এমনটাই নাকি ঘটেছিল। কার কথা বিশ্বাস করা যায়। রোহিত শর্মা এক ঘনিষ্ট সূত্র এমন কথাই জানাচ্ছে। এটাই যদি সত্যি হবে তা হলে দুবাইয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের পর রোহিত কেন বলেছিলেন, আমি কোথাও যাচ্ছি না। এখানে আছি। এখানেই থাকব। তা হলে…!
দুবাই থেকে ট্রফি নিয়ে দেশে ফিরে আসার পর আইপিএলের আগে রোহিত জানিয়েছিলেন, তিনি ইংল্যান্ড সিরিজ খেলতে চান। পাঁচ টেস্টের সিরিজ খেলে দেশে ফিরে আসার পর টেস্ট ক্রিকেট নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। এই ভাবনা থাকলে তিনি কেন ঘনিষ্ট মহলে অবসরের কথা শোনাবেন।
অনেক কিছু কথা থাকে যার কোন ভিত্তি নেই। তেমনই টেস্ট ক্রিকেট নিয়ে ঘনিষ্ট মহলে জানানো রোহিতের ভাবনাকে পুরোপুরি মেনে নেওয়া যাচ্ছে না। এমন কথা জানার পর বোর্ডের এক শীর্ষস্থানীয় কর্তা বলেই দিলেন, তাই যদি হবে তা হলে টেস্ট ক্রিকেট নিয়ে এত কথা বলার কি থাকতে পারে।
সত্যিই তো তাই। একদিকে নাকি রোহিত টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের ভাবনা ভাবছেন, আবার অন্যদিকে ইংল্যান্ডের মটিতে টেস্ট খেলতে চান। সব কিছু কেমন গোলকধাঁধায় পড়ার মতো অবস্থা। বিশ্বাস কর যায় না, রোহিত আগে থেকে অবসরের কথা ভাবছিলেন। তবে এটাও ঘটনা যে বুধবার সকালে ভাবলেন, আর রাতে ইনস্ট্যাগ্রামে চার লাইন লিখে অবসর নেওয়ার কথা জানিয়ে দেওয়া এক হতে পারে না। তিনি এ নিয়ে ভেবেছেন। অবশ্যই ভেবেছেন। এটা আইপিএলের মাঝে হয়তো শুরু হয়েছে। নির্বাচক কমিটির প্রধানের সঙ্গে কতা বলে অন্দমহলের কথা জানার পর তিনি অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন। অধিনায়কত্ব তো দূর অস্ত, দল থেকে বাদ দিলে মান থাকে না। এট ভেবেই তিনি সাত তাড়াতাড়ি টেস্ট ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়ালেন। এটা বাস্তব হতে পারে। মেনে নেওয়া যেতে পারে। রোহিত অবশ্য এটাই করেছেন।
এ নিয়ে আরও কথা শোনা গিয়েছে। নিজের কেরিয়রে অনেক কিছু দেখেছেন। টেস্ট কেরিয়রের শুরুর কথা বলছেন না। তারপরের কথা শুনিয়েছেন। মিডিয়াকে এক হাত নিয়ে বলছেন, আগের জমানায় এত চাপ নিয়ে খেলতে হত না। সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে মিডিয়ার কাজ অন্যরকম হয়ে চলেছে। এরা সবসয় ব্রেকিং নিউজের খোঁজে ছোটে। আগে পিছে কেটে এমন কথা হাইলাইট করার চেষ্টা করে যা সেই ক্রিকেটারকে চাপ ফেলে দেয়। সামান্য ছোট একটা খবরকে বিরাট করে বানিয়ে হিট করার চেষ্টা করে। একেই খেলার মাঠে অনেক চাপ থাকে। তারপর এই সব খবরে চাপ আরও বাড়ে। সব থেকে সমস্যায় ফেলে দেন টিভি ভাষ্যকাররা। ব্রডকাস্টাররা মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে অনেক কিছু বলেন। যা ক্রিকেটারকে সহজ হতে দিতেচায় না। কিন্তু বিদেশের মিডিয়া অন্যরকম কাজ করে। তার ক্রিকেটারদের পাশে থেকে সব কিছু সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। ফরাক এখানেই। এটা ঠিক করা উচিত।