প্রত্যাশা ছিল একটাই, কার্লো আনচেলেত্তি দায়িত্ব নিয়ে নিশ্চয় হতোদ্যম ব্রাজিলকে ঠিক টেনে তুলবেন। কিংবা এমন পর্যায়ে নিয়ে আসবেন যেখানে তারকাদের নিয়ে নতুন করে স্বপ্ন দেখা যায়। কোনও সন্দেহ নেই, সবক্ষেত্রে আনচেলেত্তি অসফল। অন্তত ইকুয়েডর ম্যাচ প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। বরং ভাগ্য সুপ্রসন্ন না হলে ব্রাজিলের কপালে দুঃখ ছিল। যদি গোলের সহজ সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারত ইকুয়েডর তাহলে ম্যাচ কোনওমতে গোলশূন্য থাকে না।
প্রথম অ্যাসিড টেস্টে ফেল করলেন আনচেলেত্তি।
তাই বলে ব্রাজিল একদম খেলতে পারেনি তা নয়। মাঝে মধ্যে আক্রমণে গিয়েছে। কিন্তু কখনও ব্রাজিলোচিত ফুটবল দেখা যায়নি। ধারাবাহিকতার অভাব স্পষ্ট হয়ে উঠেছে বারংবার। না ছিল নিজেদের মধ্যে পাশ খেলার কোনও উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত, না ছিল দুরন্ত কোনও আক্রমণ। এতটাই ছন্নছাড়া ফুটবল ছিল যে, গ্যালারিতে মাঝে মাঝে বিদায়ী কোচ দরিভাল জুনিয়রের কথা তুলে ধরেন ব্রাজিলের সমর্থকরা। এমনও গ্যালারিতে শোনা যায়, তঁার আমলে দল অনেক ভাল খেলেছে। প্রথমার্ধ গোলশূন্য থাকার পর বিরতির পর বল দখলে অনেকটা এগিয়ে যায় ইকুয়েডর। শুরু থেকেই তারা আক্রমণে বেপরোয়া ভঙ্গিতে ঝঁাপিয়ে পড়ে। মুশকিল হচ্ছিল, গোল করার তেমন কেউ মুন্সিয়ানা দেখাতে পারেননি। যদি দেখাতে পারতেন তাহলে ব্রাজিলের কপাল পুড়ত। যখন দল প্রতিপক্ষের কাছে প্রায় আত্মসমর্পন করে বসেছে তখন তড়িঘড়ি করে দুটো পরিবর্তন আনেন ইতালিয়ান কোচ। নিয়ে আসেন মাঠে গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেল্লি ও ম্যাথিউস কুনিয়াকে। তবু ব্রাজিলের খেলায় রং বদল হতে দেখা যায়নি। বরং আক্রমণের ধারা যদি শতকরা হিসেবে ফেলা হয় তাহলে অবশ্যই এগিয়ে থাকত ইকুয়েডর। বিশেষ করে খেলার শেষ দিকে তারা প্রায় চেপে ধরে ছিল ইকুয়েডরের ফুটবলাররা। কিন্তু সামাাল দেন ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডাররা।
বর্তমান ড্র-এর ফলে দক্ষিণ আমেরিকা বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ১৫ ম্যাচে ২২ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে আছে ব্রাজিল। একদিক দিয়ে বঁাচোয়া, দল যেখানে ছিল লিগ টেবিলের সেখানেই থেকে গেল। অন্যদিকে আনচেলেত্তিকে নিয়ে শুরু হয়ে গেল ব্রাজিল জুড়ে জোর গুঞ্জন।