হর্সেস মাউথ নয়। কথাটা শোনা। নিয়মিত শরীর চর্চা না করলে ফিটনেস ধরে রাখা সম্ভব নয়। শুধু ডায়েটে হবে না। তাঁর মনে হয়েছিল জল খেলেও মোটা হয়ে যাবেন। তাই মাঠে বা জিমে গিয়ে শরীরকে ঠিক করতে হবে। তবেই ক্রিকেট মাঠে দাপটের সঙ্গে খেলতে পারবেন।
শচীন তেন্ডুলকরের ফিটনেস নিয়ে কথা প্রসঙ্গে এগুলি শোনা গিয়েছিল। তাই তিনি নিজের ফিটনেসের ব্যাপারে সচেতন ছিলেন। সেভাবেই চলতেন। এবারের আইপিএলে তারকা হয়ে ওঠা বৈভব সূর্যবংশীকে নিয়ে কথা উঠতে এমন কিছু জানা গেল। এক সাক্ষাৎকারে বৈভবের বাবা সঞ্জীব সূর্যবংশী বলছেন, আগে ঠিকভাবে খাওয়া-দাওয়া হত না। যা ইচ্ছে হত, তাই খেত। এর ফলে ওজন বেড়ে গিয়েছিল। এখন বুঝতে পারছে এভাবে চললে হবে না। তাই ডায়েট শুরু করেছে। ওর পছন্দের খাবারও বাতিল হয়ে গিয়েছে। যেমন লিট্টি-চোখা খাবারের তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। বিহারের মানুষের কাছে এটা খুবই পছন্দের খাবার। কিন্তু শরীরের ওজন বেড়ে যায় বলে বৈভব এগুলি বাদ দিয়েছে। আশা করছি, আগামি আইপিএলে ওকে দেখে সবাই অবাক হয়ে যাবেন। শরীরে বদল দেখলে বুঝতে পারবেন, নেটে ক্রিকেট প্র্যাকটিসের পাশাপাশি জিমেও অনেকটা সময় কাটিয়েছে।
কথায় কথায় সঞ্জীব ছেলের থেকে নিজেকে নিয়ে অনেক কথা বলেন। তাঁর কথায়, সত্যি বলতে কি আমি একজন গর্বিত পিতা। ওর জন্য আমার গর্ব হয়। প্রত্যেক বাবা চান ছেলের নামে কেউ তাকে ডাকুক। প্রশংসা করুক। সেটা হলে বুকটা গর্বে ভরে ওঠে। আমি এখন সেটাই দেখতে পাচ্ছি। মানুষ এগিয়ে এসে আমার সঙ্গে কথা বলেন। জানতে চান বৈভবের কথা। ও কি করছে, কেরিয়র নিয়ে কি ভাবছে, এমন আরও কত কিছু। এটা আমাদের কাছে স্বপ্ন বলে মনে হয়। এমন কিছু আগে আশা করি নি। আইপিএলে যখন রান করত, তখন সবাই আমাদের সঙ্গে বাড়িতে দেখা করতে আসত। ছেলের প্রশংস করত। এর থেকে বেশি আর কি পাওয়ার আছে। এত অল্প বয়সে বৈভব যে এতটা করতে পেরেছে, এতেই আমরা খুশি।
সঞ্জীবের কথায় তিনজনের নাম চলে এল। বারবার বলছেন, এঁরা না থাকলে বৈভবের সামনে এই রাস্তা সহজে আসত না। রাহুল দ্রাবিড়, জুবিন বারুচা ও বিক্রম রাঠোর। এঁরা শুরু থেকে বৈভবের উপর নজর রেখেছিলেন। বৈভবের উপর বিশ্বাস রেখেচেন। ভরসা করছেন। সবাই ওর খেলা দেখে খুশি। ওর কারনেই ক্রিকেট বিশ্বে বিহারের নাম ছড়িয়ে পড়েছে। আমরা জানি, এট সবে শুরু হল। জায়গা করতে হলে এখনও ওকে লম্বা যেতে হবে। দেশের হয়ে খেলতে হলে অনেক পরিশ্রম করতে হবে। বৈভব এই বয়সেই সেটা বুঝতে পেরেছে। বলেছে, আমাকে অনেক পরিশ্রম করতে হবে। আমার যে জায়গাগুলি দুর্বল, তার উপর কাজ করতে হবে। যেন সামনের আইপিএলে আমি আরও ভাল খেলতে পারি।