ক্যাচ জেতো, ম্যাচ জেতো। ক্যাচ ফস্কাও, ম্যাচ ফস্কাও। ভারতীয় শিবিরে বোধহয় এই কথাটাই এখন ঘুরে বেড়াচ্ছে। কারণ অন্য কিছু নয়, হেডিংলে টেস্টের যা পরিস্থিতি, তাতে প্রথম ইনিংসে অতগুলো ক্যাচ না ফেললে প্রায় ম্যাচ জেতার জায়গায় থাকত টিম ইন্ডিয়া। সেক্ষেত্রে চতুর্থ দিন আরও আগে ইংল্যান্ডকে ব্যাট করানোর সুযোগ থাকত।
এখন যা পরিস্থিতি, পঞ্চম দিন জেতার জন্য সবকটি উইকেট হাতে নিয়ে ৩৫০ রান করতে হবে ইংল্যান্ডকে। ভারতকে জেতার জন্য একদিনে ইংল্যান্ডর সবকটি উইকেট তুলে নিতে হবে। ম্যাচ অবশ্যই ভারতের দিকে ঝুঁকে। কিন্তু ওই ক্যাচগুলো না ছাড়লে এখন জয় আরও কাছে চলে আসত গিলদের।
এবার আসতেই হবে কেএল রাহুল ও ঋষভ পন্থের প্রসঙ্গে। ইংল্যান্ডের মাটিতে তৃতীয় শতরান করে ফেললেন রাহুল। ১৪৭ রানের দুরন্ত ইনিংস খেললেন কেএল। অন্যদিকে প্রথম ইনিংসে শতরানের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও পন্থ করলেন ১১৮ রান। দ্বিতীয় উইকেটরক্ষক ব্যাটার হিসাবে টেস্টের দুই ইনিংসেই শতরান করলেন। সঞ্জীব গোয়েঙ্কাকে জবাবটা ভালই দিলেন ঋষভ। তবে দ্বিতীয় ইনিংসেও রান পেলেন না ৮ বছর পর প্রত্যাবর্তন করা করুণ নায়ার। আউট হলেন ২২ রান করে। কিন্তু লোয়ার মিডল অর্ডারে দ্বিতীয় ইনিংসেও একই ছবি। প্রথম ইনিংসে ৪১ রানে পড়েছিল শেষ ৭ উইকেট। আর দ্বিতীয় ইনিংসে ৩১ রানে পড়ল শেষ ৬ উইকেট। ৩৬৪ রানে শেষ হল ভারতের দ্বিতীয় ইনিংস। জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের সামনে ৩৭১ রানের টার্গেট রাখলেন গিলরা। চতুর্থ দিনের শেষে ইংল্যান্ড বিনা উইকেটে ২১।
পঞ্চম দিন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হতে যাচ্ছে রবীন্দ্র জাদেজার ভূমিকা। শেষ দিনের উইকেটে তিনি কি পারবেন ঘুর্ণি বলে স্টোকসের বিপাকে ফেলতে? অনেক কিছুই নির্ভর করছে তার ওপর। পাশে অবশ্য পাবেন যে কোনও উইকেটে, যে কোনও পরিস্থিতিতে জ্বলে উঠতে পারেন এমন একজনকে – জসপ্রীত বুমরা। ইংল্যান্ডের পক্ষে পঞ্চম দিনে ৩৫০ রান তোলা বেশ কঠিন। ড্র হতেই পারে ম্যাচ। তবে অনুকুল পরিস্থিতিতে জাড্ডু যদি ভেল্কি দেখাতে পারেন তাহলে স্মরণীয় জয়ের মুখ দেখতেই পারে টিম ইন্ডিয়া।