সকলে যখন ধরেই নিয়েছেন আর কোনও আশা নেই। রিয়ালের থেকে পয়েন্টের ব্যবধান বাড়ার সম্ভাবনা নেই দেখে যখন এক এক করে বেশ কিছু সমর্থক মাঠ ছাড়ছেন। ঠিক তখনই বজ্রপাত ঘটলো বার্সেলোনার মাঠে। পেনাল্টিতে গোল করে জিতিয়ে দিলেন রাফিনিয়া। বার্সেলোনা ৪-৩ ব্যবধানে হারিয়ে দিল সেল্টা ভিগোকে। তবে জিতলেও বড়সড় ক্ষতি হয়ে গেল লিয়নডস্কির চোট। এখনও বোঝা যাচ্ছে না সেই চোট কতটা গুরুতর। তবে পরিস্থিতি যা তাতে বলা যাচ্ছে না সহজে মাঠে ফিরে আসতে পারবেন পোলিশ স্ট্রাইকার।
গতম্যাচে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের কাছে হেরে গিয়েছিল বার্সা। দ্বিতীয় লেগের খেলায় বার্সা হেরে বসে ৩-১ গোলে। তবু চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ চারে উঠতে সমস্যা হয়নি বার্সেলোনার। যেহেতু প্রথম লেগের খেলায় ৪-০ ব্যবধানে জিতেছিল বার্সা। হেরে যাওয়ার জন্য হোক কিংবা অন্য যে কোনও কারণের জন্য ঘটুক, বার্সেলোনা যে এই ম্যাচ জিততে পারে তা কেউ কল্পনা করেনি। অতিরিক্ত ৮ মিনিটের মাথায় রাফিনিয়া পেনাল্টি থেকে গোল দিয়ে কোনওমতে বার্সাকে জেতান। নাহলে ৬৭ মিনিট অব্দি ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে ছিল সেল্টা ভিগো। সেল্টা ভিগো না বলে বলা উচিত বোরহা ইগলেসিয়াসের সামনে মাথা নোয়াতে বাধ্য হয়েছিল বার্সা। একাই তিনটে গোল করে তিনি বার্সেলোনাকে চাপে ফেলে দেন। অথচ খেলা শুরুর ১২ মিনিটের মাথায় প্রথম গোল করে এগিয়ে গিয়েছিল বার্সা। ফেরান তোরেস গোলটা করেন। গোল খাওয়ার ৪ মিনিটের ব্যবধানে গোল দিয়ে ভিগোকে সমতায় নিয়ে আসেন ইগলেসিয়াস। প্রথমার্ধের খেলা শেষ হয় ১-১ গোলে। কিন্তু বিরতির পর গোল করে ভিগোকে এগিয়ে দেন সেই ইগলেসিয়াস। তখন খেলা হয়েছে ৫২ মিনিট। ১০ মিনিট পর ফের গোল করে হ্যাটট্রিক সম্পন্ন করেন তিনি। সেই সঙ্গে ভিগো এগিয়ে যায় ৩-১ গোলে। সেই ম্যাচ যে ঘুরে দঁাড়াতে পারে বার্সেলোনা তা কট্রর সমর্থকরাও ভাবেননি। অবিশ্বাস্য ঘটনার সাক্ষী থাকলেন রাফিনিয়া। তার আগে ওলমো গোল দিয়ে বার্সাকে নিয়ে এসেছিলেন ২-৩ গোলের ব্যবধানে। ৬৮ ও ৯৮ মিনিটে দুটো গোল করে তিনি দলকে জেতালেন তাই নয়, রিয়ালের থেকে দলকে নিয়ে গেলেন ৭ পয়েন্টের ব্যবধানে। দানি ওলমোকে বক্সের মধ্যে ফাউল করা হয়েছিল। বার্সার ফুটবলাররা পেনাল্টির দাবি জানাতে থাকেন। রেফারি ভারের সাহায্য নিয়ে পেনাল্টির নির্দেশ দেন। সেই পেনাল্টি থেকে গোল করে যান রাফিনিয়া। তখন খেলা ৯৮ মিনিট গড়িয়ে গিয়েছে। দুটো টুর্নামেন্টকে এখন পাখির চোখ করেছেন রিয়াল কোচ আনচেলেত্তি। যার মধ্যে একটা লা লিগা হলে অপরটা হল কোপা দেল রে। ২৭ এপ্রিল কোপা দেল রে-র ফাইনালে মুখোমুখি হবেন বার্সেলোনার। সেখানে কী ঘটবে তা ভবিষ্যত বলবে। কিন্তু লা লিগা যে ক্রমশ ফিকে হয়ে যাচ্ছে তঁার সামনে থেকে তা এখনই বলে দেওয়া যায়।

এজবাস্টনে কুলদীপকে চাই, ফিল্ডিংয়েও নজর দিতে হবেঃ ক্লার্ক
শুরুতেই সিরিজে ভারত পিছিয়ে পড়েছে। এবার ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই। সেই লড়াইয়ে জিততে হলে দলে কিছু বদল দরকার। সঙ্গে আগের