মেসিকে আর প্রয়োজন নেই বলে দিয়েছিলেন লিওনেল স্কালোনি। আর্জেন্টিনা কোচ ২৪ ঘন্টার মধ্যে বুঝে গেলেন, মেসিকে নিয়ে যদি এই হাল হয় তাহলে দলে না থাকলে কী অবস্থা হবে। হারতে হারতে কলম্বিয়ার বিরুদ্ধে কোনওমতে ১-১ গোলে ড্র করে মাঠ ছাড়তে পারল আর্জেন্টিনা।
বিশ্বকাপের মূলপর্বে টিকিট পাওয়া হয়ে গিয়েছে। অশ্বমেধের ঘোড়া হয়ে সারা দক্ষিণ আমেরিকা ছুটে বেড়াচ্ছে দল। সুতরাং কলম্বিয়াকে কেন গুরুত্ব দেবে আর্জেন্টিনা ! তবে মনে মনে স্কালোনি জানতেন, কলম্বিয়াকে হারাতে না পারলে এক বালতি দুধে এক ফেঁাটা চোনা পড়ে যাবে। যেহেতু কলম্বিয়ার কাছেই শেষবারের মতো হেরেছিল আর্জেন্টিনা। মধুর প্রতিশোধ নেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে খেলতে নেমেছিল আর্জেন্টিনা। ঘটলো ঠিক উল্টো। ২৪ মিনিটের মাথায় গোল করে লুইস দিয়াজ এগিয়ে দিলেন কলম্বিয়াকে। প্রতি আক্রমণ থেকে গোল করে চলে যান দিয়াজ। কেভিন কাস্তানোর কাছ থেকে মাঝমাঠে প্রায় বল পেয়েছিলেন লিভারপুল তারকা। বঁা প্রান্ত ধরে অনেকটা দৌড়ে এসে আর্জেন্টিনার বক্সে ঢুকে পড়েন তিনি। তখন আর্জেন্টিনার তিন ডিফেন্ডার চক্রবূহ্যের মতো ঘিরে ফেলার অপেক্ষায়। কিন্তু তিন ডিফেন্ডারের ফঁাদ কেটে দুর্দান্ত এক শটে গোল করে যান দিয়াজ।
শেষ মুহূর্তে গোল করে আর্জেন্টিনাকে সমতায় ফেরানো আলমাদা।
নীল-সাদা জার্সিধারী সমর্থকরা একপ্রকার হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। ভেবে নিয়েছিলেন আর্জেন্টিনা এই ম্যাচে হারার স্বাদ নিতে বাধ্য হবে। গোল খাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে আর্জেন্টিনা প্রায় সমতায় ফিরিয়ে এসেছিল। অফসাইডের কারণে সেই গোল বাতিল করেন রেফারি। তাই বলে মেসিরা চুপচাপ থাকেননি। সুযোগ পেলেই আক্রমণে ঝঁাপিয়েছেন। কিন্তু কলম্বিয়ার রক্ষণে বারবার ধাক্কা খেতে বাধ্য হয়েছেন মেসিরা। যখন খেলায় ক্রমশ আধিপত্য বজায় করার দিকে আর্জেন্টিনা এগোচ্ছে ঠিক সেই সময় স্কালোনি বাহিনির ছন্দপতন ঘটে। কলম্বিয়ার মিডফিল্ডার কাস্তানোর মাথায় বুট দিয়ে আঘাত করতেই লালকার্ড দেখে বসেন এনজো ফার্নান্দেজ। তখন খেলা চলছিল ৭০ মিনিটের ঘরে। চেলসি মিডফিল্ডার বেরিয়ে যেতে আর্জেন্টিনা হয়ে যায় ১০জনের দল। ঘটনার ৭ মিনিট বাদে মেসিকে তুলে এজেকিয়েল পালাসিওসকে মাঠে নামান স্কালোনি। আর্জেন্টিনার ঘুরে দঁাড়ানো নিয়ে যখন সমর্থক থেকে দলরে মধ্যে আশঙ্কা গ্রাস করে ফেলেছে ঠিক সেই সময় অসাধ্য সাধন করে বসলেন আলমাদা। ৮১ মিনিটে দুর্দান্ত এক শটে গোল করে সতীর্থদের বদনামের হাত থেকে তিনি বঁাচান। তারপর গোল করার জায়গায় বেশ কয়েকবার যাওয়ার চেষ্টা চালায় আর্জেন্টিনা। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি।