এরপরও ভারত হেডিংলে জয় করবে! প্রশ্ন উঠছে। ওঠাটাই স্বাভাবিক। কারন ম্যাচ জিততে হলে ভাল বল করতে হবে। ব্যাটসম্যানকে চাপে রেখে ক্যাচ উঠলে ধরতে হবে। না হলে ম্যাচ হাত ফস্কে বেরিয়ে যাবে। ভারতীয় দল প্রথম ইনিংসে ফিল্ডাররা ৬টি ক্যাচ ফেলেছিলেন। সেই কারনে ইংল্যান্ড ভারতের ৪৭১ রানের কাছে চলে এসেছিল। না হলে তারা সাড়ে তিনশোর মধ্যে ইনিংস শেষ করত। ভারতের লিড বাড়ত। তা না হওয়ায় ভারত মাত্র ৬ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসের খেলা শুরু করে।
এমনটা দ্বিতীয় ইনিংসেও চালু রইল। ভারতীয় বোলিংকে চাপে রেখে ইংল্যান্ডের ওপেনিং জুটি দাপটের সঙ্গে খেলছিলেন। বুমরা কোনও উইকেট পেলেন না। ১৩ ওভারে বুমরা দিলেন ৪৩ রান। আর তিনি উইকেট না পাওয়ায় ভারতীয় দলের বোলিং যেন ঘুমিয়ে পড়ল। ওপেনার জ্যাক ক্রলির থেকে আক্রমনাত্মক মেজাজে ছিলেন বেন ডাকেট। তাঁকে থামতে হিমশিম খাওয়ার অবস্থা বোলারদের। লানচে ইংল্যান্ডের রান উঠল বিনা উইকেটে ১২৯। ৩০ ওভারে তারা এই রান তোলে। লানচের পর ডাকেটের সেঞ্চুরির অপেক্ষায় যখন স্টেডিয়াম, তখন সিরাজের বোলিংয়ে ভুল করে ফেললেন ডাকেট। তিনি তখন ৯৭ রানে দাঁড়িয়ে। সিরাজের একটি শর্ট বল হুক করলেন ডাকেট। বল ঠিক মত ব্যাটে লাগল না। উপরের দিকের কানায় লেগে বল উড়ে গেল ডিপ স্কোয়ারলেগে। বাউন্ডারি লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন যশ্বসী। বেশ কিছুটা ছুটে এসে সামনে ঝাঁপিয়ে দুহাতের মধ্যে বল পেয়েও ধরতে পারলেন না। সিরাজের হতাশা চোখে মুখে ফুটে উঠল। এমনটা হওয়ারই কথা। উইকেট পড়ছে না। তর উপর ফর্মে থাকা ডাকেটকে পেয়েও কেন হাতছাড়া হবে। সেটাই করলেন যশ্বসী।
ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে যশ্বসী দাঁড়িয়েছিলেন গালিতে। সেখানে দাঁড়িয়ে তিনি দুটি ক্যাচ ফেলেন। প্র্যাকটিসে ফিল্ডিং কোচ টি দিলীপের কাছে গালিতে দাঁড়িয়ে ক্যাচ ধরেন। অন্তত কুড়ি থেকে পঁচিশটা ক্যাচ নিয়মিত ধরেন। কিন্তু তারপরও ম্যাচে নেমে কিছু করতে পারছেন না। এমনিতে যশ্বসী সেফ হ্যান্ড ফিল্ডার। একসময় জাতীয় দলের হয়ে রাহানে গালিতে ফিল্ডিং করতেন। তাঁর হাত থেকেও ক্যাচ পড়তে দেখা যেত না। সেই জায়গায় পিল্ডিং করতে নেমে নিজেকে মানিয়ে নিয়েছিলেন যশ্বসী। কিন্তু হেডিংলেতে তাঁর চোখে মুখে অসহায়তার ছবি। ক্যাচ যেন তাঁকে তাড়া করে ফিরছে। আসলে ম্যাচে যতক্ষণ পর্যন্ত তিনি ক্যাচ না ধরতে পারছেন, ততক্ষণ তাঁর আত্মবিশ্বাস ফিরবে না। সে প্র্যাকটিসে হাজারখানেক ক্যাচ ধরলেও নয়। ডাকেট তারপরই সেঞ্চুরি করেন ১২০ বল খেলে তিনি টেস্ট ক্রিকেটে ছয় নম্বর সেঞ্চুরি করলেন। ভারতের বিরুদ্ধে দ্বিতীয়।
পরে অবশ্য বল করতে এসে ইংল্যান্ড জুটিকে ভাঙ্গেন প্রসিদ্ধ। প্রথমে আউট করেন ক্রলিকে। অফস্ট্যাম্পের বাইরে যাওয়া বল খোঁচা দিয়ে তিনি স্লিপে রাহুলের হাতে ধরা পড়েন। পরের ওভারে তিনি বোল্ড করেন লি পোপকে। প্রসিদ্ধর ভিতরে আসা বল পোপের উইকেট নড়িয়ে দেয়। দুওভারের মধ্যে দুটি উইকেট পেয়ে ভারতকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন প্রসিদ্ধ। দুই উইকেট পড়ার পর রুট এসে প্রসিদ্ধর সামনে ঝামেলায় পড়েন। তবে এই উইকেট পেয়ে গেলে ভারত ভালভাবে ম্যাচ ফিরতে পারবে।