তিনি একজন বিতর্কিত মানুষ। কোনও কথা বললে তা নিয়ে ঝড় ওঠে। অনেকে বলেন, উল্টোপাল্টা কথা বলে তিনি খবরে চলে আসতে চান। কদিন আগে রোহিত শর্মাকে নিয়েও কথা বলেছিলেন। রোহিতের ফিটনেস নিয়ে কথা উঠতে তিনি বলেছিলেন, আমার কাছে চলে আসুক। একমাসের মধ্যে রোহিতকে ফিট করে দেব। এটা আমার চ্যালেঞ্জ। শুধু রোহিত নন, আরও অনেককে নিয়ে নানা মন্তব্য করে সমালোচনার সামনেও পড়েছিলেন।
তিনি যোগরাজ সিং। প্রাক্তন ক্রিকেটার। এখও ক্রিকেট নিয়ে পড়ে থাকেন। এটাই তাঁর নেশা। তাঁর ক্যাম্প থেকে কজন ক্রিকেটার উঠে এসেছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। ছেলে যুবরাজকে নিয়ে কথা বলতে তিনি বারবার বলেছেন, যুবরাজকে নাকি তিনি গড়ে তুলেছেন। এটা কতটা সত্য বা কতটা মিথ্যে, তার কোন প্রমান নেই। এর বাইরে তাঁর ক্যাম্প থেকে কোনও ক্রিকেটার উঠে এসেছেন বলে খবর নেই।
এবার নতুন একজন ক্রিকেটারকে ধরলেন যোগরাজ। এবারের আইপিএলে বিশ্ব ক্রিকেটে সাড়া ফেলে দিয়েছে বৈভব সূর্যবংশী। সকলের বাড়ির রান্নাঘরে ঢুকে পড়েছে বৈভব। আইপিএলে খেলেছে মাত্র সাতটি ম্যাচ। এর মধ্যে গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে ৩৫ বলে করেছে সেঞ্চুরি। কদিন আগে বেঙ্গালুরুতে অনুধ্ব ১৯ ক্যাম্পে আইপিএলের রিপ্লে দেখা গিয়েছিল তার ব্যাটিংয়ে। একটি প্রস্তুতি ম্যাচে ৯০ বলে করেছিল ১৯০ রান। ব্যাটে এমন ঝড় দেখে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে শুরু করে এখনই জাতীয় সিনিয়র দলে বৈভবকে ঢুকিয়ে দেওয়া উচিত। তবে সিনিয়র দল নয়, ইংল্যান্ডের মাঠে অনুধ্ব ১৯ ক্রিকেট সিরিজে তারা খেলবে পাঁচটি ওয়ান ডে সিরিজ। এবং দুটি চারদিনের ম্যাচ। এবার দেখার পালা যে সেখানে বৈভব কেমন ব্যাট করে। সে নিজে জানিয়েছে, ইংল্যান্ডে আমি কোনদিন যাইনি। এবারই প্রথম সেখানে গিয়ে খেলব। চেষ্টা করব সিরিজ জিতে দেশে ফিরতে। ভারতীয় দল সিরিজ জিতুক বা না জিতুক, সকলে তাকিয়ে থাকবেন বৈভবের ব্যাটের দিকে। তার ব্যাট কি সেখানেও চওড়া হয়ে উঠবে!
ইংল্যান্ড সিরিজের আগে বৈভবকে নিয়ে কথা তুললেন যোগরাজ। তিনি বলছেন, আইপিএলে ওর ব্যাটিং দেখেছি। ঝড়ের গতিতে রানের পিছনে ছোটে। রানও করেছে। আমর টি২০ বা ওয়ান ডে ক্রিকেটের উপর রাগ নেই। ক্রিকেট বিশ্ব যদি মেনে নিয়ে এগিয়ে যেতে চায়, তা হলে আমি সেখানে বলার কে। তবে আমার বক্তব্য, এরা পাঁচদিনের ক্রিকেটে মাঠে দাঁড়িয়ে থাকতে পারবে তো! এটা মেনে নিতে হবে, লাল বলের ক্রিকেট হল আসল খেলা। সেখানে রান করতে পারলে সবাই তোমার কথা মেনে নেবে। আর না পারলে কথা শুনতে হবে। বৈভবের ব্যাটিং দেখে একটা কথা মনে হয়েছে, লাল বলের ক্রিকেটে নিজেকে কতটা মানিয়ে নিতে পারবে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাবে। তাই আমিও তাকিয়ে থাকব ইংল্যান্ডে জুনিয়রদের চারদিনের ম্যাচের দিকে। পারলে ভাল, না হলে বৈভবকে কিন্তু কথা শুনতে হবে। সেটা নিতে পারবে তো! তাই আগে থেকে ওকে সাবধান করে দেওয়া আর কি!