সানরাইজার্স হায়দরাবাদ দলের হেড কোচ ড্যানিয়েল লুকা ভিটোরি। ২০১৪ থেকে আইপিএলে কোচিং করাচ্ছেন। প্রথমে ছিলেন আরসিবিতে। তারপর ২০২৩ থেকে হায়দরাবাদ দলের কোচের দায়িত্বে। লম্বা কোচিং কেরিয়রে আইপিএলে বিভিন্ন দলের স্পিনারদের দেখেছেন। এবার আইপিএল মাঝপর্বে এসে দাঁড়িয়েছে। এখনও পর্যন্ত টুর্নামেন্টে যে সব স্পিনারদের (বাঁহাতি স্পিনার) দেখেছেন, তাদের মধ্যে নজরে পড়েছেন গুজরাট টাইটান্সের সাই কিশোরকে। ৮ ম্যাচে ১২ উইকেট নেওয়া সাই কিশোর তাঁকে চমকে দিয়েছেন। সোজাসুজি না বললেও মনের কথা বুঝে নিতে অসুবিধা হয়নি। সাই কিশোরকে নিজের দলে পেলে ভাল হত। বলেই দিলেন, এবার অকশনে আমরা একজন ভাল স্পিনারকে চাইছিলাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পাইনি। সাই কিশোরকে দুকোটি টাকায় গুজরাট রেখে দেয়। তাই আমাদের ইচ্ছে থাকলেও ওকে পাওয়া গেল না।
কেন সাই কিশোরকে দলে চাইছিলেন নিউজিল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক। বলছেন, শুধু এবারের পারফরম্যান্স দেখে ভাল কিছু বলার লোক আমি নই। ওকে আগেও দেখেছি। হাতে ভাল টার্ন আছে। বল ফ্লাইট করাতে ভয় পায় না। যা আজকাল বেশিরভাগ স্পিনাররা করে থাকে। রান আটক রেখে ব্যাটসম্যানকে চাপে ফেলা ওর কাজ নয়। নানাভাবে পরীক্ষা করে। বোলিংয়ে বৈচিত্র আছে বলে ব্যাটসম্যানরা ওকে উইকেট দিয়ে ফিরে যায়। কখনও গতিতে বল করে। আবার কখনও স্লোয়ার করিয়ে ব্যাটসম্যানকে বোকা বানায়। এর সঙ্গে সাফল্য তো আছেই। আমার মনে হয় , আমরা ওর মতো একজন স্পিনার পেলে সুবিধা হত।
সাই কিশোর শুধু নন। আরও কয়েকজনকে ভিটোরির মনে ধরেছে। রবীন্দ্র জাদেজার কথা বলতে গিয়ে তিনি জানান, জাড্ডুকে নিয়ে এখন আর আলাদা কী বলব। জাতীয় দলের হয়ে খেলতে নেমে নিজেকে বারবার প্রমান করেছে। তিন ফরম্যাটে দারুন পারফরম্যান্স আমরা ওর কাছ থেকে দেখেছি। সিএসকের নূর আমেদও ভাল বল করেছে। তবে আমি বেশি বাঁহাতি স্পিনারদের দিকে চোখ রাখি। হয়তো নিজে বাঁহাতি স্পিনার ছিলাম বলে হয়তো এমন হয়ে গিয়েছি।
সাই কিশোর তামিলনাড়ুর ছেলে হলেও সিএসকে দলে সুযোগ পাননি। তামিলনাড়ুর হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেছেন। আইপিএলে গুজরাটের হয়ে মাঠে নেমে চমক দিয়েছেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে ভাল পারফরম্যান্সের কারনে জাতীয় দলে সুযোগও মিলেছে। এশিয়ান গেমসে ভারতীয় দলের হয়ে তিন ম্যাচে চার উইকেট পেয়েছেন। সেই আসরে ভারতীয় দল সোন জেতে। ব্যস, এই পর্যন্ত। তারপর জাতীয় দলে আর খেলা হয়নি সাই কিশোরের। তাঁর সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে প্রাক্তন ক্রিকেটার আম্বাতি রায়াডু বলছেন, সাই কিশোর বেশ কিছুদিন ধরে নজরে পড়েছে। ঘরোয়া ক্রিকেটে সাফল্যও পেয়েছে। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ৪৬ ম্যাচে ১৯২টি উইকেট পেয়েছে। এটাই প্রমান করে ভারতের মাটিতে নিজেকে কীভাবে মেলে ধরেছে। আইপিএলে ১৮ ম্যাচে পেয়েছে ২৫টি উইকেট। তাই এখন ওর দিকে সকলের নজর। এবারের আইপিএলে এখনও গুজরাট অনেক ম্যাচ খেলবে। আশা করি, ওর উইকেট সংখ্যা আর বাড়বে। আবার জাতীয় দলে ডাক পাবে।