বাংলার অ্যাথলিটরা এখন পড়েছে অথৈ জলে। একদিকে রাজ্য অ্যাথলেটিক্স মিট। অন্যদিকে ফেডারেশন কাপ। বাংলার অ্যাথলিটদের জানা নেই, কোনটা ছেড়ে কোনটায় নামবেন। যদি রাজ্য মিটে নামেন তাহলে ফেডারেশন কাপে নামা সম্ভব নয়। আবার ফেডারেশন কাপে গেলে রাজ্য মিট তঁাদের কাছে অধরা থেকে যাবে। যেহেতু রাজ্য মিট হবে ২০-২২ জুন। প্রয়াগরাজে ফেডারেশন কাপ হবে ২২-২৪ জুন। তাহলে বাংলার অ্যাথলিটরা কোন দিকে ফোকাস করবেন? ফেডারেশন কাপ যেহেতু ২২-২৪ জুন হচ্ছে তাহলে রাজ্য মিট কেন এগিয়ে আনা হল না? ঠঁুটো জগন্নাথ হয়ে তাহলে রাজ্য অ্যাথলেটিক্স সংস্থার কর্তারা বসে আছেন ধরে নিতে হবে। নাহলে এভাবে চলার মানে হয়না। যদি তঁারা সক্রিয় থাকতেন তাহলে দুটো প্রতিযোগিতার তারিখ কখনও এক হয়ে যেত না। এই নিয়ে রাজ্য অ্যাথলিট মহলে হইচই পড়ে গিয়েছে। বহু অ্যাথলিট বুঝে উঠতে পারছেন না তঁারা কোন দিকে পদক্ষেপ ফেলবেন।
আবার রাজ্য অ্যাথলেটিক্স সংস্থার কর্তারা যা বলছেন তাতে পুরোপুরি দায়ী করা যাচ্ছে না রাজ্য সংস্থাকে। কেন? সেই উত্তরে এবার আসা যাক। প্রথমত, রাজ্য সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, যখন রাজ্য মিটের তারিখ ঘোষণা করা হয় তখনও ফেডারেশন কাপ কোথায় কবে থেকে শুরু হবে তার নাকি ঠিক ছিল না। রাজ্য মিট ঘোষণার পর ফেডারেশন কাপের সূচী ঘোষিত হয়েছে। দুই, ফেডারেশন আগে থেকেই নাকি ক্যালেন্ডার দিয়ে দেয়। বছরের মধ্যে কবে থেকে কী মিট হবে তার দিনক্ষণ ঠিক করা থাকে। ফলে রাজ্য মিট কবে থেকে কোথায় হবে তার দিনক্ষণ আগে থেকেই ঠিক করা আছে। প্রশ্ন জাগে, তাহলে ফেডারেশন পারে কি ক্যালেন্ডার দেওয়া সত্ত্বেও তার বাইরে কেন মিট করতে যাবে? তিন, রাজ্য সরকারের দ্বারস্থ হয়ে যুবভারতীতে মিট হওয়ার ব্যাপারটা ঠিক করা হয়েছে। যেহেতু রাজ্য সরকার জানিয়ে দিয়েছে, ওই দিন ছাড়া মাঠ পাওয়া যাবে না, তাই বাধ্য হয়ে নির্দিষ্ট দিনে (২০-২২ জুন) মিট করতে রাজি হয় রাজ্য সংস্থা। চার, এখনকার সময়ে রাজ্য মিট থেকে নির্বাচিত হওয়ার কোনও ব্যাপার নেই। তেমনই বলছেন রাজ্য অ্যাথলেটিক্স সংস্থার সচিব কমল মৈত্রি। যদি কোনও অ্যাথলিট ফেডারেশন কাপে যেতে চায় তাহলে সে নাম এন্ট্রি করতে পারে। শুধু প্রয়োজন রাজ্য সংস্থার একটা অনুমতি। তাহলে কি যে কেউ এই মিটে যোগ দিতে পারেন? একদম নয়। রাজ্য সংস্থা সংশ্লিষ্ট অ্যাথলিটের প্রাক্তন রেকর্ড দেখে নেয়। ভাল না হলে জাতীয় মিটে রাজ্য সংস্থা নাম এন্ট্রি করার অনুমতি দেবে না। আসলে এখন অ্যাথলিটদের নিজের গঁ্যাটের পয়সা খরচ করে জাতীয় মিটে নামতে হয়। না, রাজ্য সরকার কিংবা রাজ্য সংস্থা কোনও আর্থিক সাহায্য করে না। ফলে অ্যাথলিটদের যাওয়া না যাওয়ার দিকে খুব একটা নজর রাখার প্রয়োজন হয়না। যদিও নিয়ম বলছে, রাজ্য মিট না করে কোনওভাবে ফেডারেশন কাপে যোগ দেওয়া যাবে না।
রাজ্য অ্যাথলেটিক্স সংস্থার সচিব তথা সর্বময় কর্তা কমল মৈত্র অসহায়ের ভঙ্গিতে বললেন, “আমরা জানতাম না, ফেডারেশন কাপ কখন হবে। যেহেতু ফেডারেশন কাপ নিয়ে দিনক্ষণ ঘোষণা করেনি জাতীয় অ্যাথলেটিক্স সংস্থা। আমরা কিন্তু আগে থেকেই রাজ্য মিট ঘোষণা করে দিয়েছিলাম। তার উপর ক্রীড়ামন্ত্রীর কাছে আমাদের মাঠ নেওয়া হয়ে গিয়েছে। সেখানে আমরা কীভাবে রাজ্য মিট পিছোব। তাছাড়া ফেডারেশন আমাদের আগে থেকে ক্যালেন্ডার দিয়েছে। কবে থেকে রাজ্য মিট করতে হবে তাও জানিয়ে দিয়েছে। সেখানে আমাদের হাত-পা বঁাধা। আমরা তো আগ বাড়িয়ে কিছু করতে পারিনা।” এবার রাজ্য মিট দুটো ভাগে ভাগ করে হচ্ছে। একটা হচ্ছে জুনিয়রদের নিয়ে। যেখানে প্রতিযোগীরা নামতে পারবেন ১৪-১৫ জুন। তারপর হবে সিনিয়র বিভাগের প্রতিযোগিতা। সিনিয়র বিভাগে আবার তিনটে গ্রুপে হবে। একটা হল, অনূর্ধ্ব-২০, ২৩ ও সিনিয়র ছেলে-মেয়েরা। অনূর্ধ্ব-২০ বিভাগকে নিয়েই যত ঝামেলা। কমল মৈত্র স্বয়ং প্রশ্ন তুলে দিলেন, “ফেডারেশন কাপে বাংলা থেকে কজন যোগ দেয় বলতে পারেন? খুব কম সংখ্যক। যাইহোক আমরা আগে থেকে সবকিছু জানিয়ে রেখেছিলাম। তাহলে আমাদের দোষটা কোথায়। আমরা পুরোপুরি অসহায়। একমাত্র ইস্টার্ন রেল থেকে একজন ফোন করেছিলেন। তাও কোনও অভিযোগ পত্র দেননি। বাকিরা তো কেউ কিছু বলছে না। যাইহোক আমরা ঠিক করেছি, নির্দিষ্ট তারিখে সকলকে যোগ দিতে হবে। নাহলে চলবে না। আর যদি কেউ রাজ্য মিটে না নেমে ফেডারেশন কাপে যেতে চায় যাবে। আমরা তাকে বাধা দেব কেন।”
(ছবি–প্রয়াগরাজের মদন মোহন মালব্য স্টেডিয়াম। এখানেই হবে জুনিয়র ফেডারেশন কাপ।)

ইংল্যান্ড সিরিজে কে এল রাহুলকে অধিনায়ক করা যেতে পারতঃ মঞ্জরেকর
সঞ্জয় মঞ্জরেকর এমনই। কোন কথায় বিতর্ক দানা বাঁধবে, সবসময় সেটাই তিনি খোঁজেন। এবং তাঁকে ঘিরেই বিতর্ক বেড়ে ওঠে। এই