১৮ ও ২২-২০-তে। পৌছে গেলেন কোয়ার্টার ফাইনালে। প্রথম গেম হেরে গিয়েছিলেন। কিন্তু অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখিয়ে পরপর দুটো গেম জিতে নেন।