রীতিমত জমে উঠেছে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল। জয়ের জন্য দ্বিতীয় ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার দরকার ২৮২ রান। প্রথম ইনিংসে যেমন বল হাতে কামাল করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স, তেমনি জ্বলে উঠেছিলেল দক্ষিণ আফ্রিকার কাগিসো রাবাডা। তিনি দ্বিতীয় ইনিংসেও দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে অনন্য নজির গড়লেন। লর্ডসের ১৪১ বছরের ইতিহাসে তিনি হলেন দ্বিতীয় ক্রিকেটার যিনি হোম ও অ্যাওয়ে দুটি ড্রেসিংরুমের অনার বোর্ডেই নিজের নাম তুলে ফেললেন।
তৃতীয় দিনের ম্যাচ শুরু হয়েছিল আহমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মৃতির উদ্দেশে এক মিনিট নীরবতা পালন করে। ম্যাচে টানটান উত্তেজনা। অজিরা প্রথম ইনিংসে করেছিলেন ২১২ রান। ওয়েবস্টার ৭২ ও স্মিথ ৬৬ রান করেছিলেন। রাবাডা নিয়েছিলেন ৫১ রানে ৫ উইকেট। এরপর কামিন্সের দাপটে ১৩৮ রানেই থেমে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। কামিন্স ২৮ রানে ৬ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়াও সুবিধা করতে পারল না। অল আউট হয়ে গেল ২০৭ রানে। মিচেল স্টার্ক ৫৮ রানে অপরাজিত থেকে দলের স্কোরকে ২০০ পার করে দেন। রাবাডা দ্বিতীয় ইনিংসেও নিলেন ৪ উইকেট। ফলে দক্ষিণ আফ্রিকাকে চ্যাম্পিয়ন হতে গেলে করতে হবে ২৮২ রান, এই অবস্থায় দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেছে প্রোটিয়া।
ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান কিংবদন্তি গর্ডন গ্রিনিজের পর দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসাবে লর্ডসে নজির গড়লেন রাবাডা। লর্ডসে কেউ শতরান করলে বা পাঁচ উইকেট নিলে অনার বোর্ডে নাম উঠে যায়। প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেট নিয়ে তিনি হোম ড্রেসিংরুমের অনার বোর্ডে নাম তোলেন। ২০২২ –এ অ্যাওয়ে বোর্ডে নাম তুলেছিলেন।
তাঁর আগে এই নজির গড়েছিলেন গ্রিনিজ। তিনি ১৯৮৪ সালে অপরাজিত ২১৪ ও ১৯৮৮ সালে ১০৩ রান করে অ্যাওয়ে বোর্ডে নাম তুলেছিলেন। এছাড়া ১৯৮৭ সালে এমসিসির হয়ে অবশিষ্ট বিশ্ব একাদশের বিরুদ্ধে ১২২ রান করে নাম তুলেছিলেন হোম ড্রেসিংরুমের অনার বোর্ডে। ১৪১ বছরে দ্বিতীয় ক্রিকেটার – রাবাডাকে অভিনন্দন জানাচ্ছে ঐতিহাসিক লর্ডস।