ডুরান্ড কাপ খেলা নিয়ে অনিশ্চিয়তার মুখে দঁাড়িয়ে মোহনবাগান। সরকারীভাবে কিছু জানানো হচ্ছে না ঠিকই। তবে না খেলার দিকেই ঘটনা মোড় নিয়েছে। তাই এই মুহূর্তে দঁাড়িয়ে বলা যেতে পারে, ডুরান্ডে সম্ভবত মোহনবাগানকে খেলতে দেখা যাবে না।
জুলাই মাসের তৃতীয় বা শেষ সপ্তাহে ডুরান্ড কাপ শুরু হওয়ার কথা। কোন কোন দলকে নিয়ে খেলা হবে তাও মোটামুটি ঠিক হয়ে গিয়েছে। গতবার ডুরান্ড কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড। এবার তাই কলকাতার দলগুলো ডুরান্ড কাপ খেলার জন্য নড়েচড়ে বসার কথা। বিশেষ করে দুই প্রধানের মাথায় ছিল, ডুরান্ড কাপ ফের ঘরে তোলা। কিন্তু সামগ্রিক পরিস্থতি যে জায়গায় গিয়ে দঁাড়িয়েছে তাতে সবুজ-মেরুন শিবির মনে হয়না খেলবে। না খেলার পেছনে একটাই কারণ, ফেডারেশনের ডামাডোল পরিস্থিতি। যাবতীয় টুর্নামেন্টের ক্রীড়াসূচী ঘোষণা করে দিয়েছে ফেডারেশন। ব্যতিক্রম আইএসএল। যেহেতু এবার আইএসএল নিয়ে ফেডারেশনের সঙ্গে এফএসডিএলের চুক্তি শেষ হয়ে গিয়েছে। আইএসএলের জন্য যাবতীয় খরচ জুগিয়ে থাকে এফএসডিএল। তাদের সরে যাওয়ার অর্থ আইএসএল করা নিয়ে সমস্যায় পড়ে যাবে ফেডারেশন। সেই কারণে আইএসএল হওয়া নিয়ে সংশয় তুঙ্গে।
মোহনবাগান মনে করছে, রোডম্যাপ না পাওয়া অব্দি বিদেশিদের নিয়ে এসে খেলতে নেমে যাওয়া বোকামি হবে। যদি আইএসএল না হয় তাহলে দলগঠন করে লাভ কী। তাছাড়া প্র্যাকটিশ মাঠের অভাব। জুনিয়র দল নিয়ে ঘরোয়া লিগ খেলবে মোহনবাগান। তারজন্য যুবভারতীর পার্শ্বস্থ মাঠে প্র্যাকটিশ করছে সবুজ-মেরুনের যুব দল। এই মুহূর্তে ক্লাবের মাঠ সংস্কারের কাজ চলার দরুন সেখানে প্র্যাকটিশ করা অসম্ভব। শুধু সমস্যা একটা জায়গায় এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। গতবার আইএসএলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দরুন এবার এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলবে মোহনবাগান। সেখানে খেলতেই হবে সবুজ-মেরুন শিবিরকে। না খেললে বিশাল আর্থিক জরিমানা দিতে হবে।
নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে ডুরান্ড ফাইনালে গোল খাওয়ার মুহূর্তে মোহনবাগান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মোহনবাগান ফুটবল টিম ম্যানেজমেন্টের এককর্তা বলছিলেন, “আমরা ডুরান্ড খেলতে বাধ্য নই। যেহেতু তাদের চুক্তিপত্রে আমরা কোনও সই করিনি। তারচেয়ে বড় কথা, ডুরান্ড কাপের জন্য খেলতে ঝঁাপানোর কোনও মানে হয়না। এখনও পর্যন্ত আমরা জানিনা আইএসএল হবে কিনা। যদি আইএসএল না হয় তাহলে এতদিন থেকে সিনিয়রদের নিয়ে প্র্যাকটিশে নেমে পড়ার কোনো অর্থ নেই।” ঘরোয়া লিগে খেলা দলকে নিয়ে খেলতে অসুবিধে কোথায় জানতে চাইলে তিনি জানিয়ে দিলেন, “মোহনবাগান কখনও হেনস্থা হওয়ার জন্য মাঠে দল নামায় না। আমরা জুনিয়র দলকে নিয়ে খেলব। বাকিরা নামবে সিনিয়র দলকে নিয়ে। তারপর তিন-চার গোল খেয়ে গেলে নিশ্চয় আমাদের সমর্থকরা তা মেনে নেবেন না। আমরাও নিশ্চয় তা মানবো না। তাহলে কেন জুনিয়রদের নিয়ে খেলতে যাব। তাই আমরা ডুরান্ড কাপে খেললে সিনিয়রদের নিয়ে খেলব। এখন আর তা হওয়ার নয়।”