শুরু থেকে শেষপর্যন্ত হাড্ডহাড্ডি লড়াই। শেষপর্যন্ত বিশাল কাইথের সোনার হাতেই ঐতিহ্যের শিল্ড জয় মোহনবাগানের(Mohunbagan)। ডুরান্ডের মধুর প্রতিশোধ সম্পূর্ণ। আর ম্যাচ শেষে সেই বিশাল কাইথই(Vishal Kaith) ধন্যবাদ জানাচ্ছেন সবুজ-মেরুন সমর্থকদের। বয়কটের ডাক দেওয়া সমর্থকরা যে সব ভুলে তাদের সমর্থন করতে এসেছিলেন, সেটাই নাকি শক্তি বাড়িয়েছিল মোহনবাগানের। ইস্টবেঙ্গলের(Eastbengal) মতো চির প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারিয়ে আইএফএ শিল্ড হাতে তুলতে পেরে আপ্লুত বিশাল কাইথও(Vishal Kaith)।
আপুইয়ার(Apuia) গোলে সমতায় ফেরা। আর ম্যাচের শেষ মুহূর্তে বিশাল কাইথের দুরন্ত একটা সেভ। যুবভারতী মেতে ওঠে উল্লাসে। জয় গুপ্তা যখন শট নিতে যায় সেই সময় টাই ব্রেকারে স্কোর ৩-৩। এবারের ইস্টবেঙ্গলের অন্যতম চমক ছিলেন এই জয় গুপ্তা। কিন্তু তাঁকেই আটকে দিলেন মোহনবাগানের তারকা গোলকিপার বিশাল কাইথ(Vishal Kaith)। কেন তাঁকে পেনাল্টি স্পেশ্যালিস্ট বলা হয় সেটা বোধহয় আবারও বুঝিয়ে দিলেন। তবে ম্যাচ শেষ বিশালের মুখে একটাই কথা। ডার্বিটা তাদের জিততেই হত। গোলের নীচে দাঁড়ানোর সময় একটাই কথা মাথায় ঘুরছিল, দলকে যেভাবেই হোক জেতাতে হবে।
ম্যাচ শেষে বিশাল কাইথ(Vishal Kaith) জানান, যখন টাই ব্রেকার হচ্ছিল সেই সময় আমার মাথায় একটাই কথা ঘুরছিল। যেমনভাবেই হোক গোল বাঁচাতে হবে। আর সেটাই করতে পেরেছি। জিততে হবে এই ভেবেই এদিন মাঠে নেমেছিলাম। এদিন সমর্থকরা আমাদের ডাকে সারা দিয়ে মাঠে এসেছিলেন। তারা আমাদের পাশে থেকেছেন। সমর্থকদের অত্যন্ত ধন্যবাদ। তারা আমাদের পাশে থেকেছে বলেই তো এমনটা হয়েছে। এই জয় যেমন সমর্থকদের, তেমনই কোচ থেকে কর্তা সকলকে উতসর্গ করতে চাই।
শেষ ম্যাচেও মোহনবাগানের সমর্থকরা তাদের ক্ষোভ উগরে দিয়েছিল। কিন্তু এটা যে ডার্বি জয়। রাগ থাকলেও, শনিবার রাত ৯ টার পর থেকে সে সবই মিটে গেল তা বলাই যায়। এখন সকলেই যে মেতে মোহনবাগানের ডার্বি, সঙ্গে শিল্ড জয়ের আনন্দে।







