সম্ভবত ১৯৩৮ হবে। সেবার অস্ট্রেলিয়া টেস্ট ম্যাচ খেলতে নেমে ব্যাটিংয়ে চমক দিয়েছিল। চারজন সেঞ্চুরি করেছিল। কিন্তু সেঞ্চুরি করলে হবে কি, সেই টেস্ট ম্যাচ অস্ট্রেলিয়া হেরে যায়। এতদিন এটাই ক্রিকেট ইতিহাসে রেকর্ড হয়েছিল। কিন্তু ৮৭ বছর পর হেডিংলেতে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলতে নেমে ভারত নতুন ইতিহাস লিখে ফেলল। টেস্টে পাঁচটি সেঞ্চুরি দেখা গেলেও ভারত পাঁচ উইকেটে ম্যাচ হারল।
কেন হারল! এর কারন ব্যাখ্যা করেছেন ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক নাসের হোসেন। তিনি দুটি কারনকে সামনে এনেছেন। বলছেন, প্রথমত ফিল্ডিং। দ্বিতীয়ত লোয়ার অর্ডারে ব্যর্থতা। এর বাইরে আর কিছু দেখা যাচ্ছে না। পাঁচদিনের রেকর্ড সামনে আনলে দেখতে পাবেন, স্লিপ ও গালিতে দাঁড়ানো ফিল্ডাররা বেশিরভাগ ক্যাচ ফেলেছে। ভারত প্রথম ইনিংসে ৪৭১ রান করার পর ইংল্যান্ড শুরুতে চাপে পড়ে যেত। কিন্তু ক্যাচ হাতছাড়া করার সুযোগ কাজে লাগিয়ে স্টোকসরা বড় রান করে ফেলে। একটা টেস্ট ম্যাচে এত ক্যাচ পড়লে সেই দলের ম্যাচ জেতার কথা নয়। শুধু ক্যাচ পড়েই তো শেষ হয়নি। ব্যাটসম্যানরা জীবন পেয়ে বড় রান করে গিয়েছে। ডাকেট দুবার ক্যাচ দিয়ে জীবন পেয়ে করেছে ৬২ রান। ব্রুকও দুবার জীবন পেয়ে করেছে ৯৯ রান। ওরা কিন্তু শুরুতে ক্যাচ দিয়েছিল। না হলে ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংসে ৪৬৫ রান করতে পারত না। ভারত হয়তো ১৫০ রানের উপর লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে মাঠে নামতে পারত। সেটা হল না ফিল্ডারদের ব্যর্থতার কারনে। মাত্র ৬ রানের লিড নিয়ে ভারত দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৬৫ রান করল। ইংল্যান্ডের সামনে টার্গেট দিল ৩৭২ রানের। অনেকে মনে করেছিলেন, এই রান টপকানো সহজ হবে না। কিন্তু প্রথম উইকেট জুটিতে ১৮৮ রান তুলে দিতে ইংল্যান্ড ম্যাচ জয়ের অনেক কাছে চলে গেল। এখানেও ডাকেটের ক্যাচ পড়। ৯৭ রানে দাঁড়ানো ডাকেটের ক্যাত ফেলে দেয় যশ্বসী। সেই ডাকেট করে ১৪৯ রান। তা হলে কত রানের ব্যবধান হল। এভাবেই ইংল্যান্ডের রান উঠে এসেছে। না হলে ভারত হয়তো ম্যাচের রং বদলে দিতে পারত।
এবার দ্বিতীয় কারনে এসেছেন নাসের। বলছেন, লোয়ার অর্ডার দুই ইনিংসে দাঁড়াতে পারল না। প্রথম ইনিংসে ৪১ রানে পড়ল ৭ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে পড়ল ৩১ রানে ৬ উইকেট। ম্যাচে লোয়ার অর্ডারে ১৩ উইকেট পড়ল ৭২ রানে। এমন হলে তো প্রতিপক্ষকে সুবিধা করে দেওয়া হয়। আগে জাদেজা, অশ্বিন, অক্ষররা লোয়ার অর্ডারে বড় রান তুলে দলকে ভরসা দিয়েছে। ম্যাচও জিতেছে। কিন্তু এখানে কি দেখলাম। হতাশা ছাড়া আর কিছু নয়। এমন ব্যাটিং হলে বড় রান আসবে কোথা থেকে। তাই শুরুর দিকের ব্যাটসম্যানরা ভাল খেললেও লোয়ার অর্ডারের ব্যর্থতায় ভারতীয় দলের ইনিংস লম্বা হয়নি। আসলে এটাই টেস্ট ম্যাচের ফারাক গড়ে দিয়েছে।
নাসেরর পাশে ছিলেন রবি শাস্ত্রী। নাসের রবির দিকে হাত তুলে বললেন, শেষদিনে রবি আমাকে বলছিল, জাদেজা টানা বল করলেও লাইনে গোলমাল করে ফেলছিল। রাফে বল ফেলতে পারলে বাড়তি স্পিন পেত জাদেজা। কিন্তু সেখানে বল না ফেলে অনেক আগে ল্যান্ড করছিল। রবি বলছিল, বলকে আরও একটু হাওয়ায় ভাসাতে পারলে রাফের লাইন ধরতে পারত জাদেজা। কিন্তু সেটা আর হল কোথায়। কাউকে দেখলাম না জাদেজাকে গিয়ে সেকথা বলতে। এমনকি অধিনায়ক শুভমানকেও কথা বলতে দেখলাম না। এই সব ছোট খাটো ভুল বড় হয়ে দেখা দিল। ভারতও হারল। না হলে এই ম্যাচ ভারতের হারার কথা নয়। দুটি কারনে ভারত প্রথম টেস্ট ম্যাচ হেরেছেঃ নাসের হোসেন
সম্ভবত ১৯৩৮ হবে। সেবার অস্ট্রেলিয়া টেস্ট ম্যাচ খেলতে নেমে ব্যাটিংয়ে চমক দিয়েছিল। চারজন সেঞ্চুরি করেছিল। কিন্তু সেঞ্চুরি করলে হবে কি, সেই টেস্ট ম্যাচ অস্ট্রেলিয়া হেরে যায়। এতদিন এটাই ক্রিকেট ইতিহাসে রেকর্ড হয়েছিল। কিন্তু ৮৭ বছর পর হেডিংলেতে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলতে নেমে ভারত নতুন ইতিহাস লিখে ফেলল। টেস্টে পাঁচটি সেঞ্চুরি দেখা গেলেও ভারত পাঁচ উইকেটে ম্যাচ হারল।
কেন হারল! এর কারন ব্যাখ্যা করেছেন ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক নাসের হোসেন। তিনি দুটি কারনকে সামনে এনেছেন। বলছেন, প্রথমত ফিল্ডিং। দ্বিতীয়ত লোয়ার অর্ডারে ব্যর্থতা। এর বাইরে আর কিছু দেখা যাচ্ছে না। পাঁচদিনের রেকর্ড সামনে আনলে দেখতে পাবেন, স্লিপ ও গালিতে দাঁড়ানো ফিল্ডাররা বেশিরভাগ ক্যাচ ফেলেছে। ভারত প্রথম ইনিংসে ৪৭১ রান করার পর ইংল্যান্ড শুরুতে চাপে পড়ে যেত। কিন্তু ক্যাচ হাতছাড়া করার সুযোগ কাজে লাগিয়ে স্টোকসরা বড় রান করে ফেলে। একটা টেস্ট ম্যাচে এত ক্যাচ পড়লে সেই দলের ম্যাচ জেতার কথা নয়। শুধু ক্যাচ পড়েই তো শেষ হয়নি। ব্যাটসম্যানরা জীবন পেয়ে বড় রান করে গিয়েছে। ডাকেট দুবার ক্যাচ দিয়ে জীবন পেয়ে করেছে ৬২ রান। ব্রুকও দুবার জীবন পেয়ে করেছে ৯৯ রান। ওরা কিন্তু শুরুতে ক্যাচ দিয়েছিল। না হলে ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংসে ৪৬৫ রান করতে পারত না। ভারত হয়তো ১৫০ রানের উপর লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে মাঠে নামতে পারত। সেটা হল না ফিল্ডারদের ব্যর্থতার কারনে। মাত্র ৬ রানের লিড নিয়ে ভারত দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৬৫ রান করল। ইংল্যান্ডের সামনে টার্গেট দিল ৩৭২ রানের। অনেকে মনে করেছিলেন, এই রান টপকানো সহজ হবে না। কিন্তু প্রথম উইকেট জুটিতে ১৮৮ রান তুলে দিতে ইংল্যান্ড ম্যাচ জয়ের অনেক কাছে চলে গেল। এখানেও ডাকেটের ক্যাচ পড়। ৯৭ রানে দাঁড়ানো ডাকেটের ক্যাত ফেলে দেয় যশ্বসী। সেই ডাকেট করে ১৪৯ রান। তা হলে কত রানের ব্যবধান হল। এভাবেই ইংল্যান্ডের রান উঠে এসেছে। না হলে ভারত হয়তো ম্যাচের রং বদলে দিতে পারত।
এবার দ্বিতীয় কারনে এসেছেন নাসের। বলছেন, লোয়ার অর্ডার দুই ইনিংসে দাঁড়াতে পারল না। প্রথম ইনিংসে ৪১ রানে পড়ল ৭ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে পড়ল ৩১ রানে ৬ উইকেট। ম্যাচে লোয়ার অর্ডারে ১৩ উইকেট পড়ল ৭২ রানে। এমন হলে তো প্রতিপক্ষকে সুবিধা করে দেওয়া হয়। আগে জাদেজা, অশ্বিন, অক্ষররা লোয়ার অর্ডারে বড় রান তুলে দলকে ভরসা দিয়েছে। ম্যাচও জিতেছে। কিন্তু এখানে কি দেখলাম। হতাশা ছাড়া আর কিছু নয়। এমন ব্যাটিং হলে বড় রান আসবে কোথা থেকে। তাই শুরুর দিকের ব্যাটসম্যানরা ভাল খেললেও লোয়ার অর্ডারের ব্যর্থতায় ভারতীয় দলের ইনিংস লম্বা হয়নি। আসলে এটাই টেস্ট ম্যাচের ফারাক গড়ে দিয়েছে।
নাসেরর পাশে ছিলেন রবি শাস্ত্রী। নাসের রবির দিকে হাত তুলে বললেন, শেষদিনে রবি আমাকে বলছিল, জাদেজা টানা বল করলেও লাইনে গোলমাল করে ফেলছিল। রাফে বল ফেলতে পারলে বাড়তি স্পিন পেত জাদেজা। কিন্তু সেখানে বল না ফেলে অনেক আগে ল্যান্ড করছিল। রবি বলছিল, বলকে আরও একটু হাওয়ায় ভাসাতে পারলে রাফের লাইন ধরতে পারত জাদেজা। কিন্তু সেটা আর হল কোথায়। কাউকে দেখলাম না জাদেজাকে গিয়ে সেকথা বলতে। এমনকি অধিনায়ক শুভমানকেও কথা বলতে দেখলাম না। এই সব ছোট খাটো ভুল বড় হয়ে দেখা দিল। ভারতও হারল। না হলে এই ম্যাচ ভারতের হারার কথা নয়।