কাজ শুরু করে দিলেন সৃঞ্জয় বোস। সোমবার মোহনবাগানের নতুন কার্যকরী কমিটির সদস্যরা প্রথম সভায় বসলেন। সচিব পদে সৃঞ্জয় বোসের প্রত্যাবর্তন ঘটলো মোহনবাগানে। যথেষ্ঠ জঁাকজমক সহকারেই। সোমবার সচিব হিসেবে প্রথম পা রাখলেন ক্লাব টেন্টে। সেইজন্য টেন্টে ঢোকার সময় তঁাকে নিয়ে শুরু হয়ে যায় ব্যাপক হৈ হুল্লোড়। বাজতে থাকে ঢাক-ঢোল। সঙ্গে জয়ধ্বনি। সচিব হিসেবে কাজ শুরুর পর সাংবাদিকদের সামনে বসেই জানিয়ে দিলেন, ক্লাবের নতুন সভাপতি হচ্ছেন দেবাশিস দত্ত। এমন কী পঁাচ সহ-সভাপতির নামও ঠিক হয়ে গেল। তাছাড়া ক্লাবের সংবিধান অনুসারে তিনজন কো-অপ্ট সদস্যকেও নেওয়ার কাজ হয়ে গিয়েছে। এত দ্রুত মোহনবাগানের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অতীতে গঠিত হয়েছে কিনা সন্দেহ।
সচিব পদে বসেই সৃঞ্জয় বোস জানিয়ে দিলেন, তিনি সদস্যদের কথাই প্রথমে ভাবতে চান। তারজন্য সুপার জায়ান্ট কর্তাদের সঙ্গে বসাই তঁার লক্ষ্য। “স্টেডিয়ামে গিয়ে দেখেছি, ম্যাচ চলাকালীন সদস্য সমর্থকদের পানীয় জল থেকে শুরু করে অনেক কিছু নিয়ে তঁারা সমস্যায় পড়েন। এই সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধান করা দরকার। তারপর মহিলা দল গঠন নিয়ে কথা বলব। শুধু সুপার জায়ান্ট কর্তাদের সঙ্গে বসলে হবে না, ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের সঙ্গেও আমাদের বসতে হবে।” বললেন সৃঞ্জয়।
তাছাড়া তিনি চান মোহনবাগানের সংবিধানে কিছু পরিবর্তন বা পরিবর্ধন করতে। যারজন্য প্রাক্তন বিচারপতি অসীম রায়কে এই দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। তিনি যদি কাউকে সাহায্যকারী হিসেবে চান তাহলে নিতে পারেন। মহিলা সদস্য সংখ্যা কমিটিতে বাড়াবার কথা ভাবছে মোহনবাগান। এবারে একজন আমন্ত্রণী মূলক সদস্য নিয়োগ করা হয়েছে। তিনি হলেন দীপিকা দাস। অর্থাত্্ কার্যনির্বাহি কমিটির অন্যতম সদস্য সোহিনী মিত্র চৌবের সঙ্গে তিনি থাকবেন। িলগের শুরু থেকেই মোহনবাগান নিজেদের মাঠে খেলবে বলে জানিয়ে দিলেন সচিব। ক্লাবের জীবন্ত কিংবদন্তী টুটু বসুকে আনা হবে কিনা তা নিয়ে বিষয়টা ঝুলে রইল। যেহেতু টুটু বসুকে ক্লাবে আনতে গেলে নতুন কোনও পদ তৈরি করতে হবে। সদস্যদের অনুমতি ব্যতীত সেই পদ তৈরি করা যায়না। “পদ তৈরি করে যে কাউকে আনা যেতে পারে। তারজন্য সদস্যদের অনুমোদন প্রয়োজন। সেই কারণে নতুন পদ তৈরি করা উচিত কিনা তা নিয়ে ভাবতে হবে। এখন এসব নিয়ে কিছুই ভাবা হয়নি।” জানিয়ে দিলেন সৃঞ্জয়।
সোমবার মোহনবাগানের সভাপতি পদে বসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি দেবাশিস দত্ত।
সভাপতি পদে দেবাশিস দত্ত আসছেন তা জানাই ছিল। শুধু বাকি ছিল শিলমোহর পড়া। সোমবার কার্যনির্বাহি কমিটির সভায় নতুন সভাপতি হিসেবে দেবাশিস দত্তের নাম ঘোষণা করা হয়। পরে দেবাশিস সভাপতির চেয়ারে বসেই জানিয়ে দিলেন, এবার তঁাদের সামনে সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জ আসতে চলেছে। কেন, তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে নতুন সভাপতি বলেন, “সৃঞ্জয় বোস ও দেবাশিস দত্ত ক্লাবের দায়িত্বে আসায় সদস্যদের প্রত্যাশা বহুগুণ বেড়ে গিয়েছে। তঁারা চান আমরা যেন ভাল কিছু কাজ করি। তাই অন্যান্যবারের মতো এবারের দায়িত্ব অনেক কঠিন।” কিছুদিন আগেও তঁারা ছিলেন একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী। কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলেননি। সভাপতির চেয়ারে বসে দেবাশিস জানিয়ে দিলেন, তঁারা এবার ক্লাবে ডাবল স্ট্রাইকার বা ডাবল ডিফেন্ডারের ভূমিকায় খেলবেন। “আমরা এবার ডাবল ডিফেন্ডার বা ডাবল স্ট্রাইকারের ভূমিকায় দুজনে থাকব। একজন ডিফেন্ডার ভুল করলে আর একজন সেই ভুল শুধরে দেয়। বা বিপদে পড়লে একে অপরের পাশে এসে দঁাড়ায়। আমরা দুজনে এখন সেই ভূমিকায় থাকবো। যাতে কেউ আমাদের দুজনকে অতিক্রম করে গোল করতে না পারে।” দেবাশিস এই কয়েকটা কথায় বুঝিয়ে দিলেন, অতীতকে ভুলে তঁারা ভবিষ্যতের পথে পা বাড়াতে অনেক বেশি আগ্রহী। যেখানে মনে করাবে ‘পুরোন সেই দিনের কথা’।