আয়ুশ শেঠি তাইপেই ওপেনের প্রারম্ভিক লগ্নে চমকে দিলেন। বিশ্বের ১৩ নম্বর খেলোয়াড় লি চিয়া হাওকে স্ট্রেট সেটে হারিয়ে দিলেন আয়ুশ। খেলার ফল ২১-১৭ ও ২১-১৮ পয়েন্টে জিতে যান ভারতীয় শাটলার। চলতি মরশুমে ভারতীয় শাটলারদের মধ্যে আয়ুশ বেশ কয়েকটা ম্যাচে সকলকে চমকে দিয়েছেন। হারিয়েছেন তঁার চেয়ে বিশ্ব ক্রম তালিকায় এগিয়ে থাকা অনেক শাটলারকে। অরলিন্স মাস্টার্সের সেমিফাইনালে পৌছে গিয়েছিলেন। সেই আয়ুশ চমকে দিলেন তাইপেই ওপেনের শুরুতেই।
এবছর অল ইংল্যান্ড চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালিস্ট লি-কে হারিয়ে শুধু চমকে দিলেন না, বুঝিয়ে দিলেন তিনি কতটা আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে খেলতে পারেন। দুজনের মধ্যে লড়াইটা ছিল বেশ চিত্তাকর্ষক। তবে ভারতীয় শাটলার প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে খেলতে থাকেন। সেই ধারা বজায় রেখে তিনি গেমটা বের করে নিয়ে চলে যান। আয়ুশকে এবার প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে খেলতে হবে ভারতীয় অভিজ্ঞ শাটলার শ্রীকান্ত কিদাম্বির বিরুদ্ধে। ম্যাচের শুরুতে পিছিয়ে ছিলেন আয়ুশ। প্রথম গেমের শুরুতে দেখা যায় আয়ুশ ৩-৭ পিছিয়ে পড়েছেন। পিছিয়ে পড়লেও কখনও তিনি হাল ছাড়েননি। দ্রুতগতির লি-র সাথে তালে তাল রেখে খেলে গিয়েছেন। একটা সময় দু-জনের পয়েন্ট চলে আসে ১৬-১৬। মনে হচ্ছিল অভিজ্ঞ লি ঠিক ঘুরে দঁাড়াবেন। অথচ ঘটে ঠিক উল্টো। প্রথম গেম হারার পর দ্বিতীয় গেমেও শুরুতে পিছিয়ে ছিলেন অায়ুশ। লির ঘুরে দঁাড়ানো নিয়ে কারও মনে কোনও সন্দেহ ছিল না। ১৫-১৭ পয়েন্টে পিছিয়ে থাকাকালীন আয়ুশকে নিয়ে তখন সকলে ভাবতে শুরু করেছেন। ম্যাচটা তৃতীয় গেমে গড়াচ্ছে, সকলে ভেবেই নিয়েছেন। সেই গেমেই জয়-পরাজয় নির্ধারিত হবে। কিন্তু লি লাইনের উপর স্ম্যাশ করতে গিয়ে বারবার ব্যর্থ হন। উল্টোদিকে আয়ুশ কোর্টের সামনের দিকে শট নেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন। ফলে টানা পঁাচ পয়েন্ট নিয়ে ম্যাচটা বের করে নিয়ে চলে যান ভারতীয় শাটলার। ৫০ মিনিটে ম্যাচের ফয়সালা হয়ে যায়। আয়ুশ-শ্রীকান্ত দুবার বিডব্লুএফ প্রতিযোগিতায় মুখোমুখি হয়েছেন। জিতেছেন দুজনে একটা করে ম্যাচ। এবার দেখার কে জেতে।

ইংল্যান্ড সিরিজে কে এল রাহুলকে অধিনায়ক করা যেতে পারতঃ মঞ্জরেকর
সঞ্জয় মঞ্জরেকর এমনই। কোন কথায় বিতর্ক দানা বাঁধবে, সবসময় সেটাই তিনি খোঁজেন। এবং তাঁকে ঘিরেই বিতর্ক বেড়ে ওঠে। এই