তিনিও এমন ব্যাটিং করতেন। ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটে তাঁকে এই মেজাজে সবাই দেখেছেন। টেস্টে বিরাট কিছু করতে না পারলেও সাদা বলের ক্রিকেটে নিজের জাত চিনিয়েছেন দক্ষিন আফ্রিকার প্রাক্তন ক্রিকেটার এ বি ডিভিলিয়ার্স। ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে তিনি আরও চেনা আইপিএলের কারনে। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে তিনি যে দাপট দেখিয়েছেন তা মানুষ ভুলবে কী করে। সেই ডিভিলিয়ার্স হেডিংলেতে ভারত-ইংল্যান্ডের খেলা দেখে উচ্ছ্বসিত। আবার আতঙ্কিতও। তিনি ভাবতে পরছেন না ক করে ঋষব পন্থ ইংল্যান্ড বোলারদের উপর রোলার চালিয়ে দিলেন। নিজের ইউ টিউব চ্যানেলে কথা বলতে গিয়ে ডিভিলিয়ার্স বলেছেন, ঋষভের খেলা দেখে একটা কথাই বলার আছে যে সাহসীদের কাছে সাফল্য ধরা দেয়, সেটা আরও একবার প্রমানিত হল। ওর দুই ইনিংসে সেঞ্চুরি দেখে এটাই সবার আগে মনে হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, এমন ইনিংস খেলার পর টেস্ট জিততে না পেরে দলের সকলেই হতাশ। এমনটা হওয়া স্বাভাবিক। একটা টেস্টে পাঁচটি সেঞ্চুরি আসার পর সেই ম্যাচ কেউ হারতে পারে! না, এখানেই হতাশা বেশি করে কাজ করে।
হেডিংলে টেস্টে ভারতীয় দল নিয়ে আরও অনেক কথা বলেছেন ডিভিলিয়ার্স। তিনি বলেছেন, জানি এই ম্যাচ হারের পর দেসের মিডিয়া নান কথা বলা শুরু করে দিয়েছে। এজবাস্টন টেস্টে কী কী বদল আনতে হবে, তা নিয়ে পরামর্শ দেওয়াও শুরু হয়েছে। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, একটা হারে সব কিছু বদলে যায় না। আবার আতঙ্কিত হয়ে পড়ার কোনও কারন খুঁজে পাচ্ছি না। ২ জুলাই ভারত দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নামবে। তার মধ্যে নিজেদের ভুলগুলি নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে। তারপর মাঠে নেমে পড়। আমার কাছে দলের লোয়ার অর্ডারের ব্যাটিং অনেক বেশি জরুরি। ওরা রান করতে পারলে ভারত নিজেদের ফিরে পাবে।
আবার তিনি ফিরে গিয়েছেন ঋষভে। বলছেন, খেলা দেখতে দেখতে একটা মনে হয়েছে, এত ঝুঁকি নিয়ে খেলার কি দরকার ছিল। বিশেষ করে টেস্ট ক্রিকেটে। আমি হাতে গুনে দেখেছি, দুই ইনিংসে কুড়িবার ঋষভ আউট হওয়ার সুযোগ দিয়েছিল। এবং সেটা ৩০ রান করার আগে। তারপর নিজের রান টেনে নিয়ে গিয়েছে। এই যেমন দ্বিতীয় ইনিংসের কথা যদি ধরি তা হলে দেখতে পাই, প্রথম সেশনের শুরুতে বেশ কিছু ঝুঁকিপূর্ণ স্ট্রোক খেলার চেষ্টা করেছে। তারপর নিজে বুঝতে পেরেছে ঠিক হচ্ছে না। পরে নিজেকে শুধরে নেয়। দায়িত্ব নিয়ে খেলে। সেঞ্চুরিও করে। এটাই আমরা সবাই দেখতে চেয়েছিলাম। ঋষভ সেটা করে দেখিয়েছে। এটাও ঘটনা যে দুই ইনিংসে ওর ব্যাট থেকে বড় রান ইনিংস দেখা না গেলে ভারতীয় দল এই জায়গায় আসতে পারত না।শুধু নিজের রানের কথাই বলি কি করে, সঙ্গে বড় পার্টনারশিপও করেছে। একটি টেস্ট ম্যাচে দুটি বড় পার্টনারশিপ দরকার। এবং সেটা করতে পারলে ম্যাচ নিজেদের দখলে নিয়ে আসা যায়। ঋষভ উইকেটে দাঁড়িয়ে সেটা করে দেখিয়েছে। তাই ভারত প্রথম ইনিংসে ৪৭১ রান করেছে। দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৬৪ রান করেছে। বাকিরা থাকলেও ঋষভের ইনিংস দেখা না গেলে ভারত এই জায়গায় আসতে পারত না। তাই আবার বলছি, সাহসীকতার পুরস্কার পেয়েছে ঋষভ। তার প্রমান দুই ইনিংসে দুটি সেঞ্চুরি।