বিধাননগর গোল্ড কাপের ঢাকে কাঠি পড়ে গেল। এবার নিয়ে গোল্ড কাপ তিন বছরে পা দিতে চলেছে। ২৪টা দল নিয়ে এই প্রতিযোগিতা ৮ জুন রবিবার থেকে শুরু হবে। দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুর উদ্যেোগে এই টুর্নামেন্ট হতে চলেছে। সেই উপলক্ষ্যে শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই সম্মেলনে মন্ত্রী সুজিত বসু প্রতিটি দলের জার্সি উন্মোচন করেন। সেই সঙ্গে প্রতিযোগিতার ম্যাসকট তুলে ধরেন মন্ত্রী। প্রশান্ত বন্দে্যাপাধ্যায়, অলোক মুখোপাধ্যায়, সমরেশ চৌধুরি, বিকাশ পঁাজি, সুমিত মুখোপাধ্যায়ের মতো প্রথিতযশা প্রাক্তন ফুটবলাররা সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। সমরেশ চৌধুরিরা মন্ত্রীর উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। তঁারা মনে করছেন, বিধাননগর গোল্ড কাপ আগামী দিনে বাংলার ফুটবলকে উন্নতির জন্য দারুন সাহায্য করবে।
ভূমিপুত্র বেড়ে হল ৬
ভূমিপুত্রের সংখ্যা আবার বাড়ল। গতবছর চারজন ভূমিপুত্রের খেলা বাধ্যতামূলক ছিল। কিছুদিন আগে আইএফএ কর্তারা বসে ঠিক করেন, সংখ্যা বাড়িয়ে ৫জন করা হবে। কিন্তু ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস অনুরোধ করে একটা চিঠি দিয়েছিলেন আইএফএ-কে। তিনি চিঠিতে জানিয়ে ছিলেন ভূমিপুত্রের সংখ্যা বাড়াতে হবে। ক্রীড়ামন্ত্রীর অনুরোধ মেনে শুক্রবার আইএফএ সিদ্ধান্ত নিল, ৫জনের বদলে ৬জন করা হবে। সেই সঙ্গে আইএফএ আরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এই ছয়জনের মধ্যেই আগামীদিনে সীমাবদ্ধ রেখে দেওয়া হবে। যদি না বড় কোনও অঘটন ঘটে।
ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস কিছুদিন আগে একটা চিঠি দিয়েছিলেন। সেই চিঠিতে তিনি অনুরোধ করেন, ভূমিপুত্রের সংখ্যা বাড়ানো হোক। শুক্রবার একটাই মাত্র আলোচ্য সূচী ছিল। সেই সূচী মেনে সভার কাজ শুরু হয়। প্রথমেই আইএফএ-র পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, ক্রীড়ামন্ত্রী যেহেতু অনুরোধ করেছেন তঁার সম্মানার্থে ভূমিপুত্রের সংখ্যা বাড়াতে হবে। ২৬টা দলের মধ্যে দুটো দলের প্রতিনিধিরা এই সভায় যোগ দেননি। বাকি দলগুলোর মধ্যে ২০টা দল বলতে গেলে প্রথমে প্রতিবাদ জানায়। প্রত্যেকের বক্তব্য ছিল একটাই, ভূমিপুত্রের সংখ্যা আর বাড়ানো চলবে না। শেষমেশ ঠিক হয়, মন্ত্রীর অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করা যাবে না। তাই ঠিক হয়, ৬জন ভূমিপুত্রকে খেলানো বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। তবে ক্লাবগুলো অনুরোধ করে, এই সংখ্যা আর যেন বাড়ানো না হয়। সেই অনুরোধ মেন আইএফএ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ভবিষ্যতে সংখ্যা বাড়ানোর দিকে আর এগোবে না। যদি না বড় কোনও কিছু ঘটে। আইএফএ সভাপতি অজিত বন্দ্যোপাধ্যায় বলছিলেন, “প্রথমে অনেকেই চায়নি ভূমিপুত্রের সংখ্যা বাড়াতে। কিন্তু মন্ত্রীর অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করা যাবে না বলে আমরা সিদ্ধান্ত নিই, ৬জন ভূমিপুত্র প্রথম একাদশে রাখতেই হবে। বাকি পঁাচজন আন্তঃরাজ্য ছাড়পত্র পাওয়া ফুটবলার খেলাতে পারে। তবে আগামী দিনে এই সংখ্যা যাতে না বাড়ানো যায় সেইদিকে লক্ষ্য রাখা হবে।”
গত কয়েকদিন আগে সাদার্ন সমিতি একটা চিঠি দিয়েছিল। সেই চিঠির মূল বক্তব্য ছিল, প্রিমিয়ার ডিভিসনে যেভাবে লটারি করে গ্রুপ বিন্যাস করা হয়েছে তা মোটেই নিয়ম মেনে হয়নি। শুক্রবার সেই চিঠির প্রসঙ্গে উপস্থিত কর্তাদের কাছে বক্তব্য জানতে চাওয়া হয়। প্রত্যেকেই সেই বক্তব্যে জানিয়ে দেন, লটারি করার পদ্ধতিতে কোনও গলদ ছিল না। বরং যেভাবে হয়েছে তা একটা আধুনিকতায় মোড়া। তাই সাদার্ন সমিতির চিঠিকে পাত্তা দিতে রাজি নয় আইএফএ।