হয়তো তিনি ঘোরের মধ্যে ছিলেন। কী হচ্ছে কিছুই যেন বুঝতে পারছিলেন না। সকলের প্রশংসা মুখের চওড়া হাসিতে উত্তর দিচ্ছিলেন। এরই মাঝে পুরস্কার মঞ্চ থেকে ডাক পড়ল। ম্যাচের সেরা বৈভব সূর্যবংশী। এটা জানাই ছিল। তই অবাক হতে দেখা গেল না। তিনি এগিয়ে গেলেন। তারপর যা বললেন, তা বৈভবরে মুখ থেকে শুনে নেওয়া যেতে পারে।
সত্যি বলছি,এখন বিশ্বাস করতে পারছি না। এটা দারুন এক অনুভূতি। আইপিএলে তিন নম্বর ম্যাচে আমার প্রথম সেঞ্চুরি। এ নিয়ে কথা বলতে গেলে অনেক কিছু মনে পড়ে যাচ্ছে। অকশন থেকে রাজস্থান রয়্যালেস আসার পর টানা পরিশ্রম করে গিয়েছি। বলতে সেই প্র্যাকটিসের এটাই পুরস্কার। মাঠে ভর্তি লোক। স্টেডিয়ামে কোথাও পাঁকা ছিল না। তবে আমি ভাল করে দেখিনি। কারন মাঠে নেমে আমি কখনও গ্যলারির দিকে তাকাই না। আমার নজর থাকে বোলারের হাতের দিকে। বল ছাড়ার সময় তাদের হাতের পজিসন দেখি। এবং বুঝে যাই কোন বল কোথায় আসবে। সেদিকে ফোকাস থাকে বলে কোথায় কি হচ্ছে ত বুঝতে পারি না। যশ্বসীর সঙ্গে ব্যাট করতে ভাল লাগে। ওর সঙ্গে কথা বলে নিজের আত্মবিশ্বাস পাই। আসলে ও নিজে খুব পজিটিভ। কখন নেগেটিভ জিনিস মাতায় কাজ ককরতে দেয় ন। সবাইক সেই কথাই বলে। আমার তাই সুবিধা হয়। কাজটা অনেক সহজ হয়ে যায়। সেঞ্চুরি পেলে সকলের ভাল লাগে। আমারও লাগছে। আইপিএলে সেঞ্চুরি পেলাম। বলতে পারেন স্বপ্ন বাস্তবে নেমে এল। আমার বিপক্ষে কোন বোলার ব করছে সেদিক তাকাই না। আমি কাউকে ভয় পাই না। জানি, আমাকে খেলতে হবে। রান করতে হবে। সেখানে ভয় বলে কিছু থাকলে সফল হওয়া যাবে না। তাই মনে কোনও সংশয় নিয়ে ব্যাট করি না।