পরিসংখ্যান কি বলছে! ইন্টারনেট যা জানাচ্ছে তা দেখে চমকে উঠতে হবে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৬টি টেস্টের ১০ ইনিংসে যশ্বসী জয়সওয়াল রান করেছেন ৮১৩। গড় ৯০.৩৩। সেঞ্চুরি তিনটি। হাফ সেঞ্চুরিও তিনটি। ভাবা যায়! এ তো অবিশ্বাস্য বললেও কম বলা হয়। কী করে পারলেন ২৩ বছরের বাঁহাতি ওপেনার। অবাক করার ঘটনা আরও আছে। যশ্বসী হলেন প্রথম বাঁহাতি ওপেনার, যিনি ইংল্যান্ডের মাঠে নেমেই সেঞ্চুরি করলেন। তাঁর ও রাহুলের পার্টনারশিপ দলকে ভরসা দিতে প্রথম টেস্টে ভাল জায়গায় পৌঁছে যায় ভারতীয় দল। এখানেই শেষ নয়, যশ্বসীর ছেলেবেলার কোচ জেয়ালা সিং বলছেন, এখানেই থেমে যাবে না। আমার বিশ্বাস সিরিজে আরও দুটি সেঞ্চুরি করবে যশ্বসী।
ছেলেবেলা বলতে যশ্বসী ১১ বছর বয়সে জোয়ালার হাতে আসেন। তখন কে জানত এই ছেলে একদিন ভারতীয় দলের জার্সি গায়ে দাপাবে। গতবছরের শেষে অস্ট্রেলিয়ার মাঠেও ভাল খেলেছিলেন যশ্বসী। জোয়ালা বলছেন, আমি আশা করেছিলাম সেখানে অন্তত দুটি সেঞ্চুরি করবে। কিন্তু আমার স্বপ্ন বাস্তবে দেখা যায়নি। কিন্তু হেডিংলের মাঠে যশ্বসী যা খেলেছে, তারপর মনে হচ্ছে এবার কিছু একটা দেখাবে।
রোহিত ও বিরাট নেই। সকলেই বলছিলেন, নতুনদের নিয়ে এবারের ভারতীয় দল কি এঁটে উঠতে পারবে! আগে ঠিক ছিল, ইংল্যান্ডে গিয়ে ভারত দশদিনেরর ক্যাম্প করবে। তার মাঝে ইংল্যান্ড লায়ন্সের বিরুদ্ধে দুটি প্র্যাকটিস ম্যাচও খেলে। শেষ ম্যাচে ভারতীয় এ দলের বিরুদ্ধে তাঁদের খেলতে দেখা যায়। প্রথমদিনের টেস্টের পর মাঠে সতীর্থ ধ্রুব জুরেলকে সাক্ষাৎকার দেন যশ্বসী। সেখানে জুরেল প্রশ্ন করেন, এখন কি মানসিক শান্তি মিলেছে। জুরেলর প্রশ্ন শুনে যশ্বসী বলেন, হ্যাঁ কিছুটা হলেও আমি শান্ত। আসলে মাঠের বাইরে আমরা চরিত্র বলতে গেলে এমনই। নিজেকে নিয়ে থাকতে বেশি ভালবাসি। ইয়ার্কি-ঠাট্টা যে করি না তা নয়। কিন্তু একা হয়ে গেলে ফোকাস থেকে সরে আসতে চাই না। এখনে আসর পর মাথায় একটা জিনিস ঘুরপাক খাচ্ছিল যে ইংল্যান্ডে রান করতে হবে। সবাই বলছে এখানে রান করা কঠিন কাজ। সেই কঠিন কাজকে সহজ করতে গেলে কি করতে হবে, তা নিয়ে নিজের সঙ্গে লড়াই করেছি। তাই এই সেঞ্চুরির কথা বলতে গেলে একট কথাই বলব যে ১০১ রান সহজে আসেনি। এর পিছনে অনেক পরিশ্রম আছে।
যশ্বসী থামতে জুরেল বলেন, আমরা তো শুরু দেখছি নেটেও বুমরা, রানাকে বলছিলে কোথায় বল ফেলতে হবে। ওরা সেটাই করে গিয়েছে। আর তুমি খেলেছ। জুরেলকে থামিয়ে যশ্বসী বলেন, আমি জানি এখানে বল বেশি সুইং করবে। সিমও হবে। তাই সুইং করলে বল কোথায় এসে শেষ হবে, সেটা আন্দাজ করে ওদের বল করতে বলছিলাম। রানা ও বুমরা ভাল বল করে গিয়েছে। আমাদের প্র্যাকটিস ম্যাচে ওর ভাল করল। চাইছিলাম ওদের বলের সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে টেস্ট খেলার জন্য তৈরি করেছি। তাই ম্যাচে খুব একটা অসুবিধা হয়নি। এটা সবে শুরু। এবার লম্বা সিরিজ। ব্যাটে আর রান চাই। সহজে থেমে গেলে চলবে না।
বিসিসিআই টিভিতে শনিবার সকালে জুরেল ও যশ্বসীর ভিডিও দেখা গেল। ম্যাচের শেষে ওঁরা দুজনে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে কথা বললেন। আর সেটাই বিসিসিআই টিভিতে পাওয়া গে

ইংল্যান্ড সিরিজে কে এল রাহুলকে অধিনায়ক করা যেতে পারতঃ মঞ্জরেকর
সঞ্জয় মঞ্জরেকর এমনই। কোন কথায় বিতর্ক দানা বাঁধবে, সবসময় সেটাই তিনি খোঁজেন। এবং তাঁকে ঘিরেই বিতর্ক বেড়ে ওঠে। এই