পরিবর্ত হিসেবে নেমে গোল করলেন। দলকে জেতালেন। চ্যাম্পিয়নশিপের দোরগড়ায় দলকে পৌছয়েও দিলেন। আনন্দঘন মুহূর্তের মাঝেও অভিমানের সুর শোনা গেল লিভারপুলের ট্রেন্ট আলেকজান্ডার আর্নল্ডের মুখে। কারণ একটাই, চোট আঘাতে জর্জরিত ছিলেন। খেলা থেকে সরে গিয়েছিলেন দূরে। তাই আর্নল্ডের সঙ্গে নতুন করে চুক্তি করেনি লিভারপুল। মরশুম শেষ হলেই তিনি হয়ে যাবেন ফ্রি-ফুটবলার। তখন যেখানে খুশি তিনি অনায়াসে যেতে পারেন। স্বভাবতই সকলের সঙ্গে যখন নতুন করে চুক্তি হচ্ছে তখন আর্নল্ডের কথা না ভাবাটা তঁার কাছে দুঃখের। তাই গোল করে জার্সি খুলে আনন্দ করতে গিয়ে রেফারি তঁাকে হলুদ কার্ড দেখান। তঁার করা একমাত্র গোলে লিভারপুল জিতে যায়। খেলার শেষে সাংবাদিকরা যখন চুক্তি প্রসঙ্গে প্রশ্ন করেন তখন বিষয়টা এড়িয়ে গিয়ে আর্নল্ড জানিয়ে দেন, “চুক্তি প্রসঙ্গে যখনই আপনারা আমাকে প্রশ্ন করেছেন তখনই আমি জানিয়েছি, এই ব্যাপারে কোনও কথা বলব না। তাই আবারও যখন জানতে চাইলেন তখন সেই একই উত্তর দিচ্ছি, এই িনয়ে কোনও কথা বলতে আগ্রহী নই।” পরমুহূর্তে তঁাকে বলতে শোনা যায়, “আমার কাছে এমন দিনটা হল একটা বিশেষ দিন। গোল করা, দলকে জেতানো, চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দোরগড়ায় পৌছে যাওয়া, এইগুলি একজন ফুটবলারের কাছে বিশেষ মুহূর্ত হিসেবে থেকে যায়। সবচেয়ে বড় কথা হল, আমার ভূমিকা পালন করতে পেরে সত্যিই আমি আনন্দিত।” লেস্টার সিটির বিরুদ্ধে ৭৬ মিনিটে একমাত্র গোলটি করে যান আর্নল্ড। একটা সময় গোলের পর গোল মিস করে প্রচন্ড চাপে পড়ে গিয়েছিল লিভারপুল। বর্তমান যা পরিস্থিতি তাতে দরকার আর একটা ম্যাচ। সেই ম্যাচ জিতলেই সব দলের ধরাছেঁায়ার বাইরে চলে যাবেন সালাহরা। ছঁুয়ে ফেলবেন ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডকে। যে দল সবচেয়ে বেশিবার (২০) ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ ঘরে তুলেছে। আগামী রবিবার টটেনহ্যামের সঙ্গে খেলা। এতদিন অপেক্ষা করতে নাও হতে পারে। যদি বুধবার ক্রিস্টাল প্যালেসের কাছে হেরে বসে আর্সেনাল। তখন অ্যানফিল্ডে চ্যাম্পিয়ন হিসেবে টটেনহ্যামের বিরুদ্ধে খেলতে নামবে লিভারপুল। ৭১ মিনিটে কনর ব্র্যাডলির পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নেমেছিলেন আর্নল্ড। চোট পাওয়ার পর প্রায় পঁাচ সপ্তাহের পরে তিনি মাঠে নামলেন। নামার পঁাচ মিনিটের মধ্যে গোল পেয়ে তিনি। তাও আবার গোল করেছেন বঁা পায়ের শটে।
স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত আর্নল্ডকে বলতে শোনা যায়, “এই মাঠে আগেও আমি বেশ কয়েকবার গোল করেছি। সবচেয়ে বড় কথা হল, চোট সারিয়ে মাঠে ফিরে গোল পেয়ে গেলাম। তাছাড়া গোলটা করেছি বঁা পায়ের শটে। এটি আমার প্রথম বঁা পায়ের গোল বলতে পারেন। এই ধরনের গোল আগেও প্রচুর মিস করেছি। ভাললাগছে, সঠিক সময়ে সঠিক জায়গা থেকে গোল করে যেতে পারলাম। আর দরকার আমাদের একটা মাত্র জয়। সমর্থকরা যেভাবে আমাদের পাশে আছেন তাতে মনে হয়না এই জয় তুলে নিতে কোনও সমস্যা হবে।