মহেন্দ্র সিং ধোনির আইসিসি হল অফ ফেলে স্থান পাওয়ায় আপ্লুত রবি শাস্ত্রী। তিনি মনে করছেন, ধোনির মতো ক্রিকেটারের হল অফ ফেমে স্থান পাওয়া খুবই স্বাভাবিক। অধিনায়ক হিসেবে যেমন একদিকে ভারতীয় ক্রিকেটকে মর্যাদার আসনে বসিয়েছেন। অন্যদিকে তঁার কিপিং বিস্মিত করেছে বিশ্ব ক্রিকেটকে। সেই কারণে ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন কোচ মনে করছেন, উইকেট পেছনে দঁাড়ানো ধোনি একজন পকেটমারের থেকেও ক্ষিপ্র হাত চালায়। যা প্রতিপক্ষের কাছে দুঃস্বপ্ন হয়ে ওঠে।
ধোনির সাফল্যের মুকুটে আইসিসি হল অফ ফেমের যে পালক সংযোজিত হল তা কিন্তু ভারতীয় হিসেবে প্রথম নন। ১১তম ভারতীয় হিসেবে এই জায়গায় স্থান পেলেন তিনি। প্রাক্তন কোচ রবি শাস্ত্রী ধোনির এই অসামান্য কীর্তিকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন। বিশেষ করে তঁার উইকেট কিপিংকে। শাস্ত্রীর মতে, ধোনি যেভাবে উইকেটের পেছনে দঁাড়িয়ে ক্ষিপ্রতার সঙ্গে প্রতিপক্ষ ব্যটসম্যানের স্ট্যাম্প ভেঙে দিতে পারেন তা অতুলনীয়। “উইকেটের পেছনে দঁাড়িয়ে একজন পকেটমারের থেকেও দ্রুত হাত চালায়।” পরমুহূর্তে শাস্ত্রী দর্শকদের উদ্দেশ্যে বলছিলেন, “যদি আপনি ভারতে থেকে আমেদাবাদের মতো কোনও বড় ক্রিকেট মাঠে খেলতে চান তাহলে মনে মনে যেন বলেন, ধোনি উইকেটের পেছনে না থাকে। যদি দেখেন ধোনি আছে, তাহলে জানবেন মুহূর্তের মধ্যে আপনার মানি ব্যাগ অদৃশ্য হয়ে যাবে। এতটাই ক্ষিপ্রতার সঙ্গে প্রতিপক্ষের উইকেট ভেঙে দেয়।”
ক্রিকেট জীবনে যেভাবে সংযত জীবন-যাপন করেছেন ধোনি তাতে তিনি মুগ্ধ। শাস্ত্রী তাই ধোনির ধীর-স্থির মস্তিষ্কের প্রশংসা করে বলেন, “ধোনি শূন্য রানে আউট হতে পারে। আবার পরমুহূর্তে বিশ্বকাপ তুলে নেওয়ার ক্ষমতাও রাখে। সে একই কাজে যেমন একশো পেতে পারে, আবার দুশো পাওয়ার যোগ্যতা দেখায়। জানবেন, এসবের মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই।”
“আইসিসি হল ফেমে আমার নাম লেখানো একজন ক্রিকেটার হিসেবে সত্যি আমি গর্বিত। আমার কাছে বিরাট সম্মানের। এই কীর্তি বিশ্বজুড়ে ক্রিকেটারদের অবদানকে স্বীকৃতি দেয়। বিশেষ করে সর্বকালের সেরাদের মধ্যে আমার নাম সেখানে স্মরণ করা হবে। এটা একটা দুর্দান্ত অনুভূতি। এমন স্বীকৃতিকে চিরকাল আমি মনে রেখে দেব।” মহেন্দ্র সিং ধোনি আইসিসি হল অফ ফেম হওয়ার পর একথাগুলো বলেন। ক্রিকেট জীবনে ধোনির আন্তর্জাতিক স্তরে রান সংখ্যা হল ১৭,২৬৬। তঁার অধিনায়কত্বে ভারত তিনটে আইসিসি ট্রফি নিয়ে আসতে পেরেছিল। এই তিনটে হল ২০০৭ সালে টি-২০ বিশ্বকাপ, ২০১১তে ওডিআই বিশ্বকাপ ও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০১৩ সালে। তিনি ভারতের হয়ে মোট ৫৩৮টি ম্যাচ খেলেছেন। ক্রিকেট বিশ্ব তঁাকে একজন অধিনায়ক এবং উইকেটকিপার হিসেবে সকলে শ্রদ্ধা করে।