ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর প্রতি অগাধ শ্রদ্ধা রয়েছে। একে অপরকে সম্মান জানাতে ভোলেন না। তবু লিওনেল মেসি জানিয়ে দিলেন, রোনাল্ডো তঁার বন্ধু নন। নিছক একজন প্রতিদ্বন্দ্বী। যিনি বছরের পর ধরে তঁাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এসেছেন। উল্টোদিকে মেসিও তঁাকে শক্ত পরীক্ষার সামনে বারবার দঁাড় করিয়ে দিয়েছেন। তাই মেসির চোখে তিনি একজন শ্রদ্ধাশীল ফুটবলার। এর বেশি কিছু নয়।
ব্যক্তিগত শত্রুতা যে তঁাদের মধ্যে নেই তা জানিয়ে দিলেন মেসি। সেই সঙ্গে আর্জেন্টাইন সুপারস্টার মনে করছেন, রোনাল্ডোকে শ্রদ্ধা না জানালে অন্যায় করা হবে। “ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো ও তঁার ফুটবল জীবনকে অসম্ভব শ্রদ্ধা করি। তঁার সুদীর্ঘ ফুটবল জীবনের জন্য অবশ্যই প্রশংসা করতে হবে। একবার ভেবে দেখুন এখনও কিনা রোনাল্ডো সর্বোচ্চ স্তরে খেলে চলেছেন। এরচেয়ে বড় কিছু হতে পারে না।” জানিয়ে দিলেন মেসি। তঁার সঙ্গে যে বন্ধুত্ব কেন গড়ে ওঠেনি তারও ব্যাখ্যা দিয়েছেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার। ব্যাক্তিগত শত্রুতা যে তঁাদের মধ্যে ছিল না তা তুলে ধরে মেসি বলেন,“আমরা পরস্পরের শত্রু হয়ে যেতাম মাঠে। ঠিক উল্টো হত মাঠের বাইরে। দুজনের মধ্যে একটা জায়গায় দারুন মিল। তাহল দলকে জেতানোর জন্য দায়বদ্ধতা থাকা। দুইজনেই সবসময়ে চেয়ে এসেছি, নিজেদের দলকে জেতানোর। মাঠের বাইরে আমরা হয়ে যাই খুব সাধারণ মানুষ।” কেন তঁারা বন্ধু নন সেই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মেসি জানান, “বন্ধুত্ব তখনই গড়ে ওঠে যখন পরস্পর একসঙ্গে অনেকক্ষণ সময় কাটানো যায়। গল্প করা যায়। সেই জায়গায় আমরা দুজনে কখনও সেভাবে সময় কাটাইনি। তাই বন্ধুত্ব গড়ে ওঠার সুযোগ পাইনি। কিন্তু একে অপরকে শ্রদ্ধার চোখে বরাবর দেখে এসেছি।”
রোনাল্ডো কিছুদিন আগে একই কথা তুলে ধরেছিলেন সাংবাদিকদের সামনে। পর্তুগিজ তারকা জানিয়ে ছিলেন, মেসিকে তিনি দারুন ভালবাসেন। প্রতিদ্বন্দ্বী হলেও কেউ কাউকে অশ্রদ্ধার চোখে দেখেননি। “মেসিকে আমি দারুন ভালোবাসি। মানছি আমরা বহু বছরের একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী। অতীতে বেশ কয়েকটা সাক্ষাত্্কারে বলেছি, ১৫ বছর ধরে আমরা এক মঞ্চে দাপিয়ে বেড়িয়েছি। তার প্রতি আমার যেমন ভালোবাসা রয়েছে, ঠিক তেমনি মেসিও আমাকে সমান শ্রদ্ধা করে।” নেশনস লিগের ফাইনালে স্পেনের বিপক্ষে পর্তুগাল খেলার আগে কথাগুলো বলেছিলেন রোনাল্ডো।
শুক্রবার মেসির অসাধারণ ফ্রি-কিক ইন্টার মায়ামিকে ২-১ গোলে জিতিয়ে দেয়। যদিও প্রতিপক্ষ দল পোর্তো শুরুতে গোল করে এগিয়ে গিয়েছিল। বিরতির পর দুটো গোল দিয়ে জিতে যায় যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব। আল হিলালের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করার পর একপ্রকার হতাশ হয়ে পড়েছিল মেসির দল। শুক্রবার না জিতলে মায়ামি হয়তো প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে যেত। এমন কী ড্র করলেও হয়তো বিপদে পড়ে যেতে পারত মায়ামি। ট্রেড মার্ক মেসির ফ্রি-কিক থেকে অসাধারণ গোল হয়ে যায়। আর সেই গোলেই জিতে যায় যুক্তরাষ্ট্রের দল। স্বভাবতই মেসি ছিলেন তাই খোশমেজাজে।