রেফারি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছিল ম্যাচের আগেই। তারউপর সেভিয়ায় ম্যাচ শুরুর আগে বার্সেলোনা-রিয়াল মাদ্রিদের সমর্থকরা একজোট হয়ে পুলিশের সঙ্গে ঝামেলা বাধিয়ে দেয়। সুতরাং খেলার আগে যদি আগুন জ্বলে যায় তাহলে তার ফুলকি তো এসে পড়বেই ম্যাচে। শুধু ফুলকি নয়, আগুনের হল্কা এসে আছড়ে পড়ল বিশ্বের দুই শ্রেষ্ঠ দলের খেলায়। শেষমেশ বার্সেলোনা ৩-২ গোলে হারিয়ে জিতে নিল কোপা দেল রে। ৯০ মিনিট নির্ধারিত সময়ে খেলার ফল ছিল ২-২। অতিরিক্ত সময়ের খেলায় বার্সা গোল করে চ্যাম্পিয়নের শিরোপা নিয়ে চলে গেল। তাও আবার চোটের কারণে লিয়নডস্কি খেলেননি। তবু বার্সার জিততে কোনও সমস্যা হল না। বার্সার গোলদাতারা হলেন পেদ্রি, ফেরান তোরেস ও জুলস কুন্দে। কিলিয়ান এমবাপে ও চুয়ামেনি রিয়ালের হয়ে গোল দুটি করেন। ২৮ মিনিটে পেদ্রি প্রথম গোল করে বার্সাকে এগিয়ে দিয়েছিলেন। ৭০ মিনিটে সেই গোল শোধ করেন এমবাপে। পরে ৭৭ মিনিটে চুয়ামেনি গোল করে রিয়ালকে এগিয়ে দেন। বার্সার হয়ে ৮৪ মিনিটে সমতা ফেরান তোরেস। অতিরিক্ত সময়ে বার্সার হয়ে ম্যাচের শেষ গোলটি করেন জুলস কুন্দে। তবে কুন্দের গোল সকলের নজর কেড়ে নিয়েছে। লুকা মদরিচের একটা ভুল পাশ থেকে বল ধরে প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে জোরালো শটে গোল করে যান কুন্দে।
এল ক্লাসিকো বলতে যা বোঝায় তাই দেখা গিয়েছে খেলার প্রতিটি মুহূর্তে। দু-দলের সমর্থকদের কাছে পয়সা উসুল। বার্সা প্রমাণ করছে রিয়ালকে নিয়ে আর তারা ভীত নয়। লা লিগায় ৪-০ গোলে হারানোর পর, স্প্যানিশ সুপার কাপে ৫-২ গোলে রিয়ালকে হারায় বার্সেলোনা। এবার হল কোপা দেল রে-তে। তার মানে রিয়ালকে হারানোর হ্যাটট্রিক এই মরশুমে করে ফেললো হ্যান্সি ফ্লিকের দল। তিনবার রিয়ালের বিপক্ষে করে ফেললো ১২ গোল। তাই বলে রিয়ালকে অসম্মান করেনি বার্সা। রানার্স আপ ট্রফি নেওয়ার সময় বার্সার খেলোয়াড়রা গার্ড অব অনার দেয়। তবে খেলার শুরু থেকেই রিয়ালকে প্রচন্ড চাপের মধ্যে ফেলে দিয়েছিল বার্সা। প্রথম ৪৫ মিনিট বার্সার সামনে বলতে গেলে এঁটে উঠতে পারছিল না রিয়াল। তখন থেকেই মনে হচ্ছিল আগের দুটো এল ক্লাসিকোর মতোই এবারও রিয়াল পর্যদুস্ত হবে। খেলার মোড় ঘোরে বিরতির পর এমবাপে নামায়। ফরাসি তারকা নামার পর থেকে রিয়াল ম্যাচে ফিরে আসে। দ্বিতীয়ার্ধে বার্সার চেয়ে বল পজিশনে এগিয়ে ছিল রিয়াল। রেফারি রিকার্দো দে বুর্গোস বেনগোচেয়া ম্যাচের আগে ছিলেন রিয়াল সমর্থকদের কাছে চক্ষুশূল। সেই রেফারি বেনগোচেয়াকে দেখা যায় ম্যাচের মধ্যে রিয়াল সমর্থকদের কাছে হয়ে উঠেছেন পয়লা নম্বর ভিলেন। বিশেষ করে ভারের সাহায্য নিয়ে পেনাল্টি বাতিল করায়। বক্সের মধ্যে রাফিনিয়াকে বিপজ্জনকভাবে বাধা দিয়েছিলেন রিয়াল ডিফেন্ডার রাউল অাসেনসিও। রেফারি রিকার্দো পেনাল্টির বঁাশি বাজান। কিন্তু ভারের সাহায্য নিলে দেখা যায় পেনাল্টি পাওয়ার যোগ্য নয় বার্সা। ততক্ষণে রিয়াল সমর্থকরা আরও চটেছেন রেফারির উপর।
২০২১ সালের পর কোপা দেল রে জিতল বার্সা। ১৯৯০ সালের পর সেভিয়ায় এই প্রতিযোগিতার ফাইনালে রিয়ালের বিপক্ষে এটি তাদের প্রথম জয়। তবে ম্যাচে লালকার্ডের ছড়াছড়িও হয়েছে। শেষ বাঁশি বাজার মিনিট দেড়েক আগে এমবাপেকে একটা ফ্রি-কিক না দেওয়ায় রিয়ালের রিজার্ভ বেঞ্চ থেকে রেফারির প্রতি তেড়ে যান ডিফেন্ডার আন্তনিও রুডিগার। তারপর রিয়ালের রিজার্ভ বেঞ্চ থেকে রেফারির উদ্দেশ্যে ছঁুডে় কিছু একটা মারা হয়। তবে কে কি ছঁুড়ে মেরেছেন তা বোঝা না গেলেও রেফারি রুডিগারকে লালকার্ড দেখান। কিছুক্ষণ পরে লুকাস ভাসকেজকেও কার্ড দেখান রেফারি। তবে ম্যাচের শেষ বঁাশি বাজার পর রিয়ালের সমর্থকরা সম্পূর্ন হতাশায় ভেঙে পড়েন। কারণ তাদের সামনে এটাই ছিল একমাত্র ট্রফি জয়ের সুযোগ। যেহেতু চ্যাম্পিয়ন্স লিগ হাতছাড়া আগেই হয়ে গিয়েছে। লা লিগায় বার্সার চেয়ে এই মুহূর্তে রিয়াল ৪ পয়েন্টে পিছিয়ে। এরপর মনে হয় কার্লো আনচেলেত্তির থাকা নিয়ে রিয়ালের আর কেউ সোচ্চার হবেন।

ইংল্যান্ড সিরিজে কে এল রাহুলকে অধিনায়ক করা যেতে পারতঃ মঞ্জরেকর
সঞ্জয় মঞ্জরেকর এমনই। কোন কথায় বিতর্ক দানা বাঁধবে, সবসময় সেটাই তিনি খোঁজেন। এবং তাঁকে ঘিরেই বিতর্ক বেড়ে ওঠে। এই