বুধবার ৪৮ ঘন্টার সংঘর্ষ-বিরতি ঘোষিত হয়েছিল, আফগানিস্তান আর পাকিস্তানের গত কয়েক সপ্তাহের অবিরাম বোমাবর্ষণের। শুক্রবার সেই মেয়াদ শেষ হওয়ার পরই পাক বোমারু বিমানের হানায় নিহত ৮জনের মধ্যে আফগানিস্তানের তিন ক্রিকেটার!
এই ঘটনার প্রতিবাদে আগামী নভেম্বরের ত্রিদেশীয় সিরিজ় থেকে দল তুলে নিল আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি)। সিরিজ়ে পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে তাদের খেলার কথা ছিল। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তারা না-খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিন ক্রিকেটারের নাম এবং ছবি প্রকাশ করেছে বোর্ড। নিহতেরা হলেন কবীর, শিবঘাতুল্লা এবং হারুন। এসিবি-র বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘পাকতিকা প্রদেশের উরগুন জেলার ক্রিকেটারদের উপর কাপুরুষোচিত হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। তাঁরা শহিদ হয়েছেন। আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড এই ঘটনায় গভীর ভাবে শোকাহত। উরগুন জেলার তিন ক্রিকেটার এবং আরও পাঁচ জন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। সাত জন জখম। এই ক্রিকেটারেরা একটি বন্ধুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলতে এর আগে পাকতিকার রাজধানী শারানায় গিয়েছিলেন। সেখান থেকে উরগুনে ফেরার পরেই তাঁদের নিশানা করা হয়।’’
বোর্ডের তরফে বলা হয়েছে, ‘‘আফগানিস্তানের ক্রীড়াজগতে এটা অপূরণীয় ক্ষতি। ওঁদের পরিবারের প্রতি এবং পাকতিকার মানুষের প্রতি আমরা গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আগামী নভেম্বরে পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যে ত্রিদেশীয় টি২০ সিরিজ়ে খেলার কথা ছিল আফগানিস্তানের, তাতে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আফগান বোর্ড।’’
আফগানিস্তানের টি-২০ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক রশিদ খান সমাজমাধ্যমে তীব্র সমালোচনা করেছেন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। লিখেছেন, ‘‘পাকিস্তানের হামলায় আফগানিস্তানের নাগরিকদের মৃত্যুতে আমি গভীর ভাবে শোকাহত। এই হামলায় অনেক মহিলা, শিশুর প্রাণ গিয়েছে। প্রাণ গিয়েছে তরুণ ক্রিকেটারদের, যাঁরা এক দিন আন্তর্জাতিক মঞ্চে খেলার স্বপ্ন দেখেছিলেন। এভাবে অসামরিক পরিকাঠামোয় হামলা বর্বরোচিত এবং অনৈতিক। এই হিংস্রতা মানবাধিকারকেও ধ্বংস করে। একে এড়িয়ে যাওয়ার কোনও প্রশ্ন নেই।’’
বোর্ডের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে এরপর রশিদ বলেন, ‘‘এতগুলো নিষ্পাপ প্রাণের মৃত্যু হয়েছে। আমি আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছি। এই কঠিন সময়ে আমি আমাদের দেশের মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছি। দেশের মর্যাদা সবচেয়ে আগে।’’







