কিলিয়ান এমবাপে ভর্তি হলেন হাসপাতালে। পেটের সমস্যার জন্য ফরাসি তারকাকে ভর্তি করতে বাধ্য হয় টিম ম্যানেজমেন্ট। যদিও গুরুতর কোনও কিছু ঘটেনি বলে মনে করছেন রিয়াল কর্তারা।
আল হিলালের বিরুদ্ধে খেলতে পারেননি। জ্বরের জন্য তিনি খেলার জায়গায় ছিলেন না। তাই বিশ্রাম দিয়েছিলেন নতুন কোচ আলোনসো। কিন্তু ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতে তঁাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হল। পেটের সমস্যার দরুন তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এখন যা সমস্যা তঁার পক্ষে মনে হয়না ক্লাব বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের ম্যাচ খেলা সম্ভব হবে। রিয়াল মাদ্রিদের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “কিলিয়ান এমবাপে তীব্র গ্যাসট্রোএন্টেরাইটিসে ভুগছেন। যাবতীয় পরীক্ষা ও চিকিত্সার জন্য আপাতত এমবাপেকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে।” এর বেশি কিছু জানানো হয়নি ঠিকই, তবে বিশ্বস্ত সূত্রের খবর, অবস্থা তেমন গুরুতর নয়। যাবতীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তঁাকে ছেড়ে দেওয়া হবে। আল হিলালের বিপক্ষে তিনি না খেলায় দলের খেলায় তেমন ধার ছিল না। প্রথমার্ধে দল তো সেভাবে দঁাড়াতেই পারেনি। তবু দ্বিতীয়ার্ধে দল কিছুটা ঘুরে দঁাড়ায়। বেশ কিছু সুযোগ পেয়েও তাকে কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছেন রিয়ালের ফুটবলাররা।
এদিকে কোচ জবি আলোনসো বুধবার যা ইঙ্গিত দিয়েছেন তাতে ধরে নেওয়া যায়, এমবাপের পক্ষে মনে হয়না গ্রুপ লিগের বাকি দুটো ম্যাচ খেলা সম্ভব। আরবি সালজবার্গ ও মেক্সিকোর পাচুকা ও আল হিলালের সাথে গ্রুপ এইচ-এ রয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। বর্তমান যা পরিস্থিতি তাতে মনে হয়না ফরাসি তারকার পক্ষে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে বাকি দুটো ম্যাচে নামা সম্ভব হবে। তিনি না খেলার অর্থ রিয়ালের কপাল পুড়লেও পুড়তে পারে। যেহেতু এমবাপের পারফরম্যান্স এবার রিয়ালকে প্রচুর ভরসা জুগিয়ে ছিল। লা লিগায় তিনি করেছেন ৩৪টা গোল। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ১৪টা ম্যাচে তঁার গোল ছিল সাতটা। এই দুটো পরিসংখ্যান থেকে পরিষ্কার, রিয়ালকে একাই বলতে গেলে টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। সেই এমবাপে না খেলা মানে দলের সমস্যা বাড়বে নিশ্চিত। আবার প্রথম ম্যাচে পাচুকাকে হারিয়ে সালজবার্গ গ্রুপ টেবিলে শীর্ষে রয়েছে। অথচ অন্যদিকে রিয়াল মাদ্রিদ আল হিলালের সঙ্গে ড্র করে সমস্যার সামনে দঁাড়িয়ে। ক্লাব বিশ্বকাপে তাই রিয়াল মাদ্রিদ মোটেই ভাল জায়গায় নেই।