বৈভব সূর্যবংশী – এই একটা নাম নিয়েই ক্রিকেট মহলে এখন যত আলোচনা। সোমবার জয়পুরে সকলের হৃদয় জিতে নিয়েছেন ১৪ বছরের কিশোর বৈভব সূর্যবংশী। কনিষ্ঠতম ক্রিকেটার হিসাবে টি টোয়েন্টিতে শতরান করে বিশ্বরেকর্ড। ৩৫ বলে শতরান করে আইপিএলে দ্বিতীয় দ্রুততম হিসাবে অনন্য নজির। বিস্ফারক, বিধ্বংসী ওই ইনিংস নিয়ে চর্চা চলছেই। আপ্লুত বৈভবের বাবা সঞ্জীব সূর্যবংশীর আবেগঘন প্রতিক্রিয়া, ৬ মাস আগেই দিওয়ালি এসে গেল।
সোমবার জয়পুরে বৈভব যখন তাণ্ডব করছেন, তখন এক হাজার ১৭৭ কিলোমিটার দূরে বিহারের সমস্তিপুরে বিস্ময় কিশোরের মহল্লায় সবাই প্রার্থনায় ব্যস্ত ছিলেন। তারপর সেটাই উৎসবে পরিণত হয়ে গেল। শুভমন গিলের উঠে আসার যে গল্প, তাতেই উৎসাহিত হয়ে বৈভবের জন্যও তেমনই ব্যবস্থা করেছিলেন ক্রিকেটপ্রেমী বাবা। এনসিএতে ভিভিএস লক্ষণের হাতে তৈরি। এখন রাজস্থান রয়্যালসে রাহুল দ্রাবিড়, বিক্রম রাঠোরদের তত্ত্বাবধানে আছেন বৈভব, তাই তাঁদের সকলকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাচ্ছেন সঞ্জয়।
শুভমন গিল, পৃথ্বী শ, অভিষেক শর্মা, সরফরাজ খানদের বাবারা যেমন তাঁদের ছেলেকে নিয়ে স্বপ্ন দেখেছিলেন, ক্রিকেটার তৈরি করার জন্য নিজেদের সামর্থ্যকে উজাড় করে দিয়েছিলেন, ঠিক সেভাবেই বৈভবের জন্য করেছেন সঞ্জীব সূর্যবংশী। শুভমনের গল্প জেনে বৈভবের জন্যও সিমেন্টর পিচ বানিয়ে দিয়েছিলেন। সেই শুভমনের দলের বিরুদ্ধেই এমন অবিশ্বাস্য ঘটনা ঘটায় বেশি খুশি সঞ্জীব
বৈভবের সৌভাগ্য, বেড়ে ওঠার সময় পাশে পেয়েছেন লক্ষ্মণ-দ্রাবিড়দের। এনসিএতে কোচিং দিয়ে লক্ষ্মণই দ্রাবিড়কে বলেছিলেন এই অসামান্য প্রতিভাকে রাজস্থান রয়্যলস দলে নিতে। তাই কৃতজ্ঞতায় মাথা ঝুঁকে আসছে সঞ্জীবের। বৈভবের কোচ মনীশ ওঝা জানান, ২ বছর ধরে বৈভবকে কোচিং দিচ্ছেন লক্ষ্মণ। রাজস্থান রয়্যলসের ব্যাটিং কোচ বিক্রম রাঠোরও এই দুরন্ত প্রতিভায় মুগ্ধ, বিস্মিত।