কথা রেখেছেন। হংকং ম্যাচ হারলে জানিয়ে ছিলেন, তিনি আর ভারতীয় ফুটবলের সঙ্গে যুক্ত থাকবেন না। কথা রাখতে চলেছেন তিনি। ফেডারেশনকে জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি আর ভারতীয় দলের দায়িত্বে থাকতে নারাজ। ফেডারেশনও তঁাকে সরানোর উদ্যোগ নিয়ে ফেলেছে।
হংকং-এর বিরুদ্ধে ভারতের হার বড় ধাক্কা দিয়ে গিয়েছে ভারতীয় ফুটবলকে। হংকংয়ের মাটিতে গিয়ে ভারত হারতে পারে তা অনেকে ভাবেননি। কিন্তু মঙ্গলবার দেখা গেল ভারতীয় ফুটবলের কঙ্কালসার চেহারা। যেখানে শেষ মুহূর্তে গোলকিপার বিশাল কেথের ভুলে গোল খেয়ে যায় ভারত। মানোলো মার্কেজের স্ট্র্যাটেজি বা ফুটবলারদের কাছ থেকে খেলা বের করে নেওয়ার ক্ষমতা যে তেমন নেই তা পরিষ্কার। সেইজন্য ফেডারেশনও চাইছে না মানোলোকে কোচ হিসেবে আর রাখতে। প্রশ্ন হল, তাহলে জাতীয় দলের দায়িত্বে আনা হবে কাকে? কোনও বিদেশি না স্বদেশি কোচকে নিয়ে এসে সঙ্কট মুহূর্তে তুলে ধরা সম্ভব হবে? যা শোনা যাচ্ছে, তাতে ফেডারেশন চাইছে কোনও দেশি কোচের হাতে ভারতীয় দলের দায়িত্ব তুলে দিতে। সেক্ষেত্রে তালিকায় উঠে আসছে সঞ্জয় সেন, খালিদ জামালদের নাম। আসলে বিদেশি কোচ নিয়ে আসার মতো একদিকে অর্থ যেমন ফেডারেশনের নেই। অন্যদিকে সময়ও তেমন হাতে নেই যে, বিদেশি কোচ নিয়ে আসা সম্ভব। সেই কারণে দেশী কোচের দিকে ঝঁুকতে চাইছে ফেডারেশন।
প্রশ্ন হল, ভারতীয় দলে কোচ বদল করে কী কোনও লাভ হবে? প্রশ্নের জবাবে প্রাক্তন ফুটবলার মনোরঞ্জন ভট্টাচার্যের বক্তব্য খুব পরিষ্কার। তঁার মতে, ভারতীয় ফুটবলারদের বর্তমান মান খুব খারাপ। তাহলে যেই কোচ হোন না কেন, ভারতীয় ফুটবলের হাল ফেরাবেন কি করে। “আমরা সকলেই মানছি, দল খারাপ খেললে প্রথমে নজর যায় কোচের দিকে। কিন্তু একটা দল ভাল বা খারাপ খেলা নির্ভর করার ব্যাপারে কোচের ভূমিকা থাকে মাত্র ২৫ শতাংশ। বাকি অংশ পুরোপুরি ফুটবলারদের উপর বর্তায়। সেই ক্ষেত্রে বলতে পারি, ভারতীয় ফুটবলারদের হাল মোটেই ভাল নয়। ফলে কোচ বদল করে কিছু হবে বলে মনে হয়না।” মনোরঞ্জনের সাফ জবাব, দেশি বা বিদেশি যাইহোক না কেন, কোচ বদলে ভারতীয় ফুটবলে বদল আনা যাবে না।
এমন কী সুনীল ছেত্রীর অবসর ভেঙে ভারতীয় দলে ফিরে আসাকে মোটেই সমর্থন করতে পারছেন না মনোর়ঞ্জন। তঁার সাফ কথা, “আগে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্তের পেছনে খুব বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছিল। তবু কেন যে আবার ফিরে এলো তাই বুঝলাম না। ফুটবলে বয়স একটা ফ্যাক্টর। সেই সূত্রে বলতে পারি, সুনীলের উচিত আবার ভারতীয় ফুটবলকে বিদায় জানানো। আসলে সুনীলের খেলায় সেই ক্ষিপ্রতা নেই। কেমন যেন হারিয়ে ফেলেছে। তাই সুনীলের উচিত অবসর নেওয়া।”