আইপিএল ফাইনালের ৪৮ ঘন্টা আগে শোনা গিয়েছিল যে বোর্ডের তরফ থেকে আরও একবার বিরাটকে বলা হবে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর ভেঙ্গে বেরিয়ে এস। আবার মাঠে নেমে পড়। আইপিএল চেয়ারম্যান অরুন ধুমাল এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন আরসিবি চ্যাম্পিয়ন হলে আমি নিজে বিরাটের সঙ্গে কথা বলব।
জানা যায়নি, আরসিবি চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর বিরাটের সঙ্গে ধুমাল কথা বলেছেন কিনা। সবাই বিশ্বাস করেন, বিরাটকে অবসর ভেঙ্গে আবার টেস্ট ক্রিকেটে মাঠে নামতে বল হলে তিনি রাজি হবেন না। কিন্তু কথা কি আদ হয়েছে!
অরুন ধুমালের পর এ ব্যাপারে এবার এগিয়ে এলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক। এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ নিয়ে অনেক কথাই শোনালেন। তিনি বলছেন, ইংল্যান্ড সফরে ভারতীয় ক্রিকেট দল ভল পারফরম্যান্স না করলে বিরাটের উপর এ নিয়ে চাপ বাড়তে পরে। ধরে নেওয়া যাক ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারত ৫-০ ম্যাচে সিরিজ হারল। তখন কি সবাই হাত গুটিয়ে বসে থাকবেন। না, বোর্ড কর্তা থেকে শুরু করে ক্রিকেট ফ্যানরা বিরাটের উপর চাপ তৈরি করবেন। তাঁকে ফিরে আসতে অনুরোধ করবেন। তখন বিরাট সেই অনুরোধ ফেলে দিতে পারবে! নিজের ইচ্ছে কিন্তু হার মানবে। আমি বিশ্বাস করি না ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারতীয় দল এমন হতশজনক পারফরম্যান্স করবে। ২০০৭ সালের পর ভারতীয় দল ইংল্যান্ড গিয়ে সিরিজ জিততে পারেনি। এবার তেমন হবে বলে মনে হয় না। কিন্তু যদি তেমন কিছু হয় তা হলে বিরাটকে ফিরে আসর অনুরোধ করা হবে। বিশেষ করে ফ্যানদের চাপের কাছে হার মেনে বিরাট টেস্ট ক্রিকেটে আবার ফিরে আসতে পারে।
এবার আইপিএলে ব্যাটসম্যান বিরাট ফ্যানদের হতাশ করেননি। ছশোর উপর রান করেছেন। স্ট্রাইক রেট ভাল না হলেও ফাইনালে ৪৩ রানের ইনিংংস তাঁর কছ থেকে পাওয়া গিয়েছে। আসলে বিরাটের এখন খিদে আছে। প্রচন্ড ফিট বলে মাঠে ছুটতে অসুবিধা হয় না। আজকের ভারতীয় দলে তাঁর মতো ফিট ক্রিকেটার কজ আছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। আর এটাই বিরাটকে ভাল পারফর্ম করতে সাহায্য করে। তাঁর ব্যাডপ্যাচ-এর সময় হতাশায় ভেঙ্গে না পড়ে বাড়তি পরিশ্রম করে রানে ফিরে আসার চেষ্টা করেন। অনেকে নিজেকে হারিয়ে ফেলেন। বাড়তি খাটনির চেষ্টা না করে নিজেকে গুটিয়ে নেন। বিরাট সেই জাতের ক্রিকেটার নন। তাই তিনি আজও রান করে যাচ্ছেন। আরও দুবছর তিনি অনায়াসে টেস্ট ক্রিকেট খেলে দিতে পারেন। সেটাই অনেকে চাইছেন। টেস্ট ক্রিকেটে বিরাট ফিরে আসুন। ভারতীয় দলকে সামনে টেনে নিয়ে যান।
তবে ভারতীয় দল ইংল্যান্ডে ভাল খেলে দিলে এই প্রশ্ন উঠবে না। এটা নিশ্চিত করে বলে দেওয়া যায়। গম্ভীর বা আগারকররাও এ নিয়ে কোনও কথা বলবেন না। সিরিজ জিতলে তো কথাই নেই। সন্মানজনক হার হলেও পিছন ফিরে থাকাবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করবেন না। তাই ক্লার্ক বলছেন, ইংল্যান্ডে খারাপ পারফরম্যান্স হলেই বিরাটকে নিয়ে আবার কথা উঠতে পারে। না হলে নয়।