১৬ বছরের সচিন তেন্ডুলকরকে টেস্ট খেলতে দেখেছিল গোটা বিশ্ব। দেখেছিল দুরন্ত ওয়াকার ইউনিসকে শাসন করতে। কিন্তু সেই সচিনও বিস্ফোরিত চোখে দেখলেন ১৪ বছরের এক বাচ্চাকে অবিশ্বাস্য কীর্তি গড়তে। বৈভব সূর্যবংশী – বিহারের এই তরুণ, না তরুণ নয়, কিশোর, বিস্ময় কিশোর জয়পুরে এ কী কাণ্ড ঘটালেন! সর্বকনিষ্ঠ ক্রিকেটার হিসাবে টি টোয়েন্টিতে শতরানের বিশ্বরেকর্ড! আইপিএলে দ্য ইউনিভার্স বসের পরেই এই বস বেবি। হ্যাঁ, জাস্টিন ল্যাঙ্গার নামটা দিয়েছেন। দ্বিতীয় দ্রুততম শতরান। গেইল করেছিলেন ৩০ বলে আর ১৪ বছর ৩২ দিনের বস বেবি করলেন ৩৫ বলে। অবিশ্বাস্য কীর্তি গড়া দেখে বিস্ফোরিত ক্রিকেটবিশ্ব। আইপিএলে দ্রুততম শতরানে যাঁর রেকর্ড ভাঙলেন, সেই ইউসুফ পাঠান থেকে যুবরাজ সিং, হরভজন সিং থেকে কৃষ্ণমাচারি শ্রীকান্ত – বিস্ময়, আবেগ, উচ্ছ্বাসে ভাসিয়ে চলেছেন বৈভবকে, বৈভবের কীর্তিকে।
১৪ বছর বয়সে তুমি কী করতে? এই প্রশ্নটাই ছুঁড়ে দিয়েছেন বিস্মিত যুবরাজ সিং। যুবির পোস্ট, “এই বাচ্চা ছেলেটা এমনভাবে বিশ্বের সেরা বোলারদের মোকাবিলা করল, চোখের পাতা ফেলতে দিল না। বৈভব সূর্যবংশী – নামটা মনে রাখুন। কী ভয়ডরহীন অ্যাপ্রোচ! পরের প্রজন্মকে উঠে আসতে দেখে গর্ব হচ্ছে।“
কিংবদন্তি সচিন তেন্ডুলকর অবিশ্বাস্য শতরানের ক্রিকটীয় ব্যাখ্যা দিয়েছেন। লিখেছেন, ভয়ডরহীন অ্যাপ্রোচ, ব্যাটের গতি, দ্রুত বলের লেংথ বুঝে নেওয়া এবং বলের পিছনে এনার্জিকে জেনারেট করা – এগুলোই এমন দুরন্ত ইনিংসের রেসিপি।
ইউসুফ খান পোস্ট করেছেন, “আমার রেকর্ড ভাঙার জন্য অজস্র অভিনন্দন। ভারতীয় হিসাবে আইপিএলে দ্রুততম শতরান। সত্যিই স্বপ্নের মত।“
শ্রীকান্তের কথায়, ১৪ বছর বয়সে তো বাচ্চারা আইসক্রিম খাওয়ার কথা ভাবে। ভারতীয় ক্রিকেটের পরের মহাতারকা এসে গেল। হরভজন সিং থেকে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদাম্বরম – সকলেই বিস্মিত, আপ্লুত, বস বেবির ঘোরে আচ্ছন্ন।