“আর্সেনালের কাছে হারার পর একটা বার্তা দিতে চেয়েছিলাম। আশাকরি সেই বার্তা এবার দিতে পেরেছি।” বক্তা অন্যকেউ নন স্বয়ং কার্লো আনচেলেত্তি। যিনি এখন বিশ্ব ফুটবল খবরের শীর্ষে। ১৬ এপ্রিল আর্সেনালের কাছে ফিরতি লেগে ২-১ ব্যবধানে হারার পর থেকেই তিনি বসে পড়েছেন হটসিটে। কখনও সাংবাদিকরা তঁাকে প্রশ্ন করছেন, ব্রাজিল দলের দায়িত্বে আসছেন কিনা। কখনও প্রশ্ন করা হচ্ছে, রিয়াল মাদ্রিদ ক্লাব কর্তাদের সঙ্গে তঁার দল ছাড়া নিয়ে কথাবার্তা হয়েছে? তাই লা লিগার অ্যাথলেটিক বিলবাও ম্যাচটা তঁার কাছে ভাইটাল ছিল। জয়ের সরণীতে ফিরে আসা তো অবশ্যই, তাছাড়া ২৪ ঘন্টা আগে বার্সেলোনা অবিশ্বাস্য জয়ের সাক্ষী থেকেছে। সুতরাং জয় না পেলে আরও চাপে পড়ে যেতেন ইতালিয়ান কোচ। ৯০ মিনিট অব্দি সংশয়ে থাকার পর অতিরিক্ত সময়ের খেলায় যদি দল গোল পায় তখন যে কোনও কোচকে এনে দেয় পরম স্বস্তি। আনচেলেত্তির ক্ষেত্রেও হয়েছে ঠিক তাই। দলের একমাত্র গোলটি করেন উরুগুয়ের ফেদে ভালভার্দে। এবারের লা লিগায় বিলবাও ভাল খেলে চলেছে। তার উপর প্রথম লেগের খেলায় রিয়ালকে হারিয়ে দিয়েছিল। তাই ম্যাচ শুরুর আগে একটা অস্বস্তি তো ছিলই। কিলিয়ান এমবাপে আবার প্রথম একাদশে ছিলেন না। সব মিলিয়ে প্রথম ৪৫ মিনিট মোটেই সুবিধে করতে পারেনি রিয়াল। বিরতির পর রিয়াল পুরোন মেজাজ ফিরে পায়। একের পর এক আক্রমণ শানিয়ে বিলবাওয়ের রক্ষণে নাভিশ্বাস তুলে দিয়েছিল। কিন্তু গোলের কাছাকাছি গিয়ে সুবিধে করতে পারছিল না। ৮২ মিনিটে ভিনিসিয়াস জুনিয়র গোল করে জয়ের আনন্দে মেতে ওঠেন। ভারের সাহায্য নিয়ে সেই গোল বাতিল করে দেন রেফারি। কিছুক্ষণ পরেই বেলিংহামকে বক্সের মধ্যে ফাউল করে ফেলে দিলে রিয়াল ফুটবলাররা পেনাল্টির দাবি জানাতে থাকেন। তাতেও কর্ণপাত করেননি রেফারি। নির্ধারিত সময়ের ৯০ মিনিট শেষ হয়ে যাওয়ার পর অনেকে যখন আনচেলেত্তির মুন্ডুপাত করছেন তখনই যাবতীয় সংশয়ের অবসান ঘটিয়ে বসেন ভালভার্দে। যোগ করা সময়ের তিন মিনিটের মাথায় দুর্দান্ত এক ভলিতে গোল করে যান মিডফিল্ডার। খেলার শেষে তাই নিজস্ব উচ্ছ্বাসকে লুকিয়ে রাখতে পারেননি আনচেলেত্তি। তিনি ভালভার্দের প্রশংসা করে বলেন, “যে গতিতে আমরা খেলি তা প্রথমার্ধে খেলতে পারছিলাম না। গতি হারিয়ে বসছিল। কিন্তু বিরতির পর দল দুর্দান্ত খেলেছে। আমাদের কাছে জেতাটা জরুরি ছিল। সেই জয় পেয়ে যেতে আশাকরি অনেক প্রশ্নের উত্তর দেওয়া সম্ভব হয়েছে। ভালভার্দে অসাধারণ খেলেছে। বিশেষ করে গোলটার কথা বলতেই হবে।” শেষ মুহূর্তের গোলে জিতে রিয়ালের সঙ্গে বার্সেলোনার পয়েন্টের ব্যবধান থাকল চার। ৩২ ম্যাচ খেলে রিয়ালের পয়েন্ট যেখানে ৬৯। সেখানে সমসংখ্যক ম্যাচ খেলে বার্সার পয়েন্ট ৭৩। দু-দলের সামনে রয়েছে ৬টা ম্যাচ। ১১ মে লা লিগায় দু-দল মুখোমুখি হবে। কে বলতে পারে সেই ম্যাচে লা লিগার ভাগ্য নির্ধারিত হবে না।

এজবাস্টনে কুলদীপকে চাই, ফিল্ডিংয়েও নজর দিতে হবেঃ ক্লার্ক
শুরুতেই সিরিজে ভারত পিছিয়ে পড়েছে। এবার ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই। সেই লড়াইয়ে জিততে হলে দলে কিছু বদল দরকার। সঙ্গে আগের