প্রত্যাবর্তনের ম্যাচ। ৩-০ গোলে এগিয়ে যাওয়া ম্যাচ কিনা একটা সময় হয়ে গেল ৩-৩। খেলা শেষের কয়েক মুহূর্ত আগে গোল করে কোনওমতে জেতে বেলজিয়াম।
বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ওয়েলসের মুখোমুখি হয়েছিল বেলজিয়াম। সেই ম্যাচের শুরু থেকে আধিপত্য নিয়ে খেলা শুরু করে লুকাকুরা। যথারীতি খেলা শুরুর ১৫ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি থেকে গোল দিয়ে দলকে এগিয়ে দেন রোমেলু লুকাকু। তার ঠিক চার মিনিট পরেই ফের গোল পেয়ে যায় বেলজিয়াম। এবার দলকে এগিয়ে দেন অধিনায়ক ইউরি টিলেম্যান্স। তৃতীয় গোলটি বেলজিয়ামের আসে ২৭ মিনিটে। জেরেমি ডোকু গোল দেন। সকলে তখন ধরে নিয়েছিল বেলজিয়াম ঝড়ে উড়ে যাবে ওয়েলস। ঘটলো ঠিক উল্টো। বিরতির পর খেলা ঘুরে যায়। ওয়েলস একাধিপত্য বজায় রেখে খেলতে শুরু করে। আরও সুবিধে করে দেয় বিরতির বঁাশি বাজার ঠিক আগে পেনাল্টি থেকে গোল পেয়ে যাওয়ায়। হ্যারি উইলসন গোলটি করেন। বিরতির পর গোল দুটি করে বসেন ওয়েলসের যথাক্রমে সোরবা থমাস ও ব্রেনান জনসন। খেলা যখন শেষের দিকে উপস্থিত ঠিক সেই সময় গোল করে বেলজিয়ামকে জিতিয়ে দেন কেভিন ডি ব্রুইন।
ম্যাচ চলাকালীন খেলা দেখতে আসা ওয়েলসের এক সমর্থক স্ট্যান্ড থেকে পড়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। যদিও তঁার গুরুতর কিছু ঘটেনি। ব্রাসেলসের হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। হয়তো মঙ্গলবার রাতে তঁাকে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে। ব্রাসেলসের কিং বাউডউইন স্টেডিয়ামে খেলা দেখতে এসেছিলেন ২৯ বছরের স্কট রিস। উপরের টায়ার থেকে তিনি নিচের টায়ারে পড়ে যান। ৩-০ গোলে পিছিয়ে পড়ার পর যখন ৩-৩ করে ওয়েলস তখনই উত্তেজনা বশত স্টেডিয়াম থেকে পড়ে যান স্কট রিস।
জিতিয়েও বিদায় স্প্যালেত্তির
ইতালি-মলডোভা ম্যাচের একটা মুহূর্ত।
কথায় বলে শেষ ভাল যার সব ভালো। কিন্তু লুসিয়ানো স্প্যালেত্তির ক্ষেত্রে সেকথা প্রযোজ্য হচ্ছে না। ইতালিকে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে জিতিয়েও কিনা বিদায় নিতে হল দলের কোচ লুসিয়ানো স্প্যালেত্তিকে। যেহেতু আগে থেকেই ঠিক ছিল এই ম্যাচের পর তিনি বিদায় নেবেন।
সোমবার মলডোভার বিরুদ্ধে ২-০ গোলে জিতে যায় ইতালি। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের খেলায় এই প্রথম জিতল আজুরিরা। দু-টি অর্ধে একটা করে গোল করেন যথাক্রমে গিয়াকোমো রাসপাদোরি ও আন্দ্রেয়া ক্যাম্বিয়াসো। কিন্তু যা অবস্থা তাতে মনে হয়না বিশ্বকাপের মূলপর্বে যাওয়া তাদের পক্ষে সম্ভব হবে। গ্রুপের লিগ টেবিলে শীর্ষে থাকা নরওয়ের চেয়ে নয় পয়েন্টে পিছিয়ে রয়েছে। প্রতিটি গ্রুপ থেকে শীর্ষ স্থানাধিকারী দল যাবে সরাসরি বিশ্বকাপের মূলপর্বে। যদিও ইতালি নরওয়ের চেয়ে দুটো ম্যাচ কম খেলেছে। যদি পরবর্তী ম্যাচগুলো জিততে পারে তাহলে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করতে পারবে। সেক্ষেত্রে প্লে অফে খেলা নিশ্চিত করে ফেলতে পারবে ইতালি। তখন প্লে-অফ খেলে মূলপর্বে যাওয়ার একটা সুযোগ থাকবে। নরওয়ের কাছে হারার পর স্প্যালেত্তিকে বরখাস্ত করার কথা ঘোষণা করে দিয়েছে ইতালি ফেডারেশন। তাই মলডোভা ম্যাচের পর যে তঁাকে বিদায় নিতে হবে তা আগেই জানা ছিল। সুতরাং দলকে জিতিয়েও আর কোচ হয়ে থাকা হল না স্প্যালেত্তির। এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেছেন, “জাতীয় দলের কোচ হলে কোনও অজুহাত খাড়া করা যায় না। যতই হোক দলগঠন তো করেন কোচ। কোচকে দায়িত্ব নিতে হয় দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার। প্রতিপক্ষদের থেকে দলকে পার্থক্য করতে হয় কোচকেই। সেই জায়গায় আমি ব্যর্থ।” প্রশ্ন হল ইতালির পরবর্তী কোচ হবেন কে? আপাতত এগিয়ে ক্লদিও রানিয়েরি।