দাদাদের রোগ ছড়িয়ে পড়েছে ভাইদের মধ্যেও। বুধবার এক ফ্রেন্ডলি ম্যাচে তাজিকিস্তানের কাছে ৯০ মিনিট পর্যন্ত এগিয়ে থেকেও ৩-২ গোলে হেরে গেল ভারত। অনূর্ধ্ব-২৩ দলের এই হার দেখে অনেকে বিস্মিত।
কিছুদিন আগে ভারতের সিনিয়ররা ফিফার ক্রমতালিকায় ২৬ ধাপ উপরে থাকা সত্ত্বেও হংকংয়ের কাছে হেরে গিয়েছিল ১-০ গোলে। সুনীল ছেত্রীরা যেখানে পারেননি, সেখানে কী করে পারবেন সুহেল ভাটরা। অথচ ভারতীয় জুনিয়র দলের হয়ে যারা খেললেন তঁারা অধিকাংশই খেলেন আইএসএলে। অথচ ভারত প্রথমে গোল করে এগিয়ে যায়। গোলটি করেন সুহেল ভাট। মোহনবাগানের এই ফুটবলারকে গোল করতে সাহায্য করেছিলেন নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডের হয়ে খেলা ম্যাকার্টন লুই নিকসন। গোল লাইনের উপর থেকে দারুন একটা ক্রস করেছিলেন। সুহেল ভাটের সেই বল থেকে গোল করতে কোনও সমস্যা হয়নি। স্বভাবতই গোল খেয়ে তাজিকিস্তান তা শোধ করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। বারবার তারা আক্রমণ শানাতে থাকলেও তেমন সুবিধে করতে পারছিল না। ভারতীয় রক্ষণভাগ দারুন লড়াই চালিয়ে যায়। বিরতিতে ভারত ১-০ গোলে এগিয়ে থাকা অবস্থায় ড্রেসিংরুমে ফিরে গিয়েছিল।
তাজিকিস্তানের অন্যতম গোলদাতা।
বিরতির পর তাজিকিস্তান যে আরও ভয়ংকর রূপ ধারণ করবে তা জানা কথা। কিন্তু এভাবে একের পর এক ভুল করে বসবে ভারত তা ভাবাই যায়নি। সবকিছু তালগোল পাকিয়ে যায় ৫৬ মিনিটে। যখন দ্বিতীয়বার হলুদ কার্ড দেখে মাঠ থেকে বেরিয়ে যান আয়ুষ দেব। দশজনে হয়ে যাওয়ার পর ভারতের রক্ষণে ক্রমশ চাপ বাড়তে থাকে। ৫৯ মিনিটে সেই চাপ থেকে গোল খেয়ে বসে ভারত। আনসার খাবিবভ গোল করে তাজিকিস্তানকে সমতায় ফিরিয়ে আনেন। ডান দিক থেকে একটা ক্রশ ভেসে আসে। সেই ক্রশ থেকে হেডে গোল করে যান খাবিবভ। ৬৫ মিনিটে দলে তিনটে পরিবর্তন ঘটান কোচ নৌসাদ মুসা। ভারতের পরবর্তী বিপর্যয় ঘটে কিছুক্ষণ বাদেই। পায়ে ক্র্যাম্প হয়ে যায় গোলদাতা সুহেল ভাটের। তবু ভারত গোল করে এগিয়ে গিয়েেছিল ৮৫ মিনিটে। গোল করে যান সুহেলের পরিবর্ত হিসেবে নামা পার্থিব গগৈ। তখনও ভাবা যায়নি ভারত এই ম্যাচ হেরে বসতে পারে। ইনজুরি টাইমের খেলা শুরু হতেই গোল করে বসে তাজিকিস্তান। ফ্রি-কিক থেকে মুহাম্মদিকবোল দাভলাতেভ গোল করে যান। ২-২ হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে জয়সূচক গোল করে দলকে জিতিয়ে দেন তাজিকিস্তানের মুহাম্মদালি আজিজবোয়েভ। তখন ইনজুরি টাইমের খেলা ৯৫ মিনিটে গড়িয়েছে। ফ্রি-কিক থেকে অনায়াসে হেড করে বাইরে বল বের করে দিতে পারতেন প্রিয়াংশ দুবে। অথচ তিনি সেই বল ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হন। ফলে হেডে গোল করে য়ান মুহাম্মদালি।