বিরতির আগে ছিল ২-০। ৫৫ মিনিটে সেই ব্যবধান বেড়ে দঁাড়াল ৪-০। অথচ সেই ম্যাচের যবনিকা হল কঠিন রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে। এভাবেই নেশনস লিগের সেমিফাইনালে স্পেন ৫-৪ গোলে ফ্রান্সকে হারিয়ে পৌছে গেল ফাইনালে। এবার ইয়ামালদের সামনে লড়াই ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোদের সঙ্গে। ফাইনাল হবে রবিবার।
২২ মিনিটে গোল করা শুরু করেছিল স্পেন। প্রথম গোলটা করেন নিকো উইলিয়ামস। কিছুক্ষণ পরে মিকেল মেরিনো ফের গোল করে বিরতির আগে ২-০ গোলে স্পেনকে এগিয়ে দেন। ফরাসিরা নিশ্চয় বিরতির পর ঘুরে দঁাড়াবে, এটাই সকলে ভেবেছিল। কিন্তু ঘটল ঠিক উল্টো। ৫৪ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন ইয়ামাল। তার ঠিক এক মিনিট পরেই চতুর্থ গোলটা করেন পেদ্রি। ্ভাবুন একটা দল ৪-০ গোলে এগিয়ে গিয়েছে। ম্যাচের আধিপত্য সম্পূর্ন তাদের মুঠোয় চলে এসেছে। তারপরের অধ্যায়টা ছিল রূপকথার কাহিনির মতো। ফরাসি বিপ্লবে এবার স্প্যানিশদের বিধ্বস্ত চেহারা লক্ষ্য করলেন দর্শকরা। একটা সময় মনে হচ্ছিল, ইয়ামালরা না হেরে বসেন। যদিও ৬৭ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল করে ফেলেছেন ইয়ামাল। স্পেনের গোলসংখ্যা তখন দঁাড়িয়ে গিয়েছে পঁাচে। তারপরও দেখা গেল ফ্রান্স ছাড়ার পাত্র নয়। ফরাসিদের হয়ে গোল করা শুরু করেছিলেন এমবাপে। ৫৯ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে তিনি ১-৪ করেন। ৭৯ ও ৮৪ মিনিটে গোল করেন যথাক্রমে রায়ান শেরকি ও দানি ভিভিয়ান। তখন ব্যবধান কমে এসে দঁাড়ায় ৩-৫। তারপর যোগ করা সময়ে রানদাল কোলো মুয়ানি গোল করে সেই ব্যবধান নিয়ে আসেন ৪-৫। শুধু কাঙ্খিত একটা গোল পেলেই বিশ্ব ফুটবলে নজীর গড়ে রাখত ফ্রান্স।
এবার নিয়ে মোট ছয়বার এমবাপের
এমবাপেকে অসহায় করলেন ইয়ামাল।
দলকে হারালেন ইয়ামাল। এমবাপের মুখোমুখি হয়ে প্রতিবারে জিতলেন বার্সেলোনার তারকা। রিয়াল মাদ্রিদের এক নায়ককে হতাশার সাগরে ভাসিয়ে দিতে পেরেছেন। রবিবার কি পারবেন সংশ্লিষ্ট ক্লাবের প্রাক্তন নায়ককে পরাজয়ের স্বাদ দিতে? নাকি ইয়ামালকে হারিয়ে রোনাল্ডো বোঝাবেন, চল্লিশোর্ধ মানুষটি এখনও ফুরিয়ে যাননি? রবিবার ফাইনালে রোনাল্ডো প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইয়ামাল শ্রদ্ধার আসনে প্রতিদ্বন্দ্বীকে বসিয়ে বলেন, “তিনি একজন কিংবদন্তী। তাঁর বিপক্ষে খেলাও তো আমাদের কাছে স্বপ্নের মতো। তবে মাঠে নেমে নিশ্চয় তারকা বন্দনায় যাব না। তিনি যেমন চাইবেন আমাদের হারাতে। ঠিক তেমনি আমিও চেষ্টা করব গোল করে স্পেনকে জেতানোর।”