আন্তর্জািতক ক্রিকেটে যশস্বী জয়সওয়াল ও শুভমন গিলকে গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটারদের মধ্যে সামনের সারিতে রাখতে চান কেন উইলিয়ামসন। প্রাক্তন ক্রিকেটারের মতে, গত দিনগুলোতে যেভাবে এঁরা খেলে আসছেন তাতে আগামী দিনে বিশ্ব ক্রিকেটে প্রভাব ফেলতে বাধ্য।
২০১৪ সালে বিরাট কোহলি, স্টিভেন স্মিথ, জো রুট ও কেন উইলিয়ামসনকে ফ্যাব ফোর হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। এই চারজন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বিভিন্ন ফরম্যাটে অসাধারণ কিছু ইনিংস দিনের পর দিন খেলে গিয়েছেন। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, এই চারজনের জায়গা আগামী দিনে কারা পূরণ করবেন? কারা নেবে এদের স্থান? কেন উইলিয়ামসের নজরে আগামী দিনে ফ্যাব ফোরের তালিকায় চলে আসবেন যশস্বী জয়সওয়াল, শুভমন গিল, রাচিন রবীন্দ্র ও হ্যারি ব্রুক। ক্রিকেটের সকল ফর্ম্যাটে দুর্দান্ত মুহূর্ত দেখিয়েছেন এঁরা। তেমনই মনে করছেন কেন উইলিয়ামসন। “ক্রিকেটের সকল ফর্ম্যাটে যশস্বী, শুভমন, রাচিন ও হ্যারি ব্রুক দারুন খেলে চলেছে। এরা সকলেই তরুণ। তাদের পারফরম্যান্স ক্রমশ ভালো হচ্ছে। তাই এদের নিয়ে স্বপ্ন দেখা যেতেই পারে।” বলেন উইলিয়ামসন।
কেন উইলিয়ামসনকে চিন্তায় রাখছে অন্য জায়গায়। কোথায়? টি-২০ ফর্ম্যাটে বিশ্বজুড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো প্রচুর টাকা ঢালছে। প্রচুর লাভের অঙ্ক ঘরে নিয়ে চলে যাচ্ছে ফ্র্যাঞ্চাইজিরা। তাই টেস্ট ক্রিকেটকে কেউ তেমন গুরুত্ব দিচ্ছে না। জয়সওয়াল, ব্রুকরা এসেছেন এমন তিনটে দেশের বোর্ড থেকে যারা আর্থিক দিক দিয়ে খুব একটা পিছিয়ে নেই। তাই উইলিয়ামসন চান ভারত, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া বোর্ড চেষ্টা করুক এইসব ক্রিকেটারদের বড় অঙ্কের ক্ষতিপূরণ দিয়ে ধরে রাখতে। যাতে তারা অর্থের পেছনে না ছোটে। উইলিয়ামসন বলছিলেন, “প্রথমেই ক্রিকেটারদের উচিত লালবলের দিকে নজর দেওয়া। তারপর দিক ওয়ান ডে। শেষকালে আসতে পারে টি-২০ ক্রিকেট। এইভাবে এগোলে ক্রিকেটারদের উন্নতি ঘটতে বাধ্য।” উইলিয়ামসন মনে করছেন, তিনি লালবলের আমলে বড় হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। তাই সেই দিনগুলোর কাছে কৃতজ্ঞ থাকতে চান। “লালবলের যুগে বড় হয়েছি। তাই আমি ব্যক্তিগতভাবে সেই দিনগুলোর কাছে কৃতজ্ঞ। এখনও লালবলে খেলা হয় ঠিকই, কিন্তু টি-২০ ক্রিকেট দিনকে দিন প্রচন্ড গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। এই ফর্ম্যাটে বেশি খেলা হচ্ছে। এই ফর্ম্যাটে খেলা মানে বেশিক্ষণ ব্যাট করার সুযোগ নেই। কিন্তু যখন টেস্ট খেলতে নামবেন তখন প্রতিটি দিক থেকে আপনাকে চ্যালেঞ্জ জানাতে শুরু করবে। নানান সমস্যা আপনাকে জর্জরিত করে তুলবে। যেমন মনোযোগে চিড় ধরবে। ধৈর্য্য ধরে খেলার সুযোগ তেমন পাবেন না। পরিকল্পনা সামঞ্জস্য রাখতে গিয়ে মেজাজ ধরে রাখতে অসুবিধে হবে। অথচ লালবলের খেলায় এগুলো মুছে দেওয়া সম্ভব।” মন্তব্য উইলিয়ামসনের।